ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ তুরস্ক দূতাবাসের

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১১ মে ২০১৮

প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ তুরস্ক দূতাবাসের

কূটনেতিক রিপোর্টার ॥ দৈনিক জনকণ্ঠে গত ৬ মে প্রকাশিত ‘তুরস্ক ও পাকিস্তানের বিরোধিতায় ওআইসি সহকারী মহাসচিব পদে হারল বাংলাদেশ’Ñ শীর্ষক খবরের প্রতিবাদ করেছে ঢাকার তুরস্ক দূতাবাস। তুরস্কের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই সংক্রান্ত খবর তুরস্কের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক, যুক্তিহীন ও অন্যায্য। দূতাবাসের প্রতিবাদ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ ও পারস্পারিক সফর বেড়েছে। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নানা অনুষ্ঠানে সাক্ষাতও হয়েছে। তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোগান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলেট কাভাসোগলু গত বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফর করেছেন। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদ্রিম গত বছর ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফর করেছেন। এছাড়া ২০১৮ সালেও অনেক মন্ত্রী ও এমপি তুরস্ক থেকে বাংলাদেশ সফর করেছেন। তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী বেকির বোজাজের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওআইসির ৪৫তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দেন। এই প্রতিনিধি দলের সফর প্রমাণ করে তুরস্ক ওআইসি ও বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর বৈঠকে আগামী জুন মাসে অনুষ্ঠিতব্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। সে বৈঠকে তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী ওআইসি সম্মেলনে তুরস্ক ও বাংলাদেশের প্রার্থীদের বিজয়ে আশা প্রকাশ করেন। প্রকাশিত সংবাদে একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আসেনি, যেটা ওআইসিতে তুরস্ক ও বাংলাদেশ ফলপ্রসূ সহযোগিতা করেছে। এছাড়া এই দুই দেশ যৌথভাবে ওআইসি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব করেছে। এই দুই দেশ একযোগে এই নিয়ে কাজ করেছে। আর সফলও হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আর যাই হোক না কেন, শুধুমাত্র দুই দেশের ভোটে বাংলাদেশের প্রার্থীর ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হতো না। কেননা ভোটের ফলাফলে কাজাখস্তান ১২ ভোট আর বাংলাদেশ ৬ ভোট পেয়েছে। এই ধরনের বিভ্রান্তিকর অলঙ্করণের সংবাদে সেই সব লোকের পক্ষেই যাবে, যারা বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় না। এদের বিপরীত মনোভাব সত্ত্বেও দুই দেশের ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে। প্রতিবেদকের বক্তব্য ॥ দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের কোন নিজস্ব বক্তব্য নেই। এটা বাংলাদেশ সরকারেরও কোন বক্তব্য নয়। তবে ওআইসি সম্মেলনের ভোটে অংশগ্রহণকারী একাধিক দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবাদ পত্রে অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ও তুরস্ক যৌথভাবে ওআইসি সংস্কারে কাজ করবে এটা ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়নি। তবে গত ৭ মে দৈনিক জনকণ্ঠে ‘ওআইসি শক্তিশালী করতে ৪ দফা প্রস্তাব বাংলাদেশের’- শীর্ষক প্রতিবেদনে ওআইসি সংস্কারে বাংলাদেশ ও তুরস্ক একযোগে কাজ করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশও করা হয়েছে।
×