ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

কবিতা

প্রকাশিত: ০৭:২৪, ২০ এপ্রিল ২০১৮

কবিতা

প্রলয়ের ফণা দুখু বাঙাল গুঁজে রেখে বক্ষধন মাটির গভীরে ক্ষণে ক্ষণে ঘাড় তুলে উঁকি দেয় কচ্ছপজননী আমিও যে তার মতো চোখ তুলে দেখি এক সুরম্য নগরী নিউইয়র্কÑ যে শহর নিকটেই এপার-ওপার মনে হয় আজও যদি ছুড়ে দিই নীলখাম ঠিক ঠিক পৌঁছে যাবে আঁচলে তাহার। ঘামভেজা ঢের রাতে ফুটে ওঠলে অব্যয়ী কুসুম হংসের গ্রীবায় আজও এঁকে দিই আটলান্টিক মন্থিত অমৃতের ফেনিল চুম্বন ধিকিধিকি দাহফলা কোনো এক বনা সারাক্ষণ খাড়া হয়ে থাকে এক চৌকিদার বুকের ভেতর পশ্চিমে তাক করা রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের মতো প্রলয়ের সর্বগ্রাসী উদ্যত ফণা। ** রাজীবের জন্য গাথা সৌম্য সালেক আজীবন অভিমান, অশ্রুপাত ভিড় করেছিল মনে আরও এক ভগ্নহাত জুটলো সেখানে; একদিন সবকিছু শান্ত হয়ে এলো তখন কী জানি, কী জানি করে গণরোল শুরু হলো; পুবে-দক্ষিণে, ঈশানে- অগ্নিতে... কত প্রিয়জন জুটে গেলো! ওদের আহাজারি, অশ্রুক্ষয়Ñ ম্লান হবে দেখো অল্পদিন যেতে; তুমি শুধু কাঁদবে মাটিতে লুটে... ** সাপলুডু নূরনবী সোহাগ তোমার সাথে সাপলুডু খেলা আরম্ভ করলে মনে মনে ভেবে নিতাম- শেষ ধাপে পৌঁছানোই হবে তোমাকে পুরোপুরি পাওয়া। তুমি মনে মনে কি ভেবে নিতে কে জানে! আমি শেষ ধাপে পৌঁছানোর আগমুহূর্তেই সাপটা আমায় গিলে নিতো আর তুমি শেষধাপ পেরিয়ে; আমার কপালে একটা চুমু দিতে। আমি একবার দুইবার করে তোমার চুমুর কাছে ঋণী হতে থাকতাম প্রতিবার তোমাকে হারাতে হারাতে তীব্র নিঃসঙ্গতায় আমি কেঁদে ফেলতাম। তুমি অনুগ্রহ করে খেলা গুটিয়ে রাখতে পাশে বসে থাকা তোমাকে তখন কেবলই মরীচিকা মনে হতো!
×