স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ও নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান ॥ সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) একটি যুগোপযোগী বাহিনীতে পরিণত করতে অনেক উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। ইতোমধ্যেই রিজিওন, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন এবং বিওপিগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। সমগ্র সীমান্ত সুরক্ষার জন্য আরও স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এ দিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বান্দরবানে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আমাদের বিজিবি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ওরা শক্তিশালীÑ কখনও মাথানত করে না।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বাইতুল ইজ্জতে বিজিবির একমাত্র ট্রেনিং সেন্টার এ্যান্ড কলেজে ৯১তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কুচকাওয়াজে প্যারেড কমান্ডার ছিলেন মেজর কাজী মঞ্জুরুল ইসলাম এবং প্যারেড এ্যাডজুটেন্ট সহকারী পরিচালক মোঃ শাহাদাত হোসেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজিবিকে একটি চৌকস, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত বাহিনী হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, একটি বাহিনীর বলিষ্ঠ হিসেবে গড়ে উঠতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম, সৎ চরিত্র, মানসিক দৃঢ়তা, অধ্যবসায়, শৃঙ্খলাবোধ এবং সঠিক নেতৃত্ব। বাহিনীকে সুশৃঙ্খল ও দক্ষ বাহিনীতে উন্নীত করতে একজন সৈনিকের আনুগত্য, শৃঙ্খলা, মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অনুশীলন করা প্রয়োজন। কুচকাওয়াজে তিনি ৯১তম ব্যাচের ৫৩৫জন নবীন সৈনিকদের মধ্য থেকে বিষয়ভিত্তিক প্রথম স্থান অর্জনকারী এবং সকল বিষয়ে শ্রেষ্ঠ নবীন সৈনিকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। শ্রেষ্ঠ নবীন সৈনিক বিবেচিত হন সিপাহি মোঃ তুহিন মিয়া। স্বরাষ্ট্র্রমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন, মর্যাদা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমে উজ্জীবিত থাকার জন্য সৈনিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের বিজিবি সেখানে (সীমান্তে) সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, আমাদের বিজিবি দেশকে ভালবাসে এবং দেশের ভেতরে এসে কেউ কোন রকম বিশৃঙ্খলা করবে এটা অসম্ভব। আমাদের বিজিবি অত্যন্ত শক্তিশালী, তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, তারা তাদের ট্রেনিংয়ে সেই জিনিসটা প্রাপ্ত হয়েছে। আমাদের বিজিবি কখনও মাথানত করে না।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এমপি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের-তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অহেতুক সমরস্ত্র প্রদর্শন করেছে। আমাদের বিজিবির মহাপরিচালক মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কেন তারা এখানে অহেতুক সমরস্ত্র প্রদর্শন করছে সেটা জানার চেষ্টা করছে আমাদের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, (মিয়ানমার) যা বলে তারা তা করে না, আমাদের বিজিবি অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে।