ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর বাজারে অপরিপক্ব লিচু চড়া দামে

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৫ মে ২০১৮

রাজশাহীর বাজারে অপরিপক্ব লিচু  চড়া দামে

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বাজারে দেখা মিলেছে রসালো ফল লিচুর। অপেক্ষাকৃত অপরিপক্ব এসব লিচুর দাম তুলনামূলক বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, কেবল বাজারে উঠতে শুরু করেছে তাই বেশি। সপ্তাহ দেড়েক পর গাছপাকা লিচু উঠবে বলেও অভ্যাস দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর, সাহেববাজার ও হড়গ্রাম বাজারে শুক্রবার বিক্রি হতে দেখা গেছে লিচু। ব্যবসায়ীরা জানান, এ মৌসুমে প্রথম বাজারে লিচু উঠেছে। প্রতি ১০০ পিস লিচু তারা বিক্রি করছেন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। কিছু দিন পর বেশি পরিমাণে লিচু উঠলে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হবে। এখন চড়া দরে কেনায় বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ এসব লিচু টক। অপরিপক্ব লিচু দামের আশায় ব্যবসায়ীরা আগাম বাজারে তুলেছে। লিচু বিক্রেতারা জানান, এখন বাজারে নগরীর ছোটবনগ্রাম ও রায়পাড়া এলাকার কিছু লিচু বাজারে এসেছে। মৌসুমের শুরুতেই তারা সেসব বাগান মালিকদের কাছ থেকে লিচু কিনে বাজারে খুচরা বিক্রি করেন। প্রথম দিন পাঁচ হাজার পিস লিচু কিনেছেন। দাম বেশি হওয়ায় বেচাবিক্রি খুব একটা জমেনি বলে জানান তারা। আফজাল হোসেন নামের এক বিক্রেতা বলেন, প্রথম বাজারে আসায় ক্রেতারা আগ্রহ নিয়েই লিচু দেখছেন। কিন্তু দাম শোনার পর বেশিরভাগ ক্রেতাই পিছুটান দিচ্ছেন। জানান, এখন রোদের তেজ নেই। পরপর বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া ঠা-া। তাই লিচুর বিক্রি কম। পাশাপাশি চড়া দাম প্রভাব ফেলেছে বিক্রিতে। আবহাওয়া তপ্ত হয়ে উঠলে বিক্রি বাড়বে লিচুর ক্রেতা মাকসুদা খাতুন বলেন, লিচু তার বাচ্চার খুবই পছন্দ। তাই বাজারে দেখামাত্রই তিনি কিনেছেন। তবে দাম তার কাছেও বেশি মনে হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, রাজশাহীতে ৪৭৬ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। এখন ছোট-বড় মিলিয়ে লিচু বাগানের সংখ্যা ৯০টিরও বেশি। বাগান ছাড়াও বসতবাড়িতে দেশী লিচুর পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল চায়না-৩ এবং বোম্বে ও মাদ্রাজি জাতের লিচু চাষ হয়েছে। যশোরে ফলন কম স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসার আগেই বিভিন্ন রসালো ফল এসে গেছে যশোরের বাজারে। এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে গ্রীষ্মের সুস্বাদু ফল লিচু। তবে দাম যথারীতি অন্য বছরের তুলনায় বেশি। দীর্ঘদিন ধরে লিচু চাষে খ্যাতি আছে যশোর সদর ও বাঘারপাড়ার। হাজার হাজার লিচু গাছ রয়েছে এখানে। রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে এখানকার লিচু যায়। এজন্যে মৌসুম এলেই এ অঞ্চলে লিচু নিয়ে কৃষকদের মধ্যে অনেকটা উৎসব চলে। তবে এ বছর চিত্র ভিন্ন। যেখানে এখন গাছে গাছে থাকার কথা রসালো লাল লিচুর থোকা। সেখানে বাঘারপাড়ার দরাজহাট, দাইতলা, দাঁতপুরের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। এ বছর পুরো ইউনিয়নের বেশিরভাগ গাছে লিচুই ফলেনি। একই অবস্থা বাহাদুরপুর, জঙ্গলবাঁধাল, বসুন্দিয়া, চৌগাছা এলাকার। ফলে হাসি নেই বাগান মালিকদের। যশোর জেলায় এ বছর ৬০০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়েছে। তবে এসব লিচু বাগানে ফলন কম হয়েছে। লিচু চাষীরা জানালেন, যেটুকু হয়েছিল, তাও কালবৈশাখী ঝড়ে ঝরে গেছে। তবে যেসব গাছে লিচু হয়েছিল তা পরম যতেœ বড় করেছেন বাগান মালিকরা। এখন বাজারে বিক্রি করতেও শুরু করেছেন তা। পাচ্ছেন ভাল দাম। যশোর শহরের মনিহার এলাকায় ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩শ’ টাকায়, জানালেন ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন। আর দড়াটানার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেনের দোকানে লিচুর দাম ২৬০ টাকা হলেও আলমগীর হোসেনের লিচুর দাম ছিল ২০০ টাকা।
×