ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় ভূমিদস্যুর রোষানলে মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৭ মে ২০১৮

কলাপাড়ায় ভূমিদস্যুর রোষানলে  মুক্তিযোদ্ধা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী, ৬ মে ॥ কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুল আলম তালুকদার চরম হাতাশায় পড়েছেন। সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত পাওয়া দেড় একর জমিতে চাষাবাদসহ মাছের ঘের করতে গিয়ে এখন নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন। ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার তার জমি মাপজোক করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। একই এলাকার নজরুল মেম্বারের ছেলে বাদল হাওলাদারসহ স্থানীয় একটি চক্র তার এ জমি দখলের জন্য বিভিন্ন ধরনে হয়রানি করে আসছে। কাজ করতে গেলেই বাধা দেয়। হুমকি দেয়া হয়। এসব ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এবং নির্বিঘেœ জমিতে অবস্থানসহ মাছ চাষ করে জীবিকার যোগান দেয়ার নিরাপত্তা চেয়ে রবিবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, তার মুক্তিবার্তা লাল বই নম্বর ৬০৩০৫০০১৪, গেজেট নম্বর ৭১২। আগরতলা মামলার ২৬ নম্বর আসামি ছিলেন। তিনি জানান, কিন্তু স্থানীয় ভূমিদস্যু বাদল হাওলাদার গং শামসুল আলমের কাছ থেকে ৬৬ শতক জমি ক্রয় করেন। যার দাগ নম্বর ১৪৮৯, খতিয়ান ৩৩৯। কিন্তু শামসুল আলম শঠতামি করে দাগ নম্বর ১৪৮৯ এর পরিবর্তে ১৪৮১ উল্লেখ করে দেয়। এছাড়া বাদল হাওলাদার বাজার কমিটির কাছ থেকে ১৪৮৫ দাগের একটি জমি ব্যবসা করার জন্য পজেশন কেনেন। কিন্তু বাদল ওই দাগের জমি রেখে ওহিদুল আলমের জমি দখল ও বিভিন্ন ধরনের হয়রানিসহ মামলা করে আসছে। বর্তমানে বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধ ওহিদুল ইসলাম দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তিনি এও জানান, মিথ্যা বিভিন্ন ধরনের কাল্পনিক অভিযোগ দিয়ে গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগসহ প্রচার চালানো হয়েছে। এমনসব ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে বয়োবৃদ্ধ এই মুক্তিযোদ্ধা আছেন মানসিক অস্বস্তির মধ্যে। বন্দোবস্ত পাওয়া জমিতে নির্বিঘেœ অবস্থান নিয়েও শঙ্কায় পড়েছেন। ওহিদুল আরও জানান, তার সন্তান-সন্তুতি লেখাপড়া করছে। ঢাকায় অবস্থান করছে। এ কারণে তিনি চরম নিরাপত্তাহীন আছেন। এ সংবাদ সম্মেলনে ১০ মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলম। বাদল হাওলাদার জানান, মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুল ইসলাম আগে ১৪৮৬ দাগেই ছিলেন। আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসা করতে গেলে এই সময় ১৪৮৯ দাগের জমিতে মাছের ঘের করতে থাকেন। তখন বাড়িতে এসে তাকে তার সঠিক দাগে যাওয়ার জন্য বলেছেন। কোন হুমকির ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে তিনি ভুল দাগে অবস্থান করছেন বলেও বাদল হাওলাদারের পাল্টা অভিযোগ।
×