নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৩০ মার্চ ॥ বাউফল হাসপাতালের ব্রাদার মোঃ ইউনুসকে দিয়ে জরুরী বিভাগে আসা রোগীদের কাটা ছেড়ার সেলাই করানো হয়। অথচ এই কাজটি করার কথা উপ-সহকারী কমিউিনিটি মেডিক্যাল অফিসারের। এ বিষয়ে অভিযোগ থাকলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
জানা গেছে, বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ ইউনুস বাউফল হাসপাতালের ব্রাদার পদে চাকরি করলেও তিনি সব সময় জরুরী বিভাগে কাজ করছেন। অথচ এই কাজটি করার কথা দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউিনিটি মেডিক্যাল অফিসারের। বাউফল হাসপাতালে ৫ উপ-সহকারী কমিউিনিটি মেডিক্যাল অফিসার থাকা সত্ত্বেও ব্রাদার ইউনুস জরুরী বিভাগে আসা কাটা ছেড়া রোগীদের সেলাই ও ড্রেসিং কাজ করেন। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতেই সিন্ডিকেট করে তাকে দিয়ে এই কাজটি করানো হচ্ছে। জরুরী বিভাগে আসা রোগীদের কাছ থেকে গ্রহণকৃত অর্থের ভাগ ওইসব উপ-সহকারী কমিউিনিটি মেডিক্যাল অফিসার পেয়ে থাকেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, ব্রাদার ইউনুসের মাধ্যমেই রোগীদের স্বজনদের কাছ থেকে সর্বনি¤œ ২শ’ থেকে ১ হাজার টাকা বা তার বেশি আদায় করা হয়। জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউিনিটি মেডিক্যাল অফিসার আদায়কৃত ওই অর্থ থেকে ভাগ পান। ব্রাদার মোঃ ইউনুসের দায়িত্ব হলো হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত রোগীদের সেবা দেয়া। কিন্তু তিনি কাজটি এ হাসপাতালে যোগদানের পর থেকেই করছেন না। অভিযোগ রয়েছে, তিনি যেসব রোগীদের কাটা ছেড়ার সেলাই করেন, কিছুদিন পর সেখানে ইনফেশন দেখা দেয়। অথবা পুনরায় তাকে সেলাই দিতে হয়। বাউফল শহরের ভিআইপি রোড এলাকার বাসিন্দা ফেরদৌস ভূট্রো অভিযোগ করেন, ২৭ মার্চ তার ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে সিয়ামের দুর্ঘটনা জনিত কারণে জিহ্বা কেটে গেলে তাকে নিয়ে বাউফল হাসপাতালে জরুরী বিভাগে যান। সেখানে দায়িত্বরত কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার রেবেকা সুলতানা থাকা সত্ত্বেও তিনি সেলাই (স্টিজ) না করে ব্রাদার ইউনুস তার ছেলের জিহ্বা সেলাই দিয়েছেন। বাসায় নেয়ার পর তার ছেলের জিহ্বার সেলাই কেটে যায়। পরে অন্য এক সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার এসে তার ছেলের জিহ্বায় সেলাই করেন। এ রকম আরও বহু অভিযোগ রয়েছে ব্রাদার ইউনুসের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ফেরদৌস ভূট্রো উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাউফল স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনম মঈনুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, জরুরী বিভাগে একটি সিন্ডিকেট এ কাজটি করেছেন। তাদের অধিকাংশ স্থানীয় লোক হওয়ায় কাউকে পরোয়া করেন না বরং হেনস্তা হতে হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: