ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রুত কোন্দল-দ্বন্দ্ব মেটাতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ৩১ মার্চ ২০১৮

দ্রুত কোন্দল-দ্বন্দ্ব মেটাতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামতে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে আজ দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ জরুরী বৈঠকে বসছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদারের পাশাপাশি দ্রুত দলের মধ্যে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ কোন্দল-দ্বন্দ্ব-বিভেদ মিটিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ করারও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত আসতে পারে আজকের বৈঠক থেকে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় তার সরকারী বাসভবন গণভবনে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সদ্য অনুষ্ঠিত সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর অনেক জায়গায় দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়িতে নিশ্চিত বিজয় হাতছাড়া হয়েছে আওয়ামী লীগের। নেতৃত্ব পর্যায়ে থাকা কিছু সিনিয়র আইনজীবীর মধ্যে সৃষ্ট বিভেদ ও দ্বন্দ্বের কারণে এবারও আওয়ামী লীগের পরাজয়ের ঘটনায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। নির্বাচনের পর অনেক সিনিয়র আইনজীবীর মুখেও কোন্দলের কারণে তাদের পরাজয়ের বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করতেও দ্বিধা করেননি। এই নির্বাচনের পর পরাজয়ের দায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিবের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস। তবে ওই পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকারের ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের হারের জন্য দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে দায়ী করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, বিএনপি যে কয়টা জায়গায় জিতেছে এক-দুটি ছাড়া বাকি সবগুলো কিন্তু আমাদের বিদ্রোহী, আমাদের অন্তর্কলহের ফলে তারা জিতেছে।’ দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সাংগঠনিক বিষয় ছাড়াও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে একের পর এক বিজয় হাত ছাড়া হওয়ার বিষয়টি আজকের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাই শুক্রবার জনকণ্ঠকে বলেন, বৈঠকে তারা বিষয়টি তুলে ধরে দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টিকারী এবং মনোনয়ন নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারী বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক বিচারের দাবি করার চেষ্টা করবেন। তাদের মতে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনই দলকে ঐক্যের অটুট বন্ধনে বাঁধতে না পারলে আওয়ামী লীগকে বড় ধরনের মাসুল গুনতে হতে পারে। সূত্রগুলো জানায়, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের আজকের বৈঠকে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচনী প্রচারের কৌশল, সারাদেশে দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা ছাড়াও আগামী ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবসের কর্মসূচী চূড়ান্ত করা হতে পারে। এছাড়া ঝুলে থাকা কয়েকটি জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি আজকের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে পারে।
×