ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি ॥ সাড়া দিচ্ছেন না ঠিকাদাররা

যশোরে ২৯ অবকাঠামো নির্মাণ আটকে গেছে

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১৬ মে ২০১৮

যশোরে ২৯ অবকাঠামো নির্মাণ আটকে গেছে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ অভয়নগর উপজেলার বেজেরডাঙ্গা-সিঙ্গা সড়কের ২৭শ’ মিটার রাস্তা ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কারের জন্য ৬ বার দরপত্র আহ্বান করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। কেশবপুর-সাগরদাঁড়ি সড়কের সাড়ে ৭ কিলোমিটার সংস্কার কাজ করতে ৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয় তিনবার। কিন্তু ঠিকাদাররা সাড়া দেননি। শুধু ওই দু’টি সড়ক নয়, ঠিকাদাররা অংশ না নেয়ায় গত ৩ মাস ধরে ২৯টি অবকাঠামো নির্মাণ কাজের বারবার দরপত্র আহ্বান করেও সাড়া পাচ্ছে না এলজিইডি যশোর অফিস। যে কারণে ৩০ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার নির্মাণকাজ আটকে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে সরকারী এই প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি রাস্তা, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকাজ আটকে পড়ায় ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না এলাকাবাসীর। যশোর এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৮টি উপজেলায় তাদের মোট রাস্তা রয়েছে ৯ হাজার ২৪১ কিলোমিটার। এর মধ্যে কাঁচা সড়ক রয়েছে ৬ হাজার ৬৬৪ কিলোমিটার। এসব কাঁচা সড়ক সংস্কারের জন্য তারা একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করলেও দরপত্রের সঙ্গে নির্মাণসামগ্রীর বাজার দর বেশি থাকায় লোকসানের আশঙ্কায় ঠিকাদাররা কাজে অংশ নেয়া থেকে বিরত রয়েছে। যশোর ঠিকাদার সমিতির সভাপতি লুৎফর রহমান জানান, বর্তমানে বাজারে ইটের গাড়ি যাচ্ছে ১৮ হাজার টাকা, সেখানে এলজিইডি দিচ্ছে ১৬ হাজার টাকা। পাথরের দাম বাজারে ১৮০ টাকা সেফটির স্থলে ১৩৫ টাকা এবং বিটুমিনের দাম ৯ হাজার টাকা সেফটি হলেও এলজিইডি দরপত্রে দিচ্ছে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। এতে কাজে অংশ নিলে ঠিকাদারদের পুঁজি বলে কিছু থাকবে না। যে কারণে আমরা এলজিইডির দরপত্রে অংশ নেয়া থেকে বিরত রয়েছি। রাজা হোসেন নামে অপর এক ঠিকাদার জানান, লাভের আশায় ঠিকাদার পেশায় এসেছি। কিন্তু বর্তমানে যা হচ্ছে তাতে নিজের পুঁজি হারিয়ে যাচ্ছে। এলজিইডি দরপত্র পুনর্মূল্যায়ন না করলে কাজ করা দুরূহ হয়ে দাঁড়াবে। যশোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল আলম সিদ্দিকী বলেন, কাজের দরপত্রে কম রেট থাকার অভিযোগে ঠিকাদাররা ৩ মাস ধরে কাজে অংশ নিচ্ছেন না। তবে বর্তমানে কিছু ঠিকাদার অংশ নিচ্ছে। আমরা বিষয়টি প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়কে অবহিত করেছি। আগামী বাজেটের পর সব ঠিক হয়ে যাবে। তখন কাজের রেট বেড়ে যাবে।
×