ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আলাদা সাইকেল লেন চালুর দাবি আরেফিন সিদ্দিকের

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ৫ মে ২০১৮

আলাদা সাইকেল লেন চালুর দাবি আরেফিন  সিদ্দিকের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী ঢাকা ধুলা-ধোঁয়ামুক্ত করার ক্ষেত্রে রাস্তায় আলাদা সাইকেল লেন চালুর দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। একই সঙ্গে মেয়েদের চলাফেরার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিশেষ সাইকেল লেন চালুরও দাবি জানান তিনি। শুক্রবার ‘ধুলা-ধোঁয়ামুক্ত ঢাকা মহানগরী চাই’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে করা এক র‌্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান। শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে র‌্যালিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র হয়ে বাংলা একাডেমি, দোয়েল চত্বর দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, জন উদ্যোগ, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ এবং বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ এবং সহযোগিতা করেন আইইডি, ইকিউএমএস, গ্রীন ফোর্স এবং পরিবেশ র‌্যালিটির আয়োজনে করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব ড. এনামুল হক, সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মোঃ আলী নকী ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান মজুমদার, আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহমেদ খান, পবার সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ রাসেল ও সদস্য মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন। আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আজকে তরুণ প্রজন্মদের সুরক্ষা করার জন্য শরীর চর্চার প্রয়োজন আছে। আর সাইকেল ব্যবহারের মাধ্যমে এ শরীর চর্চার পাশাপাশি সময়ও বাঁচবে। মানুষ রাজধানীতে সাইকেল ব্যবহার করে দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারবে। কিন্তু রাজধানীতে এর জন্য কোােআলাদা লেনের ব্যবস্থা নেই। ‘সাইক্লিং সুইমিং’ এর চেয়েও ভাল ব্যায়াম। ঢাকা শহরে নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে জরুরী হয়ে পড়েছে আলাদা সাইকেল লেন। বিশেষ করে মেয়েদের চলাফেরার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাইকেল লেন দরকার। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি আপাতত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আলাদা সাইকেল লেন তৈরির উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন। সমাবেশে ধুলা তৈরি করে এমন অবকাঠামো ও খনন কাজ সমন্বয় করে একবারে করার দাবি জানিয়েছেন অন্য বক্তারা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জন উদ্যোগের আহ্বায়ক ডাঃ মুশতাক হোসেন বলেন, সরকার যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করে তা সফল ও জনবান্ধব করতে জনগণের অংশগ্রহণ দরকার। সেজন্য আমাদের জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, বর্তমানে ধুলা দূষণ প্রকট আকার ধারণ করেছে। ধুলা দূষণে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ধুলাজনিত রোগব্যাধির প্রকোপ। ঘরবাড়ি, আসবাবপত্রসহ কাপড়-চোপড়ে ধুলা জমে যেভাবে প্রতিদিন নগর জীবনকে নোংরা করছে, তা পরিচ্ছন্ন রাখতেও নগরবাসীকে নষ্ট করতে হচ্ছে হাজার হাজার শ্রমঘণ্টা ও বিপুল পরিমাণ পানি এবং ডিটারজেন্ট। জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় অবিলম্বে ধুলা দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরী। ধুলা ও ধোঁয়ামুক্ত ঢাকা মহানগর গড়তে পরিসেবা প্রদানকারী সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে রাস্তা একবার খনন করা। রাস্তাঘাট ও ফুটপাথ নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মেরামত, ভবন নির্মাণ ও মেরামত বা অন্য যে কোন অবকাঠামো নির্মাণের সময় নির্মাণসামগ্রী রাস্তার ওপর বা রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় না রাখা। ধুলা সৃষ্টি করে এমন কোন সামগ্রী বহনের সময় ঠিক আচ্ছাদন ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
×