ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৩ এপ্রিল ২০১৮

আমতলীতে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২ এপ্রিল ॥ যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রী মার্জিয়া বেগমকে (১৯) বেধড়ক মারধর করে স্বামী আবুল হোসেন রাস্তায় ফেলে রেখে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার গোজখালী গ্রামে রবিবার সন্ধ্যায়। এ ঘটনায় সোমবার আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারক হুমায়ূন কবির তিন আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার গোজখালী গ্রামের মোতালেব দফাদারের মেয়ে মার্জিয়া বেগমকে কুকুয়া ইউনিয়নের খাকদান গ্রামের সেকান্দার সিকদারের ছেলে আবুল হোসেন সিকদারের সঙ্গে ২০১৭ সালে ৫ এপ্রিল বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বর্ণালঙ্কারসহ ২ লাখ টাকা উপহার সামগ্রী দিয়ে তুলে দেয়। বিয়ের কিছু দিন যাওয়ার পরেই স্বামী আবুল হোসেন স্ত্রী মার্জিয়া বেগমকে ব্যবসা করার জন্য বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলে। মার্জিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে না দিলেই স্বামী আবুল হোসেন, শ্বশুর সেকান্দার সিকদার, শাশুড়ি জাহানারা বেগম এবং দেবর আবুল কালাম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। শুক্রবার ব্যবসা করবে বলে মার্জিয়াকে বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলে স্বামী আবুল হোসেন। শনিবার স্বামী আবুল হোসেন স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যায় এবং ব্যবসা করার জন্য ২ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু গরিব শ্বশুর মোতালেব দফাদার জামাতার চাহিদা মতো যৌতুক দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জামাতা আবুল হোসেন শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী মার্জিয়াকে রেখে চলে যায়। এ সময় স্ত্রী মার্জিয়া স্বামীর পেছনে পেছনে ছুটে চলে। শ্বশুর বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার গেলে আবুল হোসেন স্ত্রী মার্জিয়াকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় সড়কে ফেলে রেখে যায়।
×