ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

স্মৃতিকথা যেন ফুরাতেই চায় না

বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দেড় শ’ বছর পূর্তি উৎসব

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ১১ মার্চ ২০১৮

বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের  দেড় শ’ বছর পূর্তি উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ মাত্র তিন শিক্ষার্থী নিয়ে নারী শিক্ষায় মহাকালের পথ পরিক্রমায় যে নারী বিদ্যায়তনের যাত্রা শুরু সেই বিদ্যায়তনের ১শ’ ৫০ বছর পূর্তির উৎসব হলো শনিবার। ১৮৬৯ সালে বগুড়ায় মহারানী ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল (ভিএম) গার্লস হাই ইংলিশ স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। গেল শতকের ১৯৬২ সালের ২৫ মে রাষ্ট্রীয়করণ হয়ে নামকরণ করা হয় বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুলের উৎসব আয়োজনের প্রধান অতিথি ছিলেন এই স্কুলের ১৯৫৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী বর্তমান সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, সম্মানিত অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আরফিন আরা বেগম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী। সকালে র‌্যালির মাধ্যমে উৎসবের শুরু হয়। স্কুলের প্রাক্তন সকল শিক্ষার্থীর পরনে ছিল একই নক্সার নীল রঙের শাড়ি। এরপর স্কুল প্রাঙ্গণের সামিয়ানার নিচে অনুষ্ঠান মঞ্চে হয় উদ্বোধনী পালা। ‘হাতে রেখে হাত চলি মোরা একসাথে পাড়ি দিই দেড়শ’ বছর, কত কথা ফিরে দেখা সেই দিনগুলির...’ এই সূচনা সঙ্গীতের পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া বেগম। এর আগে কেক কাটা হয়। পর্যায়ক্রমে বক্তব্য রাখেন আয়োজনের আহ্বায়ক রওশন আরা বেগম রানী, শবনম আখতারী সাথী, তাজমেরী ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল। এরপর সম্মানিত অতিথিগণের পর বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি। উৎসবকে ঘিরে স্কুলের সামনের সড়কে অলঙ্করণ করা হয়। সুদৃশ্য প্লাকার্ড স্থাপিত হয় স্কুল থেকে সাত মাথা পর্যন্ত। উদ্বোধনের পর শুরু হয় স্মৃতিচারণের পালা। অংশগ্রহণের জন্য এসেছিলেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তাদের স্মৃতিকথা যেন ফুরোতেই চায় না। কেমন ছিল সেই দিনগুলি...। জানতে চায় নবীন শিক্ষার্থীরা। এ যেন নবীন প্রবীণের এক মিলনমেলা। যে মিলনে ভেসে ওঠে রবীন্দ্রনাথের গানের সুর ‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায় ও সেই চোখের দেখা প্রাণের কথা সে কি ভোলা যায়...’। স্মৃতির কত কথা কত সুখ, কত আনন্দ, কত দুঃখ, কত বেদনা এক হয়ে মিশে যায় উৎসবের সাগরে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সুখস্মৃতির মধুময় মিলনমেলা শেষ হয় রাত ৮টায়।
×