ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

১৮ চোরাই বাইক উদ্ধার

ঢাকায় সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৯ সদস্য আটক

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৫ এপ্রিল ২০১৮

ঢাকায় সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৯ সদস্য আটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হাসপাতালই তাদের প্রধান টার্গেট। জরুরী বিভাগের সামনে মোটরসাইকেল রেখে রোগী নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে যখন ভেতরে প্রবেশ করেন স্বজনরা তখনই তাদের মোটরসাইকেল নিয়ে চম্পট। মাত্র এক থেকে দুই মিনিটেই এ কাজটি সেরে ফেলতে পারদর্শী এমন ক’জন চোরের কাছ থেকেই শোনা যায় মোটরসাইকেল চুরির সংঘবদ্ধ চক্রের কাহিনী। পুলিশ জানায়, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের মোটরসাইকেলসহ সারিবদ্ধভাবে প্রচুর মোটরসাইকেল রাখা হয় ঢাকা মেডিক্যালের সামনে। এতো মোটরসাইকেলের মধ্যে কেউ খেয়াল করতে পারে না, আর তখনই দ্রুততম সময়ের মধ্যে চুরির সুযোগ নেয় চক্রটি। বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৮ চোরাই মোটরসাইকেলসহ ৯ জনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই চক্রটি মাদারীপুরের শিবচর, শরীয়তপুরের ভবেরচর, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চোরাই মোটরসাইকেলগুলো রেখে বিক্রি করে। বিক্রির জন্য তাদের অন্য আরেকটি দল কাজ করে। তাদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে এ চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কমদামে মোটরসাইকেল কেনার আগে সব কাগজপত্র যাচাই করে কেনার পরামর্শ দিয়ে আবদুল বাতেন বলেন, অনেকেই কমদামে মোটরসাইকেল পেয়ে কিনে থাকেন। তারা সাধারণত মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাই করে দেখেন না। এমনটি হলে গ্রাহকরা আইনী জটিলতায় পড়তে পারেন। কারণ আমরা যখন অনুসন্ধান করে একটি চোরাই মোটরসাইকেল খুঁজে বের করি, তখন দেখা যায় এর মালিক বলেন, আমি তো মোটরসাইকেলটি অন্য আরেকজনের কাছ থেকে কিনেছি কমদামে। তখন যার কাছ থেকে ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেল কিনেছেন তাকে খুঁজে বের করি। এরা দুইজনই কিন্তু অপরাধী। কিন্তু মূল অপরাধী হচ্ছেন, যে চুরি করেছে’। পুলিশ জানায়, বিআরটিএ’র কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এই চক্রটি মোটরসাইকেলের নতুন নম্বর বানিয়ে বিক্রি করে। তবে চেসিসের নম্বরের সঙ্গে নম্বর প্লেটের কোন মিল থাকে না বলেও জানান ডিবির যুগ্ম-কমিশনার। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিআরটিএর যোগসাজশের ব্যাপারটি তদন্ত করে দেখছি। আসলেই কোন কর্মকর্তা জড়িত নাকি দালালরা হুবহু কাগজপত্র বানিয়ে চোর চক্রকে দিচ্ছে সেটি তদন্ত করে দেখছি।
×