ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আরএম একাডেমির ১১৯ বছর পূর্তিতে স্মৃতিচারণ

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

আরএম একাডেমির ১১৯ বছর পূর্তিতে স্মৃতিচারণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২৮ এপ্রিল ॥ আনন্দ শোভাযাত্রা, স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচীতে পালিত হলো শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাধানগর মজুমদার একাডেমির ১১৯ বছর পূর্তি। বিদ্যালয়ের ১১৯ বছর পূর্তিতে এ আয়োজনে প্রাক্তন ছাত্রদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে পাবনা শহর। শনিবার সকালে এ উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বের হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিলিত হয় স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে। আর এম একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রাক্তন ছাত্র পুনর্মিলনীর সভাপতি ও পৌর মেয়র কামরুল হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম । স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাক্তন ছাত্র পুনর্মিলনীর সাধারণ স¤পাদক সোহেল হাসান শাহীন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদ, আর এম একাডেমির প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন শেখ, প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমসহ পাবনা আর এম একাডেমি স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন ছাত্রবৃন্দ স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাইদ, দুদকের সাবেক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের কয়েক হাজার প্রাক্তন ছাত্র। স্কুলজীবনের স্মৃতিচারণে আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাইদ বলেন, জীবনের সবচেয়ে মধুর সময় কাটিয়েছি এই রাধানগর মজুমদার একাডেমি স্কুলে। পড়ন্তবেলায় আবারও এ স্কুল প্রাঙ্গণে এসে খুবই ভাল লাগছে। ছেলেবেলার বন্ধুদের খুব বেশি মনে পড়ছে। একজন শিক্ষক হিসেবে নিজ অবস্থানের পেছনে আর এম একাডেমি স্কুলের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন তিনি। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী দুদকের সাবেক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহান মুক্তিযুদ্ধে আর এম একাডেমির শিক্ষার্থীদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের দেয়ালঘেঁষা এ স্কুলের শিক্ষার্থীরা সব সময়ই রাজনীতি সচেতন। দেশের প্রয়োজনে জীবন বাজি রেখে এ স্কুলের শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তিনি বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্কুলের পাশে থাকার আহ্বান জানান। প্রসঙ্গত, ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কবি বন্দে আলী মিয়া, প-িত বারীণ মজুমদার, ইমেরিটাস অধ্যাপক অরুণ কুমার বসাকসহ অসংখ্য বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ স্কুলের শিক্ষার্থীদের ছিল অসামান্য সাহসী ভূমিকা। শনিবার বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে উপমহাদেশের প্রখ্যাত ব্যান্ড শিল্পী নগরবাউল খ্যাত জেমস।
×