ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ ফেসবুকে নারী নিগ্রহ

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১২ এপ্রিল ২০১৮

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ ফেসবুকে নারী নিগ্রহ

‘ফেসবুক’ সংক্ষেপে অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা একে ‘ফেবু’! বলে ডাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে এটি এখন ছোট-বড় সকলের খুবই পরিচিত। যদিও ফেসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, কিন্তু কিছু দুষ্ট প্রকৃতির মানুষের জন্য এই সামাজিক মাধ্যমটি অসামাজিক হয়ে উঠছে। আর এই দুষ্ট প্রকৃতির মানুষদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। যাদের শিকার হচ্ছে নারী। এই দুষ্ট প্রকৃতিসম্পন্ন পুরুষেরা ফেসবুক থেকে নারীদের ছবি নিয়ে এডিট করে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে। মাঝে মাঝে ইনবক্সে নানান কুপ্রস্তাবও দেয়- যেমন : নগ্ন হওয়া, নেট সেক্স ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, কমেন্টবক্সেও অপদস্থ করা থেকে রেহাই দেয় না। পিতৃসমান গুরু যখন একটি মেয়েকে কমেন্টবক্সে তার অনাকাক্সিক্ষত মন্তব্য দিয়ে হেনস্থা করে তখন প্রকৃতিও শিউরে ওঠে নিশ্চয়ই। সরকার এই অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো বন্ধের চেষ্টা করছে। সাইবার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। পুরুষরুপি হায়নাগুলো এতকিছুর পরও ওদের শিকার খোঁজা থেকে বিরত থাকছে না। চাই ‘পরিবর্তন’! পুরুষের মন মানসিকতার পরিবর্তন! এদের জন্য কিছু কথা না বললেই নয়-‘মেয়ে দেখলেই মনে ফুল ফোটে কেন! মেয়েদের বোন, বন্ধু এসব ভাবতে অসুবিধা কি? মেয়েদের সম্ভ্রম নিয়ে খেললে কি সম্মান বেড়ে যাবে? শুধু এদের বলেই বা কী লাভ! নারীদের বলছি ‘তোমরা নিজেদের এতো অবলা ভাব কেন? অবলার মাঝখানে যে বল শব্দটি লুকিয়ে আছে, তাকে কেন আয়ত্ত করো না? একটি অপরিচিত পুরুষ তোমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিলে ডিলেট করে দিতে পারো না? কেউ তোমাকে কুপ্রস্তাব দিলে, কটু কথা বললে, প্রতিবাদ করো না কেন?’ সবার মনমানসিকতার পরিবর্তন দরকার। পুরুষের উচিত নারীকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া। নারীকে ভোগবস্তু, বিলাসের সামগ্রী না ভেবে সহযোগী, সতীর্থ ভাবা। আর নারীদের উচিত মনের আশঙ্কা ত্যাগ করে প্রতিবাদী হয়ে ওঠা। ভীত না হয়ে পুরুষের লাঞ্ছনার হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা দরকার। পুরুষ নারীর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নারীদের জন্য হয়ে উঠবে সামাজিক, কল্যাণকর; নতুবা এটি হয়ে উঠবে অসামাজিক, অভিশপ্ত, অকল্যাণকর। মিরপুর, ঢাকা থেকে
×