ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তরমুজ চুরির অপবাদে চার শিক্ষার্থীর মাথা ন্যাড়া

প্রকাশিত: ০৭:১০, ১১ এপ্রিল ২০১৮

তরমুজ চুরির অপবাদে চার শিক্ষার্থীর মাথা ন্যাড়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১০ এপ্রিল ॥ তরমুজ চুরির অপরাধে চার শিক্ষার্থীর চুল ন্যাড়া করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে লজ্জায় ওই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে কেশবপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামে। নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থীরা হলেন, ভরিপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাকিল, নবম শ্রেণীর ছাত্র তামিম, শিহাব ও রাকিব। তাদের বয়স ১৪ বছরের কম। মঙ্গলবার সরেজমিনে ওই গ্রামে গেলে আল-আমিন নামের নবম শ্রেণীর পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, কৈতুলবসত আমরা ১১ বন্ধু মিলে জাফরাবাদ গ্রামের জামাল খানের তরমুজের ক্ষেত থেকে না বলে ১০ টি তরমুজ এনে খাই। এ কারণে শনিবার রাতে আমাদের ১১ জনের স্থানীয় মকবুল সিকদারের বাড়িতে ডেকে নেয়া হয়। ওই সময় সঙ্গে আমাদের অভিভাবকরাও ছিলেন। এ ছাড়াও ওই বাড়িতে আরও শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। রাত নয়টার দিকে সালিশ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে সাইফুল সিকদার নামে এক ব্যক্তি আমাদের ১১ জন মধ্যে চারজনের মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয় এবং জুলহাস ও তার বাবা ছিদ্দিক সরদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাদেরকে বেধড়ক মারধর করে। নির্যাতিত শিক্ষার্থী আলামিনের মা মিনারা বেগম বলেন, ‘ওরা পোলাপান মানুষ না কইয়া তরমুজ খাইয়া ভুল করছে, ওগো আব্বার কাছে কইলে না টাকা দিয়া দিত। হেইয়ার লইগ্যা অগোরে ডাইক্কা নিয়া এভাবে মারবে ও মাথা কামাইয়া ন্যাড়া দিবে? এ ঘটনার পর রবিবার থেকে ওই শিক্ষার্থীরা লজ্জায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সালিশ-বৈঠকের আয়োজক ফরিদ উদ্দিন সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমার উদ্দেশ্য ছিল ওদেরকে বুঝিয়ে বলা, একটু শাসিয়ে দেয়া যাতে এ জাতীয় কাজ ভবিষ্যতে আর না করে। কিন্তু হঠাৎ করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে আসল লক্ষ উদ্দেশ্য প- হয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, সাইফুল কয়েক ছাত্রের মাথার চুল কেটে দিয়েছে।
×