রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করা বেআইনী ॥ কাদের

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সভা-সমাবেশের যে ইতিহাস সেটা শুভকর নয়। বিএনপি রাস্তা বন্ধ করে বেআইনীভাবে সমাবেশ করতে যাওয়ায় পুলিশ বাধা দিয়েছে এবং বৃহস্পতিবার ঘটনার জন্য বিএনপি নিজেরাই দায়ী। প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তাটি বন্ধ করে বিএনপি যদি সমাবেশ করে সেই অবস্থায় পুলিশ তো হস্তক্ষেপ করবেই। রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ করা বেআইনী। সেই বেআইনী কাজটা বিএনপি করতে গিয়েছে। মন্ত্রী শুক্রবার বেলা এগারোটায় শহরের চাঁনমারী এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডের সংস্কার কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রীর পরিদর্শনকালে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলার আসামি। মামলার আসামিরা এমনিতেই পালিয়ে পালিয়ে থাকে। সমাবেশের পর মামলার আসামিদেরকে যদি পুলিশ সামনে পায় তবে তাকে ছেড়ে দিবে? মামলার আসামি যদি পুলিশের সামনে পরে, পুলিশ সেখানে ছেড়ে দিবে কিভাবে? যাদের পুলিশ খুঁজছে, এটা একটি ব্যাপার। রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ করা বেআইনী। বেআইনী কাজ তো পুলিশ বন্ধ করবেই এবং পুলিশ বেআইনী কাজ করতে দিবে না। আওয়ামী লীগের সমাবেশ তো রাস্তায় হয়নি। আমরা তো একটা ময়দানে সমাবেশ করেছি। আওয়ামী লীগ তো রাস্তা বন্ধ করে সভা সমাবেশ করে না। কাজেই এখানে বৈষম্যের কি আছে? বৈষম্যের কিছুই নেই। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশ করতে অনুমতি দেয়া হয়নি, মির্জা ফখরুলের এই অভিযোগের ব্যাপারে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি সভা করেনি, সমাবেশ করেনি। সভার অনুমতি দেয়া মেট্টোপলিটন পুলিশের ব্যাপার। পুলিশের কাছে তারা আবেদন করেছে, পুলিশেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক। দলীয়ভাবে এ ব্যাপারে আমাদের কোন ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) আছে, এটা মনে করা ঠিক নয়। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়, সিডিউল ঘোষণা আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি চলছে। আগামী অক্টোবর থেকেই প্রস্তুতি শুরু হবে। ইলেকশন হওয়ার আগে ইলেকশনের সিডিউল ঘোষণা হবে। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সবাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিএনপি বলছে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটা শিডিউল ঘোষণার পর। শিডিউলের আগে তো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে ইলেকশন কমিশনারের কোন করণীয় নেই। ইলেকশন কমিশনারের কিছু করণীয় থাকে সেটা হলো যখন সিডিউল হবে তখন। নির্বাচনী যে আচরণ বিধি, সেই আচরণী বিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা সেটা দেখার অবশ্যই নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের যে আচরণবিধি সেই আচরণবিধি মেনেই সব দলকেই নির্বাচনের কর্মকা- চালাতে হবে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডের কাজটি সম্পন্ন করতে ১৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা খরচ হবে। যদিও বাস্তবায়ন কাল ৬ মাস ধরা হয়েছে। তবুও আমরা এপ্রিল মাসের মধ্যেই (বর্ষার আগে) এ কাজটি সমাপ্ত করতে চাই। বর্ষাকালে জনদুর্ভোগ হবে, ভোগান্তি হবে। সেটা বিবেচনা করেই এখন দিনরাত এখানে কাজ করা হচ্ছে। নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে তিন মাস আগেই কাজটি সম্পন্ন হয়, সে ব্যাপারে আবারও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি। সারা দেশের ব্যাপারে বলছি, বর্ষার আগেই সড়কের যত রাস্তা আছে, নেটওয়ার্ক আছে, মহাসড়ক, জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক ও জেলা সড়ক আছে বর্ষার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কারের কাজ শেষ করতে হবে। চলমান কাজগুলো যানবাহনের চলাচলের উপযোগী করে রাখতে হবে এবং যে কোন মূল্যে ভরা বর্ষার আগেই সড়কের সব রাস্তা মেরামত কাজ শেষ করতে হবে। কোথাও কাজের মান খারাপ হবে না। কাজের মান খারাপ হলে সেখানে প্রকৌশলী, ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ভাল কাজ হলে পুরস্কার ও নিম্নমানের কাজ হলে শাস্তি ভোগ করতে হবে।