ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সম্ভাব্য পারিশ্রমিক ৫০ লাখ টাকা

ঢাকা আবাহনী ছেড়ে কোচ টিটু শেখ রাসেলে

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ২২ মার্চ ২০১৮

ঢাকা আবাহনী ছেড়ে কোচ টিটু শেখ রাসেলে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একটা ফুটবল দলে কোচই হচ্ছেই আসল ‘অধিনায়ক’। কোচই হচ্ছেন সর্বেসর্বা। দল জিতলে বা সাফল্য পেলে সব কৃতিত্ব কোচের, তেমনি দল হারলে বা ব্যর্থ হলেও সব দোষ ওই কোচেরই। কাজেই একজন কোচকে সবসময় ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখেই দল ছাড়ার জন্য তল্পিতল্পা গুছিয়ে রাখতে হয়। এর উল্টোটাও আছে। দল চাইলেও অনেক কোচ আছেন যারা দল ছেড়ে অন্য কোন দলে পাড়ি জমান ভাল সুযোগ-সুবিধা পেয়ে। সাইফুল বারী টিটুর ক্ষেত্রে ঘটেছে দ্বিতীয়টিই। তিনি ১০ লাখ বেশি টাকায় মোট ৫০ লাখ টাকায় ঢাকা আবাহনী লিমিটেড ছেড়ে যোগ দিয়েছেন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র লিমিটেডে। ১৯৯৫ সালে স্থাপিত হলেও ঘরোয়া ফুটবলে শেখ রাসেলের সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০১২-১৩ মৌসুমে। সেবার কোচ মারুফুল হকের অধীনে ১৯৮২ সালে মোহামেডানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ঐতিহাসিক ট্রেবল (প্রিমিয়ার লীগ, স্বাধীনতা কাপ এবং ফেডারেশন কাপ) জিতেছিল। এরপরের কয়েক মৌসুমে ভাল দল গড়েও কাক্সিক্ষত সাফল্য পায়নি ‘বেঙ্গল ব্লুজ’ খ্যাত শেখ রাসেল। নতুন মৌসুমে ব্যয়বহুল দলই গড়তে যাচ্ছে ক্লাবটি। সঙ্গে চমক হিসেবে তারা দলে ভিড়িয়েছে তারকা কোচ সাইফুল বারী টিটুকে। ঘরোয়া ফুটবলে ফুটবলারদের ৫০-৬০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পাওয়াটা এখন ‘ডালভাত’ই হয়ে গেছে। কিন্তু সে তুলনায় স্থানীয় কোচদের পারিশ্রমিকটা খুব একটা বৃদ্ধি পায়নি। তবে গত দু’এক বছর ধরে কিছুটা বাড়ছিল। গত মৌসুমে চট্টগ্রাম আবাহনীতে ৪০ লাখ টাকা পেয়েছিলেন টিটু। এবার রাসেলে পেতে যাচ্ছেন তারচেয়েও বেশি। শেখ রাসেলের ট্রেবল জয়ের ইতিহাসটা স্থানীয় কোচের হাত ধরেই। দেশের প্রথম ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ মারুফুল হক এক মৌসুমে তিন শিরোপা এনে দেয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। বর্তমানে এই কোচ আছেন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘে। গত মৌসুমের শেষ শিরোপা স্বাধীনতা কাপের ট্রফিটা আরামবাগের শোকেসে উঠেছে এই কোচের হাত ধরেই। আরেক স্থানীয় কোচ শফিকুল ইসলাম মানিককে গত মৌসুমে দলের দায়িত্ব দিয়েছিল শেখ রাসেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেবার শিরোপাশূন্য ছিল তারা। প্রিমিয়ার লীগে ১২ দলের মধ্যে হয়েছিল ষষ্ঠ। এবারের মৌসুুমে চ্যাম্পিয়ন হতে আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছে ক্লাবটি। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই কোচ টিটুকে নেয়া। তবে বর্তমানে টিটু ঢাকা আবাহনীর চুক্তিবদ্ধ কোচ। এএফসি কাপে তার সঙ্গে আবাহনীর চুক্তি আছে আগামী মে পর্যন্ত। চুক্তি শেষ হবার পরই শেখ রাসেলে যোগ দেবেন তিনি। গত মৌসুমে ৪০ লাখ টাকায় টিটুকে চুক্তিবদ্ধ করেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। পেশাদার লীগের ১৭ রাউন্ড পর্যন্ত দলকে শীর্ষস্থানে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। তার এই সাফল্য দেখেই মূলত ঢাকা আবাহনী এএফসি কাপের দায়িত্ব তুলে দেয় টিটুর কাঁধে। গুঞ্জন আছেÑ তিন ফুটবলারকে দলে ভেড়াতেই শেখ রাসেলকে খরচ করতে হচ্ছে দেড় কোটি টাকার বেশি। তাদের একজন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। এক মৌসুমে ৫৫ লাখ নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। ডিফেন্ডার আরিফুল ও ইয়াসিন খান নিচ্ছেন অর্ধকোটি করে। সব ঠিক থাকলে তাদেরও দেখা যাবে শেখ রাসেলের জার্সি গায়েই।
×