ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হোটেল ভেঙ্গে দখল ॥ প্রতিবন্ধী দম্পতির জীবিকার পথ বন্ধ

প্রকাশিত: ০৭:৪৯, ৬ মে ২০১৮

হোটেল ভেঙ্গে দখল ॥ প্রতিবন্ধী দম্পতির জীবিকার পথ বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৫ মে ॥ প্রতিবন্ধী রুহুল আমিন ওরফে পাখি এবং তহমিনা দম্পতির ১৫ বছরের ভাতের হোটেলসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা করে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দরিদ্র অসহায় এ পরিবারের পাঁচজনের জীবিকার সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার দিনভর তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এমনকি দোকানপাটের মালামালসহ ঘরের-খুঁটি, আসবাবপত্র সব নিয়ে গেছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের নোমরহাট বাজারে এ নারকীয় দখল সন্ত্রাস ঘটেছে। একই এলাকার আবুবকর ও মামুন এখন ওই জায়গায় দোকান তুলেছে। রুহুল আমিন এখন তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে কলাপাড়ায় বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রতিকারের জন্য। খাওয়া-দাওয়া নেই। শুধু চোখের পানি ঝরাচ্ছেন এ দম্পতি। রুহুলের ভাষায়, ‘স্যার আমি একটা প্রতিবন্ধী। স্যার বউ লইয়া ১৫/১৬ বছর ভাতের হোডেল করছিলাম। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি লিজ নিয়ে সেইখানে করা হোডেল ভাইঙ্গা নুরুল ইসলামের দুই ছেলে আবুবকর ও মামুন ২০-২২ সন্ত্রাসী লইয়া নতুন ঘর উডাইছে। মোরে পাইলে মাইর‌্যা ফালাইবে।’ ৫৪/এ পোল্ডারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের স্লোপের পাশে ২৩৪ নম্বর খতিয়ানের ২৩৯ নম্বর দাগের তিন শতক করে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের নামে ডিসিআরও রয়েছে। রুহুল জানায়, তিনি আওয়ামী লীগের সদস্য যার কার্ড নম্বর ৮৪৭০৭৪। পশ্চিম ধানখালী গ্রামের এ পরিবারটি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। জীবিকার অবলম্বন দখল করে নেয়া হয়েছে। রুহুল আমিন আরও অভিযোগ করেন গত ২৯ এপ্রিলের নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থন না করায় তাকে এমন দশা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের একজন আবুবকরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি আমার নিজের ঘর সংস্কার করেছি। পাখির কোন ঘর নেই। সে ভাড়াটিয়া ছিল। ঘর ছাড়তে বললে ছাড়ছিল না। সকল কাগজপত্র রয়েছে। ওর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওরে খুব বেশি ভালবাসতাম। আসলে ও (পাখি) অসভ্য বলেও আবুবকর মন্তব্য করেন। অন্যের তালে এখন মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে ঘুরছে। স্কুলভ্যান প্রদান স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ বিরল উপজেলার রাজারামপুর প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক পুনর্বাসন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য ব্যাটারি চালিত একটি স্কুলভ্যান ও শিশুদের ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান করেছে শামসুদ্দিন-গোলেজান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
×