ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ঝলক

ডিম পাড়া কিশোর ! খবরটি আশ্চর্য হলেও সত্যি। ইন্দোনেশিয়ার এক কিশোর দুই বছরে কমপক্ষে ২০টি ডিম পেড়ে আলোচনায় এসেছে। ১৪ বছর বয়সী এ ছেলেটির নাম আকমল রুশলি। ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের কাবুপাতেন গোয়া গ্রামে তার বাস। মঙ্গলবার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের সিচ সানগুমিনাসা হাসপাতালে সামান্য সময়ের ব্যবধানে দুটি ডিম পাড়ে আকমল। ডিম দুটি দেখতে অবিকল আমাদের দেশের মুরগির ডিমের মতো। ওই কিশোরের পরিবারের দাবি, আকমলের ডিম পাড়ার খবর এই প্রথম নয়। এর আগে গত দুই বছরে আপনা আপনি আরও ১৮টি ডিম পেড়েছে আকমল। খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার পেটের নিচের অংশে প্রচ- ব্যথা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা আকমলের পেটে এক্সরে করলে এই ডিম দুটির ছবি ভেসে ওঠে। এই বিরল দৃশ্য দেখে চিকিৎসকরাও ভিরমি খান। পরে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তার পায়ু পথে সামান্য অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রথম ডিমটি এর কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয়টি বের করা হয়। প্রথম ডিমটির ভেতরের অংশ হলুদ। আর দ্বিতীয়টির ভেতরের অংশ পুরোপুরি সাদা। এ ঘটনার পর চিকিৎসকরা বিশ্বের বাঘা বাঘা ডাক্তারদের শরণাপন্ন হয়ে জানতে পারেন এটি আসলে একটি রোগ। আকমলের শরীরে ‘কর্পাস এলিনাম’ নামে একটি বিরল রোগ বাধা বেঁধেছে। তবে ছেলেটির দাবি মুরগির মতো ডিম পাড়ার প্রাকৃতিক ক্ষমতা তার আছে। কারণ এর আগে সে নিজে নিজেই অনেকগুলো ডিম পেড়েছে। এ ঘটনার পর ওই হাসপাতালের সামনে উৎসুক জনতা ও গণমাধ্যম কর্মীদের আনাগোনা বেড়েছে। অনেকেই আকমলের সাক্ষাতকার নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। ওই হাসপাতালের মুখপাত্র মুহাম্মদ তাসলিম বলেছেন, ‘আমাদের প্রথমে সন্দেহ হয়েছিল যে আকমলের পায়ুপথ দিয়ে এগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে প্রবেশ করানো হয়েছে। তবে পরীক্ষার পর আমরা এ ধরনের কোন কিছু পাইনি। খবরটি আমাদের কাছে অলৌকিক মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বৈজ্ঞানিকভাবে মানুষের দেহের মধ্যে ডিম সৃষ্টি হতে পারে না। কারণ মানুষের হজম প্রক্রিয়া রয়েছে।-ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস অবলম্বনে। ফেসটাইম বাঁচাল নারীর প্রাণ আইফোনের ফেসটাইম ভিডিওতে এক নারী তার বোনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেসময় তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন এবং সেটি তার বোনের চোখে পড়ায় তার জীবন বেঁচে গেছে। সুস্থ হয়ে উঠার পর তিনি বলছেন, এই ফেসটাইম প্রযুক্তি তার জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে। ওপুকোয়া কোয়াপং নামের এই নারী যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে থাকেন। সেখান থেকে তিনি কথা বলছিলেন ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার শহরে বসবাসকারী তার বোন আদুমেয়াং সাপোং-এর সঙ্গে। কথা বলার সময় সাপোং তার বোনের মুখে এক ধরনের পরিবর্তন দেখতে পান। তার কাছে মনে হয় যে তার বোন আসলে দেখতে যেরকম তাকে ঠিক সেরকম দেখাচ্ছে না। তার বোনের কণ্ঠ ক্রমেই ভেঙ্গে পড়ছে। এটা টের পাওয়ার পরপরই তিনি একটা ব্যবস্থা নেন যা তার বোনকে বাঁচিয়ে দেয়। কোয়াপং বলছেন, তার বোন বুঝতে পারছিলেন না তার পরিস্থিতি কতটা গুরুতর হয়ে উঠেছিল। তখন আমি ফেসটাইম ভিডিও কলে দেখলাম যে আমার বোনের মুখ বাঁকা হয়ে ঝুলে পড়ছে। আমি তখন ফোন রেখে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলি। এরপর কোয়াপং ৯১১ নম্বরে ফোন করেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিবিসি অবলম্বনে।
×