ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মনোয়ার হোসেন

বিদায়ী লেখকদের প্রতি ভালবাসা, নেই অভিজিতের বই

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বিদায়ী লেখকদের প্রতি ভালবাসা, নেই অভিজিতের বই

না থেকেও একুশের বইমেলায় প্রবলভাবে বিরাজমান সব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হক। সদ্যপ্রয়াত শওকত আলীও আপন সৃষ্টির সৌকর্যে বিচরণ করছেন সদর্ভে। বিদায়ী এই বরেণ্য লেখকদের শেষ জীবনের লেখা বইগুলো কদর পাচ্ছে পাঠকের কাছে। লেখকদ্বয়ের সদ্য বেরুনো বইগুলো কিনে পাঠকেরা যেন ভালবাসা জানাচ্ছেন তাদের প্রতি। নতুন বইয়ের সঙ্গে লেখকদ্বয়ের গদ্য-পদ্যের পুরনো গ্রন্থগুলোও আকৃষ্ট করছে বইপ্রেমীদের। আবার লেখকের প্রতি পাঠকের এমন ভালবাসার উল্টো দৃশ্যেরও দেখা মেলে বইমেলায়। যুক্তিনির্ভর মুক্তচিন্তার বই লেখার কারণে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মেলা থেকেই বেরুনোর পথে জঙ্গী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অভিজিৎ রায়। এই বিজ্ঞান লেখকের কোন বইমেলায় না পেয়ে হতাশ হয়েছেন পাঠক। অভিজেতের আলোচিত গ্রন্থ ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ও ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ সর্বশেষ প্রকাশ ও পরিবেশন করেছিল জাগৃতি। এই দুই বই প্রকাশের কারণে খুন হয়েছিলেন প্রকাশনীটির প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন। মৌলবাদের সেই আস্ফালনে জাগৃতির স্টলে এখন আর রাখা হয় না বই দুটি। অভিজিতের বইয়ের আরেক প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বর। এই প্রকাশনীর প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী জঙ্গী হামলায় আহত হওয়ায় গত বছর মেলায় থেকে অংশ নিচ্ছে না শুদ্ধস্বর। সোমবার বিকেলে মেলার ২৬তম দিনে ফেরদৌসী রিতা নামে এক কর্মজীবী নারী জাগৃতির স্টলে খুঁজছিলেন অভিজিৎ রায়ের বই। খুঁজে না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করে এই প্রতিবেদককে বললেন, মেলায় এসেছিলাম ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ও ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ বই দু’টি কিনতে। বই দুটি আগে পড়া হয়নি। সংগ্রহ করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ধর্মান্ধদের ভয়ে বই দুটি আর স্টলে রাখছে না প্রকাশনা সংস্থাটি। মনে হচ্ছ, ওরা যা চেয়েছিল শেষ পর্যন্ত সেটাই ঘটেছে। অভিজিৎ রায়ের বই কেন স্টলে নেইÑএ প্রসঙ্গে জাগৃতির প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, আমার ছেলে কখনও ইসলামবিদ্বেষী ছিল না কিংবা ধর্মবিদ্বেষী মতবাদও ধারণ করতো না। শুধুমাত্র অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশের কারণে খুন হতে হয়েছে দীপনকে। তাহলে আবার কেন মৃতু্যুর ঝুঁকি নিয়ে স্টলে বই রাখব। সেই মৃত্যু সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে কোন ভূমিকা রাখতে পারলেও বইটি রাখার বিষয়ে চিন্তা করতাম। এবার বলি বেদনার উল্টোপিঠে দেখা লেখকের প্রতি পাঠকের ভালবাসার কথা। বসন্ত বিকেলে মেলার উদ্যান অংশে ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশের সামনে শওকত আলীর বই নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলেন এক পাঠক। দেখা শেষে প্রয়াত এই লেখকের সর্বশেষ আসা ‘বামন’ নামের গল্পগ্রন্থটি কিনে নিলেন তন্ময় হায়দার নামের গ্রন্থানুরাগী। এরপর প্রথম দেখাতেই একই প্রকাশনী থেকে সংগ্রহ করলেন কিংবদন্তি এ লেখকের সদ্য বেরুনো আত্মজীবনী ‘অবিস্মৃত স্মৃতি’। কথা প্রসঙ্গে এই বইপ্রেমী বললেন, বই দুটি কিনে আমার প্রিয় লেখকের প্রতি ভালবাসা জানালাম। আর ইত্যাদির প্রকাশক জহিরুল আবেদিন জুয়েল জানালেন, মেলায় আসা বইয়ের মধ্যে শওকত আলীর বই দুটির ব্যাপক কাটতি আছে পাঠকের কাছে। এবারের মেলায় আসা শওকত আলীর তিনটি গ্রন্থের মধ্যে সর্বশেষ লেখা উপন্যাস ‘শুধু কাহিনী’ প্রকাশ করেছে ইন্তামিন প্রকাশন। নতুন এই প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক ডি. কে. সৈকত জানান, তাদের প্রকাশনীর বহুল বিক্রীত বইয়ের তালিকায় রয়েছে শওকত আলীর বইটি। এছাড়া শওকত আলী রচিত বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী সৃষ্টি ‘প্রদ্রোষে প্রাকতৃজন’ এ বছরের মেলায়ও দারুণ কাটতি রয়েছে জানান গ্রন্থটির প্রকাশনা সংস্থা ইউপিএলের বিপণন কর্মী জারিপ হোসেন। একইভাবেই এবছর মেলায় আসা সৈয়দ শামসুল হকের গদ্য-পদ্যের বইগুলোরও রয়েছে ব্যাপক পাঠকচাহিদা। অন্যপ্রকাশ থেকে এসেছে কবিতার বই ‘উৎকট তন্দ্রার নীচে’ ও উপন্যাস ‘নদী কারো নয়’। চারুলিপি প্রকাশন থেকে এসেছে পিয়াস মজিদ সম্পাদিত সৈয়দ শামসুল হকের ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’। একই প্রকাশনী থেকে এসেছে সৈয়দ শামসুল হক স্মরণগ্রন্থ ‘ফুলের গন্ধের মতো থেকে যাবো...’। প্রথমা থেকে এসেছে সৈয়দ শামসুল হকের তিনটি নতুন উপন্যাস ‘আনারকলি’, ‘বালিকার চন্দ্রযান’ ও ‘তুমি সেই তরবারি’। মাওলা ব্রাদার্স থেকে এসেছে ‘বিন্দু’ শিরোনামে সৈয়দ শামসুল হকের সংকলন গ্রন্থ। য়ারোয়া বুক হাউজ এনেছে কাব্যগ্রন্থ ‘বুনো বৃষ্টির গান’। বাতিঘর থেকে এসেছে কিশোর উপন্যাস ‘মৃত্যুভয়াল সিন্ধু’। পাঞ্জেরি পাবলিকেশন্স এনেছে সৈয়দ হকের কিশোর উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ ‘হাডসনস্ গান’। বইটির অনুবাদ করছেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। দীপক চৌধুরীর দুই বই ॥ মেলায় এসেছে মম প্রকাশ থেকে প্রকাশিত সাংবাদিক ও লেখক দীপক চৌধুরীর দুই বই। ‘কেন টার্গেট হাসিনা’ নামের প্রবন্ধগ্রন্থে লেখক তুলে ধরেছেন পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের ছয় বছর পর দেশে ফেরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া নানা ষড়যন্ত্রের কথা। উঠে এসেছে কিভাবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে বারবার হত্যার টার্গেটে পরিণত করেছে ঘাতকরা। সেই সাথে লেখক তুলে ধরেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচার শুরুসহ ঘাতকদের মৃত্যুদ- কার্যকরসহ নানা চ্যালেঞ্জের মুখে এগিয়ে চলা শেখ হাসিনার অবিচল নেতৃত্বে কথা। আর ‘ভালোবাসার ডুবসাঁতার’ নামের গল্পগ্রন্থে লেখক মেলে ধরেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ, শরণার্থী শিবিরের চিত্রসহ মুক্তিযুদ্ধের নানা আখ্যান। দশ প্রকাশনীকে একাডেমির সতর্কবার্তা ॥ মেলার নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে সোমবার দশ প্রকাশনীকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে আয়োজক বাংলা একাডেমি। নীতিভঙ্গের অভিযোগে চিঠিপ্রাপ্ত প্রকাশনীগুলো হলো- আলীগড় লাইব্রেরি, দোয়েল, ঘাষফড়িং, চলন্তিকা বইঘর, হলি পাবলিকেশন্স, সুপ্ত পাবলিকেশন্স, লাবনী, চিরন্তন প্রকাশ, সিসিবি ফাউন্ডেশন ও রাবেয়া বুক হাউজ। এ বিষয়ে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, জাতীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ লেখা, পাইরেট বই, এক প্রকাশনীর বই আরেক প্রকাশনীতে বিক্রিসহ মেলার নীতিমালার ৬.১, ৬.২, ১৩.৩ ও ১৩.১৪ ভঙ্গের দায়ে প্রকাশনীগুলোকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, চিঠির জবাব সন্তোষজনক না হলে আগামী বইমেলায় তাদেরকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হবে না। টাস্কফোর্সের এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বলেন, প্রতিবারই বাংলা একাডেমি অভিযান চালিয়ে বেশকিছু স্টলকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় তাদের এ অভিযানকে ব্যর্থ বলেই মত দেন অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী। তিনি বাংলা একাডেমির তালিকার বাইরে তাদের সমিতির পক্ষ থেকে অনুসন্ধান করে আরও চারটি প্রকাশনী নাম উল্লেখ করেন। এ চারটি প্রকাশনী হলোÑ শুভ্রপ্রকাশ, সুলেখা, চিলড্রেন বুকস ও আদি প্রকাশনী। ২৬তম দিনের বইমেলা ॥ রবিবার দিবাগত রাতে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ঝরেছে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিতে ভিজেছে উদ্যান অংশের গোটা পনের প্রকাশনা সংস্থার প্যাভিলিয়ন ও স্টল। তবে মেলার একেবারে শেষ দিকের এ বৃষ্টিতে বই বিক্রিতে ভাটা পড়েনি বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা। সেই কথার প্রমাণ হিসেবে সোমবার মেলাজুড়ে দেখা গেছে অসংখ্য পাঠক। স্টলে স্টলে ঘুরে ঘুরে তারা সংগ্রহ করেছে পছন্দের বইটি। অন্যপ্রকাশ, আগামী, কাকলী, তাম্রলিপি, প্রথমা, অনন্যা, অবসরসহ অধিকাংশ প্যাভিলিয়ন ও স্টলে বইয়ের ব্যাপক বিকিকিনি হয়েছে। সেই সুবাদে প্রকাশকসহ বই বিতানের বিপণন কর্মীরা কাটিয়েছেন দারুণ ব্যস্ত সময়। আজ মঙ্গলবার পেরিয়ে কাল বুধবার শেষ হবে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। তাই মেলার ২৬তম দিনে বেলা তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত পুরোটা সময়জুড়েই ছিল বইপ্রেমীদের ভিড়। আগের রাতে বৃষ্টির কারণে সোমবার পনেরটির মতো প্রকাশনা সংস্থা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সময় প্রকাশন, পাঞ্জেরি পাবলিকশেন্স ও প্রথমা প্রকাশন। এর বাইরে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সালাউদ্দিন বইঘর, ইন্তামিন, আল আমিন একাডেমি, নবযুগ, বাঙালি, সংবেদ, গ্রন্থকুটির, সন্দেশ, আফসার ব্রাদার্স, প্রিয়মুখ ও জার্নিম্যান বুকস। এর মধ্যে সময় প্রকাশনের প্রায় তিনশ, প্রথমা প্রকাশনের আড়াইশ, সংবেদের শতাধিক, পাঞ্জেরি পাবলিকেশন্সের ৩০০টি, ইন্তামিন প্রকাশনীর ৫০টি, গ্রন্থকুটিরের ৩০টির মতো বই বৃষ্টিতে ভিজেছে বলে স্টলে কর্মকর্র্তারা জানান। বই কথন ॥ চারুলিপি থেকে এসেছে কবি মুহাম্মদ সামাদের কাব্যগ্রন্থ ‘পোড়াবে চন্দন কাঠ’। রামেন্দু মজুমদারের ‘মুক্তিযুদ্ধের ১০ নাটক’ প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল পাবলিকেশন্স। পার্বত্যভূমি নিয়ে শ্যামসুন্দর সিকদার রচিত প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘নীল জল অরণ্য’ প্রকাশ করেছে য়ারোয়া বুক কর্নার। আবদুল্লাহ শুভ্র রচিত কাব্যগ্রন্থ ‘ফাগুন রাঙা শব্দ’ প্রকাশ করেছে অন্য ধারা পাবলিকেশন। হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলায় নিহত অবিন্তা কবিরের ‘অনন্য নক্ষত্র’ প্রকাশ করেছে এপিপিএল। অনন্যা থেকে এসেছে গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীরের ‘স্মৃতিকাব্যে প্রিয়মুখ’। সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণে বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। সাজ্জাদ আলম খানের ‘অর্থশাস্ত্র নয় সামাজিক অর্থনীতি’ প্রকাশ করেছে র‌্যামন পাবলিশার্স। প্রান্ত পলাশের ‘চিয়ার্স, ক্যামেলিয়া’ এনেছে বাতিঘর। শেখ খলিলুর রহমানের ‘মুজিবগাথা’ এনেছে বাঙালি। বিধরু ভিক্ষুর ‘মহামানব গৌতম বুদ্ধ’ এনেছে ঐতিহ্য। পিয়াস মজিদ সম্পাদিত ‘অগ্রন্থিত আব্দুল মান্নান সৈয়দ (২য় খ-)’ এনেছে অনিন্দ্য প্রকাশ। পীর হাবিবুর রহমানের ‘জেনারেলের কালো সুন্দরী’ এনেছে অন্যপ্রকাশ। কাকলী থেকে এসেছে আনোয়ারা বেগমের ‘খাদ্যে ভেজাল রোধে ফর্মুলা’। মেলামঞ্চের আয়োজন ॥ সোমবার বিকেলে গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে ছিল ‘বিজয় সরকার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহিদা খাতুন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোঃ শাহিনুর রহমান, স্বরোচিষ সরকার এবং আকরাম শাহীদ চুন্নু। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল স্বপন গুহের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রূপান্তর’-এর পরিবেশনা। আজকের অনুষ্ঠান ॥ আজ মঙ্গলবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২৭তম দিন। মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেলে গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে রয়েছে ‘বাংলা একাডেমির অমর একুশে গ্রন্থমেলা এবং বাংলাদেশের প্রকাশনার মান উন্নয়নের সমস্যা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন খান মাহবুব। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন বদিউদ্দিন নাজির, রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং মোস্তফা সেলিম। সভাপতিত্ব করবেন ফজলে রাব্বি। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
×