নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকগঞ্জ, ১৫ এপ্রিল ॥ ৫০ হাজার টাকা না দিলে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করতে দেয়া হবে না। বাড়ির উঠানে মেয়ের মরদেহ রেখেছেন প্রায় ১৫ ঘণ্টা। টাকার ব্যবস্থা হচ্ছে না , মরদেহ দাফনও করতে দিচ্ছে না কবরস্থান কমিটি। পরে বিষয়টি স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকীকে জানালে সমঝোতার ১৫ ঘণ্টা পর ওই নারীর দাফন সম্পন্ন হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের বরু-ি এলাকায়। বরু-ি গ্রামের মোসলেম মিয়ার স্ত্রী হনুফা বেগম। হনুফার কন্যা লাবনী আক্তার (২৬)। লাবনী স্বামীর সঙ্গে আশুলিয়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করত। স্বামী ট্রাক চালান। শুক্রবার বিকেলে মেয়ে অসুস্থের খবর পেয়ে তাকে নিয়ে আশুলিয়া থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক লাবনীকে মৃত ঘোষণা করলে মা হনুফা তার নিজ গ্রাম সাটুরিয়ার বরু-ি গ্রামে নিয়ে আসে। মেয়ের জামাই জালাল হোসেন সঙ্গে ছিল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় লাবনীর গোসল ও জানাজা শেষে বরু-ি কবরস্থানে মরদেহ দাফনের সময় বাধা দেয় গ্রামের লোকজন ও কবরস্থান কমিটি। দাফন করতে হলে কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে বাধা দেন ওই গ্রামের মবেদ আলীর ছেলে হাসেন মিয়া, হাসেন মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া। এ বিষয়ে হোসেন মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া জানান, কবরস্থানের উন্নয়ন বাবদ এক গাড়ি ইট ক্রয় করে দিতে বলা হয়েছিল লাবনীর পরিবারকে। পরে মুরুব্বিরা নগদ টাকা চান।এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী বলেন, দাফনের জন্য টাকার প্রয়োজন বিষয়টি শুনে আমি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে মোবাইলে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হই। দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হয় শুক্রবার সন্ধ্যায়, পরে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শনিবার সকাল ১০টার দিকে লাবনীর দাফন সম্পন্ন হয়।