ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয় মৌজা গাসিকে অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা নিয়ে রিট খারিজ

প্রকাশিত: ০৮:১২, ১১ এপ্রিল ২০১৮

শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয় মৌজা গাসিকে অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা নিয়ে রিট খারিজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে (গাসিক) সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা নিয়ে দায়ের করা রিট ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে নির্বাচনে কোন প্রকার বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এদিকে সুরমা নদী ও এর আশপাশে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চগুলো এ আদেশ প্রদান করেছেন। অন্যদিকে সরকারী চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তা মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির একাংশ। একইসঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশী হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সমিতি। রিটটি খারিজ হওয়াতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আর বাধা থাকল না। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম. ফারুকের (মোঃ ফারুক) সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তাকে সহায়তা করেন এ্যাডভোকেট এ কে এম এনায়েত উল্লাহ চৌধুরী ও এ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম। এর আগে আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ। সুরমা নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে রুল ॥ সুরমা নদী ও এর আশপাশে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, সুরমা নদীতে বর্জ্য ফেলার মাধ্যমে পানি ও বায়ু দূষণ বন্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। কোটা সংস্কারের সমর্থনে বার ॥ সরকারী চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তা মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির একাংশ। একইসঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশী হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সমিতি। মঙ্গলবার সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) ভবনে শহীদ সফিউর রহামন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন কোটা সংস্কারের দাবির প্রতি সমর্থন জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার এই আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত করতে চায়। আলোচনার নামে সময় ক্ষেপণ করতে চায়। আমরা মনে করি শিক্ষার্থীদের এই দাবি মেনে নেয়া উচিত, এই দাবির প্রতি আমরা সমর্থন ব্যক্ত করছি। গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও আহতদের সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সুপ্রীমকোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জড়িত সদস্যদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছে আইনজীবী সমিতি। একইসঙ্গে এই ঘটনায় কোন মামলা হলে বারের পক্ষ থেকে বিনা খরচে মামলা পরিচালনার প্রতিশ্রুতিও দেন সমিতির সভাপতি। সমিতির সম্পাদক বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ সমিতির বিএনপিপন্থী অন্য সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×