ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাদুঘরে জসীমউদ্দীনের কবিতা সংগ্রহের প্রকাশনা উৎসব

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২০ মার্চ ২০১৮

জাদুঘরে জসীমউদ্দীনের কবিতা সংগ্রহের প্রকাশনা উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় জাদুঘরে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের কবিতা সংগ্রহ প্রথম ও দ্বিতীয় খ-ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় সোমবার। এদিন বিকেলে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে দে’জ পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত এবং পুলক চন্দ সম্পাদিত জসীমউদ্দীনের কাব্যগ্রন্থ দুটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী করেন জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ অধ্যাপক ও বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান এবং প্রখ্যাত আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন। সভাপতিত্ব করেন ছায়ানটের সভাপতি সঙ্গীতজ্ঞ ড. সন্জীদা খাতুন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, কবি জসীমউদ্দীনের কবিতায় বাংলার রূপ, রসের দেখা পাওয়া যায়। সব লেখা সময়কে পাড়ি দিতে পারে না, সেক্ষেত্রে এই কবির লেখা কালোত্তীর্ণ। কবর কবিতা পড়লে বোঝা যায় কত স্পষ্ট করে আবেগ তিনি তুলে ধরেছিলেন এই কবিতায়। তাঁর কবিতা ছিল অসাম্প্রদায়িক। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবার থেকে তিনি উঠে এলেও তাঁর লেখায় স্থান পেয়েছে সকল ধর্মের মানুষ ও তাদের উৎসব। তিনি আরও বলেন, জসীমউদ্্দীন বাংলার অঘোষিত জাতীয় কবি। তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর বলেন, জসীমউদ্্দীনের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ছিল অসাধারণ যা তাঁর বক্তৃতা পড়লে বোঝা যায়। নাসীর আলী মামুন বলেন, মাটি ও মানুষের কবি জসীমউদ্দীন। বাংলায় অনেক বড় কবি এসেছেন কিন্তু মৃত্যুর কিছুদিন পর মানুষ তাদের মনে রাখেননি। কবি জসীমউদ্দীন তাদের থেকে আলাদা মৃত্যুর এতদিন পরও মানুষ তাঁকে মনে রেখেছে। তাঁর কবিতা এখনও মানুষকে করে বিমোহিত। সভাপতির ভাষণে সন্জীদা খাতুন বলেন, বাংলার এর আশ্চর্য কবি জসীমউদ্দীন। তিনি ছোটবেলা থেকেই কবিগানের প্রতি দুর্বল ছিলেন। তিলে তিলে তিনি নিজেকে পরিমার্জিত করেছেন। জসীমউদ্দীনের লেখনীতে দেখা পাওয়া যায় বাস্তব সত্যের। তিনি বলেন, জসীমউদ্দীন পল্লীকবি নয় বরং নাগরিক কবি। তিনি ছিলেন উঁচু মানের প্রতিভাবান একজন কবি। তাকে মানুষ এখনও স্মরণ করে, তিনি আছেন বাংলার মানুষের অন্তরে। থিয়েটার ভিশনের নৈশভোজ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন ॥ রোজার মাস বাদে সারা বছরই যেন সরব থাকে রাজধানীর নাট্যাঙ্গন। প্রতিদিনই সন্ধ্যায় রাজধানীর কোন না কোন মঞ্চে থাকে নাটকের প্রদর্শনী। পুরনো নাটকের নিয়মিত প্রদর্শনীর মাঝেই আবার মঞ্চে আসে নতুন নাটক। সেই সূত্র ধরে ঢাকা মঞ্চে এলো নতুন নাটক। নৈশভোজ নাটকটি মঞ্চে এনেছে নাট্যদল ভিশন থিয়েটার। ভারতের প্রখ্যাত নাট্যকার মনোজ মিত্রের রচনা থেকে প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন গোলাম শাহরিয়ার সিক্ত। সোমবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। উদ্বোধনী মঞ্চায়ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সভাপতিম-লীর সদস্য ঝুনা চৌধুরী ও সেক্রেটারি জেনারেল আকতারুজ্জামান, অধ্যাপক আবদুস সেলিম প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ভিশন থিয়েটারের সভাপতি মোঃ হারুনুর রশীদ।
×