ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ৯ মার্চ ২০১৮

উবাচ

পৃথিবী যত দিন মশা তত দিন! স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আত্মীয়কে প্লেনে তুলে দিতে গিয়েছিলেন এক পুলিশ। তিনি কোন রকম পাসপোর্ট ভিসা টিকিট ছাড়াই বিনা বাধায় মামিকে নিয়ে প্লেনে উঠে গেলেন। প্লেন ছাড়ে ছাড়ে তাও ওই ব্যক্তির নামার নাম নেই। হঠাৎ পাইলট খেয়াল করলেন প্লেনের সিটের চেয়ে যাত্রী বেশি। তাও আবার একজন দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এ যেন কাউকে বাসে তুলে দেয়ার মতোই অবস্থা। কে সেই ব্যক্তি পরে জানা গেল আসল ঘটনা। পাইলট নিরাপত্তার কথা বলে প্লেন উড়াতে অস্বীকৃতি জানালেন। অবশ্য সেই সমস্যার সমাধান হলো। এবার মশারা দেখালো খেলা। মানুষ যখন পারে তারা কেন পিছিয়ে থাকবে। ঢাকায় মানুষের শুমারি হয়েছে মশার হয়নি। কিন্তু এক মানুষকে যখন অনেক মশায় ঘিরে ধরে তখন বুঝতেই হয় মশাদের সংখ্যা বেশি। মশারাও থামিয়ে দিল আরেক ফ্লাইট। দেশের নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা বিমান বন্দরে মানুষের পাশাপাশি মশাদের এই শক্তির মহড়া উপভোগ্য ছিল। সিটি কর্পোরেশন হট লাইন নাম্বার দিয়েছে ফোন করলেই মশা মেরে আসবে। এক ভদ্রমহিলা উত্তর সিটির কমিশনার তিনি নিজেই নেমেছেন কি করে মশা মারতে হয় দেখাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দেশের মন্ত্রীরা মশা নিয়ে কি ভাবছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন প্রশ্নে বলেছেন ‘পৃথিবী যতদিন থাকবে মশাও ততদিন থাকবে’। ভাগ্যিস মশাদের ভোটাধিকার নেই। মানবাধিকারের মতো মশাধিকার নিয়ে কেউ চিন্তা করেন না। করলে কি হতো কে জানে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে কেউ মশার কামড় খেয়ে অসুস্থ হলে তাকে সঠিকভাবে চিকিৎসা দেয়া। আর মশা নিধনের কাজ হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনগুলোর। আর বাড়ির ভেতরে মশা নিধনের দায়িত্ব হচ্ছে বাড়ির মালিকের। এর সাথে বাড়ির মালিক উক্ত বাড়ির আশপাশে পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা করবেন। . রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের নেতারা দিন দিন ভুলে যাচ্ছেন কী নিয়ে রাজনীতি করা উচিত আর কী নিয়ে উচিত নয়। দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার পর রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীলরা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা শুধু অনাকাক্সিক্ষতই নয় অশোভনও। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলছেন ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের মতো প্রথিতযশা লেখক তার ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ে এতো নিরাপত্তা, তার সিকিউরিটি, এর মধ্যে একজন সাহস করল, সাহস করে তার মাথায়-পিঠে-ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করল। এটাতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে মানুষের মনে- এটা কী করে সম্ভব? রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে কী করে সম্ভব? রিজভীর এই বক্তব্য কেউ বিশ^াস করেনি ঠিকই কিন্তু কেন হামলার স্বীকার একজন মানুষকে নিয়ে এসব মন্তব্য করা হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেকের মনে। , বিএনপির হাত! স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঘটনার পরপরই দ্রুত মন্তব্যে প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে চলে যায়। আর যদি দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তদন্তের আগেই ফল বলে দেয় তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। শিক্ষাবিদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার পর সরকার দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই হামলার পেছনে বিএনপির হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করলেন। সেই মন্তব্য ঘিরে শুরু হলো রাজনৈতিক বিতর্ক। কাদের বলেছিলেন, এই হামলা যে একটা চক্রান্ত এটা সত্য। চক্রান্ত তাদের, যাদের বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। কে ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা কারা তাকে দিয়ে ঘটনা ঘটিয়েছে এ বিষয়টা ইতোমধ্যে পরিষ্কার। এ কথা, সে কথা বলে বিভ্রান্তি যারা সৃষ্টি করে, তারা আজকে দেশের স্বার্থের পক্ষে কাজ করছে না। তদন্তে ‘নেপথ্যের কালপ্রিটরাও’ বেরিয়ে আসবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকার কোন ছাড় দেবে না।
×