অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কোন সন্দেহভাজন লেনদেন করা হলে তা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে স্থানীয় থানায় জানাতে হবে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে তা তদন্ত করে দেখবেন। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার দেশের সব তফসিলী ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। মূলত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে দেশের কোন এলাকার কোন বিকাশ, শিওরক্যাশ, রকেট অথবা অন্য কোন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোন ফোন নম্বরে বারবার বিভিন্ন অঙ্কের টাকা পাঠানো হলে সংশ্নিষ্ট ব্যাংকিং এজেন্ট তা নিকটস্থ থানায় জানাতে হবে। একই সঙ্গে কারা লেনদেন করল, অর্থাৎ প্রাপকের ফোন নম্বরের পাশাপাশি প্রেরকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংরক্ষণ করতে ওই এজেন্ট বাধ্য থাকবেন। একই নম্বরে বারবার টাকা পাঠানোর চেষ্টা করা হলে এজেন্টরা তা নিতে পারবেন না। কোন এজেন্টের কাছ থেকে থানা পুলিশ কোন তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করবে। প্রশ্নপত্রের বিকিকিনির জন্য এ অর্থ লেনদেন করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হলে সংশ্নিষ্ট প্রেরক ও প্রাপক উভয়কেই আটক করা হবে।