ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী যাচ্ছেন ২২ ফেব্রুয়ারি ॥ উদ্বোধন করবেন ২০ উন্নয়ন প্রকল্প

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী যাচ্ছেন ২২ ফেব্রুয়ারি ॥ উদ্বোধন করবেন ২০ উন্নয়ন প্রকল্প

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী নগর ও জেলায় ২0টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়া রাজশাহীর উন্নয়নে ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আরও ৯টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানানো হবে। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব দাবি তুলে ধরবেন রাজশাহী আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী সফর ও জনসভা ঘিরে শনিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও মহানগর সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাজশাহী আসছেন। ওই দিন ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের জনসমুদ্রে তিনি ভাষণ দেবেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২0টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। লিটন জানান, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। নগরীতে গেট, ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। জনসভাস্থল মাদ্রাসা ময়দানে নৌকা সদৃশ বিশালাকার মঞ্চ নির্মাণ শুরু হয়েছে। জনসভায় প্রায় ৫ লাখ মানুষ উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মতবিনিময়কালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার জানান, প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর ২০ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। আর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ৯টির। এর বাইরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৯টি দাবি জানানো হবে। রাজশাহীর উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী তার জনসভা থেকে এসব দাবি পূরণের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীতে যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সেগুলো হলো- রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয় ও তার সঙ্গে এক হাজার শয্যাবিশিস্ট আধুনিক হাসপাতালের উদ্বোধন। এ ছাড়া রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীনে চন্দ্রিমা, কাশিয়াডাঙা, কাটাখালি, এয়ারপোর্ট, পবা, কর্ণহার, দামকুড়া ও বেলপুকুর থানার উদ্বোধন। বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প রাজশাহী জোনের অধীনে মেহেরচণ্ডি ও কাশিয়াডাঙার দুইটি উপকেন্দ্র নির্মাণের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজের ৪তলা একাডেমিক ভবন উদ্বোধন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ডিগ্রী কলেজের ৫ম তলা একাডেমিক ভবন উদ্বোধন, দামকুড়া হাট কলেজের ৪র্থ তলা একাডেমিক ভবন উদ্বোধন, আড়ানী ডিগ্রী কলেজের ৪র্থ তলা একডেমিক ভবনের উদ্বোধন, আব্দুল করিম সরকার ডিগ্রী কলেজের ৪র্থ তলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন, বাগমারা কলেজের ৪র্থ তলা একাডেমিক ভবন, বিড়ালদহ কলেজের ৪র্থ তলা ভবন উদ্বোধন ও রাজশাহী মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবনের ৬ষ্ঠ তলার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। তাছাড়া রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অধীনে রাজশাহী-নওগাঁ প্রধান সড়ক হতে মোহনপুর রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩২৪ দশমিক ৫০ মিটার ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর অধীনে পুঠিয়ায় বারনই নদীতে রাবার ড্যাম নির্মাণের উদ্বোধন, গণপূর্ত বিভাগের অধীনে রাজশাহীর কাশিয়াডাঙা এলাকায় রাজশাহী নর্থ জোন স্টেশন, নওহাটা ফায়ার স্টেশন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে রাজশাহীতে নির্মিত ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড সার্ভে ইন্সটিটিউট উদ্বোধন, গোদাগাড়ী উপজেলার বড়গাছী ও রাজাবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিস এবং চারঘাট উপজেলায় চারঘাট ও নন্দনগাছি ভূমি অফিস, চারঘাট উপজেলার কৃষ্ণপুর থেকে জাহাঙ্গীবাদ সড়কে ২৩০ মিটার চেইনেজে বড়াল নদীর ওপরে ৯৬ মিটার পিএসসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ। রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলা সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ও হল রুম উদ্বোধন। এ দিকে জনসভার শুরুতে প্রধানন্ত্রীকে রাজশাহীর উন্নয়নে ৯টি দাবি পেশ করবেন নেতারা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজশাহীতে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন, একটি বালক ও একটি বালিকা সরকারী বিদ্যালয় স্থাপন, রাজশাহীতে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, প্রস্তাবিত চামড়া শিল্প নগরী স্থাপন, রাজশাহী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উন্নীত করা, রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সাংস্কৃতিক বলয় নির্মাণ, রাজশাহী থেকে ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন চালুকরণ ও রাজশাহী থেকে আব্দুলপুর রেলপথ ডবল লাইন এবং ডুয়েল গেজ লাইন স্থাপন। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে উন্নয়নের সরকার। প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর উন্নয়নে তাদের প্রস্তাবনা অবশ্যই বিবেচনায় রাখবেন। এসব উন্নয়ন বাস্তবায়নে জনসভা থেকে ঘোষণাও দিতে পারেন। তিনি বলেন রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জন¯্রােত নামবে। জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
×