ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সুপার লীগে শেখ জামাল ধানমণ্ডি

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২১ মার্চ ২০১৮

সুপার লীগে শেখ জামাল ধানমণ্ডি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের (ডিপিএল) সুপার লীগে আগেই উঠেছে পাঁচ দল। আবাহনী লিমিটেড, প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতির পর গাজী গ্রুপ সুপার লীগে ওঠে। বাকি ছিল আরেকটি দলের সুপার লীগে ওঠা নিশ্চিত হওয়া। মঙ্গলবার ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৭৪ রানে হারিয়ে শেষ দল হিসেবে সুপার লীগে উঠেছে শেষ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শেখ জামালের জয়ে, ব্রাদার্সের হারে; রেলিগেশন লীগে খেলা থেকে মুক্ত হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রকে ২ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান। ম্যাচটিতে কলাবাগানের মোহাম্মদ আশরাফুল সেঞ্চুরি করেন। কিন্তু জিততে পারেনি কলাবাগান। অগ্রণী ব্যাংক লীগের শেষ ম্যাচে চমক দেখিয়েছে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে। এবার সুপার লীগে খেলবে আবাহনী, রূপগঞ্জ, খেলাঘর, প্রাইম দোলেশ্বর, শেখ জামাল ও গাজী গ্রুপ। আগামী মৌসুমে লীগ খেলা নিশ্চিত করে রেখেছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ১২ দলের লীগপর্ব শেষে রেলিগেশন লীগে খেলবে ব্রাদার্স, অগ্রণী ব্যাংক ও কলাবাগান ক্রীড়াচক্র। শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফি খেলে এসেই জাতীয় দলের মুশফিকুর রহীম, সৌম্য সরকাররা লীগ খেলতে নেমে গেছেন। কিন্তু ব্যাট হাতে ভাল করতে পারেননি। শেখ জামাল-ব্রাদার্স ম্যাচ ॥ ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করে ব্রাদার্স। আগে ব্যাট করার সুযোগটি পেয়ে খুব কাজেও লাগাতে পারেনি শেখ জামাল। ৪৭.১ ওভারে ১৮৪ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় শেখ জামাল। সৈকত আলী সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন। তানভির হায়দার ৩৩ ও ইলিয়াস সানি ৩১ রান করেন। জবাব দিতে নেমে ইলিয়াস সানির (৩/২২) স্পিন ঘূর্ণির সামনে পড়ে ৩৯.২ ওভারে ১১০ রান করতেই গুটিয়ে যায় ব্রাদার্স। সোহাগ গাজীও (৩/৩৬) দুর্দান্ত বোলিং করেন। মাইশুকুর রহমান ও দেবব্রত দাস ২৭ রান করে করতে পারেন। এই ম্যাচটিতে হেরে রেলিগেশন লীগে খেলতে হবে ব্রাদার্সকে। মোহামেডান-কলাবাগান ম্যাচ ॥ বিকেএসপিতে ম্যাচটি শুরু হয়েছে আধাঘণ্টা পর। দুই দল সাভারে ‘ট্র্যাফিক জ্যামে’ আটকেপড়ায় খেলা দেরিতে শুরু হয়। যথাসময়ে মাঠে উপস্থিত হয়ও দুই দল। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ শুরুর সময় খুব কম থাকায় আধাঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হয়। এই খেলায় জিতে শেষ পর্যন্ত মোহামেডান। ম্যাচটিতে আগে ব্যাটিং করে ৪৭.৫ ওভারে ২৬০ রান করে কলাবাগান। মোহাম্মদ আশরাফুল দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। ১২৪ বলে ১৩ চার ও ৩ ছক্কায় ১২৭ রানের ইনিংস খেলেন। এটি তার লিস্ট এ ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর। এবার লীগে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৩টি সেঞ্চুরিও করেছেন তিনি। তার এই ইনিংসেই কলাবাগান এত বড় স্কোর গড়ে। আরও বেশি রান হতে পারত। কিন্তু ৬ উইকেট নেয়া কাজী অনিক কলাবাগান ব্যাটসম্যানদের রুখে দেন। জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৯.২ ওভারে ২৬৩ রান করে মোহামেডান। এনামুল হক ৫৭, রনি তালুকদার ৫১ রান করেন। অগ্রণী ব্যাংক-রূপগঞ্জ ম্যাচ, মিরপুর ॥ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে তুষার ইমরানের ৯৮ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২০৪ রান করেই যেন হারের শঙ্কায় পড়ে যায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। আল-আমিন হোসেন (৪/৪৪), আব্দুর রাজ্জাক (২/৩৩) ও শফিউল ইসলামের (২/৩৬) দুর্দান্ত বোলিংয়েই এত কম রান করতে পারে রূপগঞ্জ। জবাব দিতে নেমে শাহরিয়ার নাফীসের ৮২, ধীমান ঘোষের অপরাজিত ৪৯, শামসুল ইসলামের ৪১ ও সৌম্য সরকারের ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৭.১ ওভারে ২১০ রান করে জিতে যায় অগ্রণী ব্যাংক। এই ম্যাচে জিতেও অগ্রণী ব্যাংককে রেলিগেশন লীগে খেলতে হবে। আর হেরেও পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই থাকছে রূপগঞ্জ। স্কোর ॥ শেখ জামাল-ব্রাদার্স ম্যাচ, শেখ জামাল ইনিংস ॥ ১৮৪/১০; ৪৭.১ ওভার (সৈকত ৫৫, তানভির ৩৩, ইলিয়াস ৩১; খালেদ ৩/৪১)। ব্রাদার্স ইনিংস ॥ ১১০/১০; ৩৯.২ ওভার (দেবব্রত ২৭, মাইশুকুর ২৭; ইলিয়াস ৩/২২, সোহাগ ৩/৩৬)। ফল ॥ শেখ জামাল ৭৪ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ ইলিয়াস সানি (শেখ জামাল)। মোহামেডান-কলাবাগান ম্যাচ, কলাবাগান ইনিংস ॥ ২৬০/১০; ৪৭.৫ ওভার (আশরাফুল ১২৭, করিম ৪৬, মাহমুদুল ৩৩; অনিক ৬/৪৯)। মোহামেডান ইনিংস ॥ ২৬৩/৮; ৪৯.২ ওভার (এনামুল ৫৭, রনি ৫১; সঞ্জিত ৩/৪৮)। ফল ॥ মোহামেডান ২ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ কাজী অনিক (মোহামেডান)। অগ্রণী ব্যাংক-রূপগঞ্জ ম্যাচ, রূপগঞ্জ ইনিংস ॥ ২০৪/৯; ৫০ ওভার (তুষার ৯৮, মোশাররফ ২৭, মুশফিক ২১; আল-আমিন ৪/৪৪)। অগ্রণী ব্যাংক ইনিংস ॥ ২১০/৪; ৪৭.১ ওভার (শাহরিয়ার ৮২, ধীমান ৪৯*, শামসুর ৪১; আসিফ ২/৪৬)। ফল ॥ অগ্রণী ব্যাংক ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ শাহরিয়ার নাফীস (অগ্রণী ব্যাংক)।
×