ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেছে ॥ যাচাই কমিটি

প্রকাশিত: ০৮:০১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেছে ॥ যাচাই কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি এসএসসি পরীক্ষার একটি বিষয়ের সম্পূর্ণ এবং কয়েকটির আংশিক প্রশ্নফাঁসের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ে গঠিত কমিটি। পুরো প্রশ্নফাঁস হওয়া পরীক্ষাটি বাতিলের সুপারিশ করা হবে বলেও জানান এই সংক্রান্ত কমিটি। রবিবার সচিবালয়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে কমিটির প্রধান মোঃ আলমগীর সাংবাদিকদের একথা জানান। এসএসসিতে প্রায় প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্ন ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে আসার পর সমালোচনার মুখে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আলমগীরকে প্রধান করে এই কমিটি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রশ্নফাঁসের কোন প্রমাণ পেয়েছেন কিনা এই প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘আছে, কিছু কিছু আংশিক আছে। কিছু কিছু পুরোপুরি আছে।’ যেসব বিষয়ের আংশিক ফাঁস হয়েছে সেসব ক্ষেত্রে পুরো পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করবে না কমিটি। তথ্য যাচাই বাছাই কমিটির প্রধান আলমগীর আরও বলেন, পরীক্ষা বাতিল করবে মন্ত্রণালয়। আমরা শুধু সুপারিশ করব। বেশ কয়েক বছর ধরে ফেসবুকে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হলেও সরকারের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হচ্ছিল। সম্প্রতি ভয়াবহ আকারে প্রশ্ন ফাঁসের পর সরকার বলছে, পরীক্ষার কিছুক্ষণ আগে উদ্দেশ্যমূলকভবে শিক্ষকরা প্রশ্ন ফাঁস করে দিচ্ছেন। যে বিষয়ের প্রশ্ন পুরোটা ফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে তা জানায়নি কমিটি। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান জানান, আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আরেকটি সভা করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করবেন তারা, আর প্রতিবেদন জমা দেবেন ২৬ ফেব্রুয়ারি। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি। আলমগীর আরও বলেন, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে শুরুতে ৩০০ মোবাইল নম্বর চিহ্নিত করলেও এর বাইরে প্রতিদিনই নতুন মোবাইল নম্বর পুলিশ পাচ্ছে। সারাদেশে ৬০ থেকে ৭০ জনের মতো গ্রেফতারও হয়েছে বলে জানান তিনি। যেসব মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে তার মধ্যে কিছু ভিআইপি থাকার কথা জানালেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানি। এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের মধ্যে গত ৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় মনিটরিং এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির জরুরী সভায় ১১ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়।
×