ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবারে উৎসবের আনন্দ

বড় হয়ে শেখ হাসিনার মত দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই ॥ সেঁজুতি

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

বড় হয়ে শেখ হাসিনার মত দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই ॥ সেঁজুতি

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সোনারগাঁওয়ের মোগড়াপাড়ার বড়নগর প্রমিজ চাইল্ড কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সৈয়দা রওনক জাহান সেঁজুতি প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির উত্তর পেয়ে এখন উৎফুল্লবোধ করছে। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির উত্তর পেয়ে সেঁজুতির পুরো পরিবার এখন আনন্দিত। সোমবার দিনভর বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরাও সেঁজুতির বাড়িতে ছুটে আসেন। প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনরাও সেঁজুতির খোঁজখবর নিচ্ছেন। এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে। সেঁজুতির চিঠির উত্তর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাকে ফিরতি একটি চিঠি দিয়েছেন। সঙ্গে উপহারস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীর একটি ছবিও পাঠিয়েছেন। সেঁজুতির বাবা সৈয়দ রফিকুল ইসলাম মোগরাপাড়া এইচজিজিএস স্মৃতি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সেঁজুতির দাদু জুলেখা খাতুন ২০১৬ সালের ২ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। সেঁজুতি তার দাদুকে প্রধানমন্ত্রীর মতো দেখতে। এ বিষয় নিয়ে তার কাছে চিঠি লিখেছেন। সেঁজুতির গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা এলাকায়। সেঁজুতির পরিবার চাকরির সুবাধে মোগড়াপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। সেঁজুতি চিঠির উত্তর পেয়ে আনন্দিত হয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী চিঠিতে যেসব উপদেশ দিয়েছেন, আমি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। নিয়মিত স্কুলে যাব, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করব। আমি পড়াশোনা করে অনেক বড় হয়ে দেশের সেবা করব। আমি বড় হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই। আমি দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। সেঁজুতির বাবা স্কুলশিক্ষক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, চিঠি পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে ফোন করে জানান, আমার মেয়ের চিঠি প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন, পড়েছেন এবং চিঠির একটি উত্তর দিয়ে চিঠি লিখেছেন। পরে আমার কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা চান। আমি মোবাইলে মেসেজ করে পূর্ণ ঠিকানা পাঠিয়ে দেই। রবিবার সকালে পোস্টমাস্টার বলেন, আপনার মেয়ের নামে একটি চিঠি এসেছে। আমি চিঠিটি গ্রহণ করি। তিনি আরও বলেন, যে কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং ব্যস্ত ব্যক্তি। একজন শিশুর চিঠি মনোযোগ দিয়ে কয়েকবার পড়া এটাই তো আমার বিশাল পাওয়া। তারপর উনি নিজেই একটি চিঠি লিখেছেন। অত্যন্ত দরদ দিয়ে চিঠিটি লিখেছেন। চিঠিতে আমার মায়ের জন্যও (সেঁজুর দাদির জন্য) দোয়াও করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে, উত্তর আসবে এটা ভাবতে পারেননি। আবার চিঠির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি ছবিও রয়েছে। ছবি পেয়ে আমরা আরও মহাখুশি। সব মিলিয়ে আমাদের পুরো পরিবার এখন আনন্দিত। তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে আগে বলত বড় হয়ে সে ডাক্তার হবে কিংবা বুয়েটে পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে। এখন প্রধানমন্ত্রীর চিঠির উত্তর পেয়ে সুর পাল্টিয়ে আমার মেয়ে বলছে, বড় হয়ে প্রধানমন্ত্রী হবে।
×