ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগের সম্মেলন ঘিরে তৎপর সিন্ডিকেট, ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৬ মে ২০১৮

ছাত্রলীগের সম্মেলন ঘিরে তৎপর সিন্ডিকেট, ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী

বিভাষ বাড়ৈ ॥ ‘কাউন্সিলে কোন দ্বিতীয় পর্ব থাকবে না’-ছাত্রলীগের আসন্ন কাউন্সিলে নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার এমন সতর্কতার পরেও সক্রিয় বিতর্কিত সিন্ডিকেট! কথিত নির্বাচনের নামে ত্যাগী প্রগতিশীল নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দিতে গোপন বৈঠকসহ নানা তৎপরতায় বাড়ছে অসন্তোষ। ইতোমধ্যেই রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে সিন্ডিকেটের ১১ সদস্যের রাত আড়াইটা পর্যন্ত গোপন বৈঠকের খবরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তবে সিন্ডিকেটের তৎপরতায় ক্ষুব্ধ সভানেত্রী সিন্ডিকেটের প্রতি পাঠিয়েছেন ‘বিশেষ সতর্ক বার্তা’। সিন্ডিকেটের ওপর ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকিয়ে আছেন তাদের নেত্রীর দিকে। প্রায় তিন বছর পর আগামী ১১ ও ১২ মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব বলছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ তার ভ্রাতৃপ্রতিম এ সংগঠনকে গড়তে চায় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার চিন্তা মাথায় রেখে। ছাত্রলীগে গত কয়েক বছরে অনুপ্রবেশকারীদের তৎপরতায় উদ্বেগের মধ্যে এবার নেতৃত্ব নির্বাচনে দেশ ও দলের স্বার্থে প্রত্যেক নেতার তথ্য সঠিকভাবে যাচাই-বাছাইয়ের দাবি উঠেছে শুরুতেই। বিষয়টিকে অন্যতম ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে উল্লেখ করে সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ এমনকি প্রগতিশীল আন্দোলনের কর্মীরাও বলছেন, নেতৃত্ব নির্বাচনে পরিবারিক ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তার আস্থা ও কর্মকা-, সৎ, মেধাবীসহ অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখা সবচেয়ে বেশি জরুরী। দলের স্বার্থে যে কোন সিন্ডিকেট বা প্রভাবমুক্ত হয়ে নেতৃত্ব নির্বাচনের দাবি করে নেতাকর্মীরা বলেছেন, সংগঠনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের যেন বঞ্চিত করা না হয়। ভালভাবে নিরপেক্ষভাবে কোন রকম প্রভাবিত না হয়ে দলের স্বার্থে নেতাদের সকল তথ্য খুঁজে বের করতে হবে। প্রয়োজনে ইন্টারভিউ নিতে হবে। এদিকে সময় যত যাচ্ছে সম্মেলনে শীর্ষ পদগুলোতে কারা কারা আসতে পারে তা নিয়ে নানা গুঞ্জন ও আলোচনা ততই বাড়ছে। আলোচনায় থাকা পদ প্রত্যাশীরা সংগঠনের সাবেক নেতাদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন, নিজের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণে করছেন লবিং-তদ্বিরও। শীর্ষ দুটি পদ প্রত্যাশীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। লবিং-তদ্বিরে সিন্ডিকেট, আঞ্চলিকতা, ‘নতুন মডেল’সহ বেশ কিছু বিষয় যুক্ত হওয়ায় জমজমাট আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে পদ প্রত্যাশীদের মনোনয়ন কেনা ও জমাদান পর্ব। ছাত্রলীগে এবার নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কয়েক নারী নেতা চলে এসেছেন আলোচনায়। আলোচনয় থাকাদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি চৈতালী হালদার চৈতী, বর্তমান কমিটির আরেক সহ-সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মেয়ে আনিকা ফারিয়া জামান অর্না, ঢাবি রোকেয়া হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইশাত কাসফিয়া ইরা ও শামসুন্নাহার হলের সভাপতি নিপু ইসলাম তন্বী, কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-পরিবেশ সম্পাদক শেখ মারুফা নাবিলা, উপ-অর্থ-সম্পাদক তিলোত্তমা শিকদার, সহ-সম্পাদক ও রোকেয়া হলের সাবেক সভাপতি সাবরিনা আক্তার, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা হলের সভাপতি বেনজীর হোসাইন নিশি এবং রোকেয়া হল শাখার বর্তমান সভাপতি বিএম লিপি আক্তার। শীর্ষ নেতৃত্ব বাছাইয়ে এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েক নেতাকর্মীর নামও উঠে এসেছে আলোচনায়। ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে দু’বার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে পদ পেয়েছিল। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন হাবিবুর রহমান হাবিব। এ সময় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিলেন অসীম কুমার উকিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক। দশ বছর পর ১৯৯৮ থেকে ২০০২ পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে ছিলেন বাহাদুর বেপারি। সেই সময় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অজয় কর খোকন। ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিভিন্ন পদসহ বিভিন্ন ইউনিটের শীর্ষ পদে ছাত্রদল-শিবিরের অনুপ্রবেশের অভিযোগ ওঠা এবং ছাত্রলীগের সাবেক একাধিক শীর্ষ নেতা পরবর্তী সময়ে বিএনপিসহ অন্য দলের যোগ দেয়ার প্রেক্ষাপটে এবার শীর্ষ পদে পরীক্ষিত ব্যক্তিরাই আসবে বলে আশা করছেন নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, গত কয়েকটি সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে রাখা হয়েছে। এবারও এ রকম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাছাড়া কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর কুমিল্লা, উত্তরাঞ্চল, বরিশাল, ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের বেশ কয়েক প্রার্থী আছেন আলোচনায়। এদের প্রায় সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু নেতা এবার আছেন আলোচনায়। তবে সিন্ডিকেট ও অনুপ্রবেশ নিয়ে এবার আলোচনা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে ছাত্রলীগের কয়েক সাবেক নেতার সমন্বয়ে কথিত একটি ‘সিন্ডিকেট’ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান দুটি পদ (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) নির্ধারণ করে আসছে। এ কারণে সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলন ঘটে না। কয়েকবছর সম্মেলন ভোটের মাধ্যমে শীর্ষ দুই পদের নেতা নির্বাচন করা হলে এবার ভোট থাকছে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। যোগ্যতার ভিত্তিতে পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড, মেধা, এসব বিবেচনায় নিয়ে সিলেকশন পদ্ধতিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল গণভবনের এক অনির্ধারিত আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েক সাবেক ছাত্রনেতাদের কাছে। সভায় শেখ হাসিনা বলেন, সংগঠনের ছাত্রলীগের সম্মেলনে এবার কোন ভোটপর্ব হবে না। যোগ্যতার ভিত্তিতে পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড, মেধা, এসব বিবেচনায় নিয়ে সিলেকশন পদ্ধতিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হবে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি চাই ত্যাগী, যোগ্য নেতৃত্ব। কারও পকেটের কমিটি দিয়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব হবে না। কোন সিন্ডিকেট দ্বারা ছাত্রলীগ চলবে না। ছাত্রলীগ চলবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নির্দেশনায়। এর বাইরে কোন ভাবনা-চিন্তা করার অবকাশ নেই। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ছাত্রলীগকে রাজনৈতিক আদর্শের মহাসড়কে ফিরে আসতে হবে। সুনামের ধারায় ফিরে আসতে হবে। ছাত্রলীগকে অতীতের ধারায় ফিরে আসতে হবে। ছাত্রলীগে যেন আর কোন অনুপ্রবেশকারী ঢুকতে না পারে, সেদিকে সজাগ থাকার পরামর্শও দেন তিনি। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের বর্তমান বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলছিলেন, অনুপ্রবেশ যেহেতু হয়েছে এবং এ ঘটনা সংগঠনের শীর্ষ পদগুলোতেও যেহেতু হয়েছে বলে অভিযোগ আছে তাই অনুপ্রবেশ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হবে পারিবারিক ইতিহাস খতিয়ে দেখে মুক্তিযুদ্ধসহ প্রগতিশীল আদর্শের কথা মাথায় রেখে নেতৃত্ব নির্বাচন করা। পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখতে হবে, আওয়ামী লীগ পরিবার থেকে উঠে আসা সন্তান, যাাদের পরিবার প্রগতিশীল চিন্তাকে ধারণ করে এমন সৎ নেতৃত্ব আনতে হবে। ছাত্রলীগের সাবেক এক সভাপতি সিন্ডিকেটে তৎপরতাকে উদ্বেগজনক অভিহিত করে বলছিলেন, কথিত ভোট চায় কেবল সিন্ডিকেট। বাকি সকলেই চান নেত্রী নির্বাচন করে দেবেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সিলেকশনের মাধ্যমে সংগঠনের সঠিক নেতা বের করে আনবেনÑ এমন আশা প্রকাশ করে নেতাকর্মীরা বলছেন, সম্মেলনে কথিত ভোটে নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে কলুষিত করা হয়েছে। দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের বদৌলতে অদক্ষ, অযোগ্য, অসাংগঠনিক, ভিন্ন চিন্তা-চেতনা এবং ভিন্ন আদর্শের ছেলেরা ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচিত হয়েছে। এদিকে জানা গেছে, কাউন্সিলে কথিত নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার এমন সতর্কতার পরেও সক্রিয় বিতর্কিত সিন্ডিকেট। সম্মেলনের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে পদে বসাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বিশেষ একটি সিন্ডিকেট। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে ওই সিন্ডিকেটের ১১ সদস্য রাত আড়াইটা পর্যন্ত বৈঠকও করেছেন বলে খবর মিলেছে। সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকের বিষয়টি জানতে পেরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তাদের প্রতি ‘বিশেষ সতর্ক বার্তা’ পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এ বিষয়ে সিন্ডিকেটের কোন নেতা প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, বৈঠকে আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির দুই নেতা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম এক সদস্য, ছাত্রলীগের সাবেক এক সভাপতি, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের প্রথম সারির এক নেতা, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এক প্রটোকল অফিসারসহ ১১ জন উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে নেতা নির্বাচনের এজেন্ডা নিয়ে আলোচনার জন্য সিন্ডিকেট সদস্যরা সন্ধ্যার পর একে একে ওই অভিজাত হোটেলে যান এবং রাত আড়াইটা পর্যন্ত বৈঠক করেন। তবে অসন্তুষ্ট প্রধানমন্ত্রী তার বিশেষ বার্তায় বলেছেন, হোটেলে হোটেলে মিটিং না করে তারা যেন তাদের পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা দেন। শেখ হাসিনার এমন বিশেষ বার্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে সিন্ডিকেট সদস্যদের। তবে ইতোমধ্যেই সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন শাখা এমনকি দেশের বাইরে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন শাখা কমিটি গঠনে গুরুতর সব অভিযোগ উঠেছে। ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে ‘বিশেষ’ সুবিধা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা নেতা ও নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মালয়েশীয় ছাত্রলীগের কমিটি প্রকাশের পর অর্থ দেয়া ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে গোপন তথ্য ফাঁসের হুমকি দিলে পাল্টে যায় কমিটি। নতুন করে হুমকি দেয়া ব্যক্তিদের অন্তুর্ভুক্ত করে করা হয়েছে নতুন কমিটি। এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। গণমাধ্যমের নামে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি, প্রতারণা, জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে বিতর্কের মুখে বহিষ্কার করা হলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ম্যানেজ করে আবার স্বপদে ফিরে এসেছেন। আবার সমালোচনায় পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বহিষ্কারের কথা বললেও কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে না ওয়েবসাইটে। এ নিয়ে চলছে লুকোচুরি। রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের নেতৃত্ব নির্বাচনে ধর্ষণ মামলার আসামি এমনকি সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে সভাপতির পদ থেকে তুচ্ছ ঘটনায় বহিষ্কার করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনা নিয়ে অসন্তোষ আছে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মাঝে।
×