ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিশুর মৃত্যু ॥ হামলা, ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২৮ এপ্রিল ২০১৮

রাজশাহীর ডায়াগনস্টিক  সেন্টারে শিশুর মৃত্যু ॥  হামলা, ভাংচুর

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ চিকিৎসাধীন এক শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজশাহী নগরীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তুলকালাম কা- ঘটেছে। চিকিৎকের অভিযোগ, বাচ্চা মারা যাওয়ার পরে রোগীর স্বজনেরা তার দফতরে গিয়ে হামলা চালিয়েছেন। আর রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, তারা বিচার চাইতে গিয়েছিলেন। তাদের ছেলে ‘হত্যার’ বিচার চাওয়ার অপরাধে ছেলের মাসহ তাদের পরিবারের ছয়জনকে মারধর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর লক্ষ্মীপুরে অবস্থিত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, নিহত শিশুর নাম রাফি। বয়স ১০ মাস। বাড়ি নগরের দড়িখরবোনা এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে গিয়ে শিশুটি মারা যায়। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ সানাউল্লাহ শিশুটির চিকিৎসা দিয়েছিলেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার শিশুটিকে তার কাছে চিকিৎসা নিতে আনা হয়েছিল। তিনি শিশুটিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র দিয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা ভর্তি করাননি। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে আবার নিয়ে আসে। তখন শিশুটির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলেন। হাসপাতালে যাওয়ার পরে শিশুটি মারা গেছে। এখন তারা হাসপাতাল থেকে এসে তার চেম্বারে হামলা চালায়। এতে তিনি খানিকটা আহত হয়েছেন। অন্যান্য রোগীর স্বজনেরা এসে তাদের হাত থেকে তাকে রক্ষা করেন। এদিকে রাতে পপুলার ডায়গনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটির চাচা রনি ইসলাম, বাবা রানা, দাদা দুলাল, দাদি শরীফা বেগম, ফুপা সাজু, মা রোজিনা খাতুন রোগ নির্ণয় কেন্দ্রটির তৃতীয় তলায় সভাকক্ষে রয়েছেন। মৃত বাচ্চাটিকে একটি টেবিলের ওপরে শুইয়ে রাখা হয়েছে। পরিবারের সবাই শিশুটিকে নিয়ে আহাজারি করছেন। শিশুটির মা ও বাবা দুজনেই বলেন, বাচ্চা এখানে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক বাচ্চার মুখে গ্যাস দেন। তখনই বাচ্চা মারা যায়। তারপর চিকিৎসক বাচ্চাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বলেন, বাচ্চা মারা গেছেন। শিশুর চাচা রনি ইসলাম বলেন, হাসপাতাল থেকে এসে তারা চিকিৎসকের বিচার চাইতে গেলে তাদের পরিবারের সবাইকেই পপুলারের লোকজন ব্যাপক মারধর করেছে। শিশুটির বাবা, চাচা ও দাদার গায়ের জামাকাপড় ছেঁড়া ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
×