ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মাশরাফির হ্যাটট্রিকে জয় আবাহনীর

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ৭ মার্চ ২০১৮

মাশরাফির হ্যাটট্রিকে জয় আবাহনীর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে হারের শঙ্কাতেই পড়ে গিয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। শেষে রক্ষাকর্তা হলেন একজনই। তিনি মাশরাফি বিন মর্তুজা। হ্যাটট্রিক করে আবাহনীকে বাঁচালেন। টানা চার বলে চার উইকেট নিয়ে আবাহনীকে শেষ পর্যন্ত ১১ রানে জেতালেন মাশরাফি। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের (ডিপিএল) অষ্টম রাউন্ডের খেলায় গাজী গ্রুপের কাছে ২৯ রানে ধরাশায়ী হয়েছে মোহামেডান। বিকেএসপিতে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবকে ১ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আবাহনী-অগ্রণী ব্যাংক নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ১৩৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান করে আবাহনী। জবাবটা ভালই দিচ্ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাটসম্যানরাও। শাহরিয়ার নাফীসের ১২১ রানে জয়ের কাছাকাছিও চলে গিয়েছিল অগ্রণী ব্যাংক। জয় মিললে চমকই দিত অগ্রণী ব্যাংক। ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রানেও চলে যায় অগ্রণী ব্যাংক। শেষ ওভারে জিততে যখন ১৩ রান দরকার। এমন সময়ই মাশরাফি গতির ঝড় তোলেন। প্রথম বলটি বাদ দিয়ে এরপর টানা চার বলে চার উইকেট তুলে নেন। ৪৬ রান করা ধীমান ঘোষকে আউট করার পর টানা তিন বলে আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল ইসলাম ও ফজলে রাব্বিকেও সাজঘরে ফেরান মাশরাফি। সেই সঙ্গে মোট ৬ উইকেটও তুলে নেন। অগ্রণী ব্যাংকও ৪৯.৫ ওভারে ২৭৯ রান করে অলআউট হয়ে যায়। লীগে দুর্দান্ত বোলিং করছেন মাশরাফি। প্রতিটি ম্যাচেই নিজেকে মেলে ধরছেন। দারুণ ছন্দে আছেন। তার ছন্দে দলও জিতছে। শীর্ষস্থানও বজায় রেখেছে। তবে ম্যাচটিতে মাশরাফি ম্যাচসেরা হননি। ম্যাচের নায়ক হয়েছেন শান্ত। তার অসাধারণ ব্যাটিংয়েই যে আবাহনী স্কোর মজবুত করতে পেরেছে। গাজী গ্রুপ-মোহামেডান ॥ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুই দলই অল্প রান করল। কিন্তু বাজিমাত করল গাজী গ্রুপ। আগে ব্যাট করে কাজী অনিকের (৪/২৮) ও মোহাম্মদ আজিমের (৩/৩২) দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩৫.৪ ওভারে ১৩৭ রান করতেই গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ। আসিফ আহমেদ সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। গাজী গ্রুপের ইনিংস শেষে ধরেই নেয়া হয়েছে মোহামেডান জিতবে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা এমনই ব্যর্থ হন যে ৩৩.২ ওভারে মাত্র ১০৮ রানেই শেষ মোহামেডানের ইনিংস। রকিবুল হাসান সর্বোচ্চ ২২ রান করতে পারেন। ম্যাচসেরা নাঈম হাসান ১০ ওভার বল করে ৩ মেডেনসহ ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। কামরুল ইসলাম রাব্বিও ৩ উইকেট শিকার করেন। প্রাইম ব্যাংক-প্রাইম দোলেশ্বর ॥ মার্শাল আইয়ুবের ১৩৫ রানে স্কোরবোর্ডে বড় রানই যোগ করে প্রাইম দোলেশ্বর। ৫ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৮৬ রান করে। কিন্তু মেহরাব হোসেন জুনিয়রের (১০২) সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংকই শেষ হাসি হাসে। ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৯.৪ ওভারে ২৮৭ রান করে জিতে। উত্তেজনাকর ম্যাচে জিতে যায় প্রাইম ব্যাংক। এরপরও প্রাইম দোলেশ্বরের মার্শাল আইয়ুবকেই ম্যাচের সেরা বেছে নেয়া হয়। স্কোর ॥ আবাহনী-অগ্রণী ব্যাংক ম্যাচ, আবাহনী ইনিংস ২৯০/৬; ৫০ ওভার (শান্ত ১৩৩, মিঠুন ৪৬; সালমান ২/৪০)। অগ্রণী ব্যাংক ইনিংস ২৭৯/১০; ৪৯.৫ ওভার (শাহরিয়ার ১২১, রাজা ৬২, ধীমান ৪৬; মাশরাফি ৬/৪৪)। ফল ॥ আবাহনী ১১ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাজমুল হোসেন শান্ত (আবাহনী)। গাজী গ্রুপ-মোহামেডান ম্যাচ, গাজী গ্রুপ ইনিংস ১৩৭/১০; ৩৫.৪ ওভার (আসিফ ৩৫, নাদিফ ২৮; অনিক ৪/২৮, আজিম ৩/৩২)। মোহামেডান ইনিংস ১০৮/১০; ৩৩.২ ওভার (রকিবুল ২২, শুভ ১৯; নাঈম ৩/২৭, রাব্বি ৩/৩৫)। ফল ॥ গাজী গ্রুপ ২৯ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নাঈম হাসান (গাজী গ্রুপ)। প্রাইম ব্যাংক-প্রাইম দোলেশ্বর ম্যাচ, প্রাইম দোলেশ্বর ইনিংস ২৮৬/৫; ৫০ ওভার (মার্শাল ১৩৫, ফরহাদ ৬৭*, রাব্বি ৪৫)। প্রাইম ব্যাংক ইনিংস ২৮৭/৯; ৪৯.৪ ওভার (মেহরাব জুনিয়র ১০২, সাজ্জাদুল ৫১; মামুন ২/৪৬)। ফল ॥ প্রাইম ব্যাংক ১ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ মার্শাল আইয়ুব (প্রাইম দোলেশ্বর)।
×