ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে বোরো চাষ, এক বছরে ৩০ ভাগ বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 আমতলীতে বোরো চাষ, এক  বছরে ৩০ ভাগ বৃদ্ধি

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ৯ ফেব্রুয়ারি ॥ আমতলীতে বোরো চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো চাষ ৩০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাল ফলনের আশা করছে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ বোরো আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিরলস চেষ্টা করছে। জানা গেছে, গত বছর আমতলীতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়ছিল ১৩০ হেক্টর। এ বছর ওই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের আশাবাদ করছে কৃষি বিভাগ। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩০ ভাগ বোরো চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। বোরো ধান চাষের উপযুক্ত সময় মধ্য কার্তিক থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। উচ্চ ফলনশীল জাতের বিরি-২৮, বিরি-২৯, বিরি-৪৭ ও বিরি-৫৮ ধান চাষ করছে কৃষকরা। বীজতলা থেকে শুরু করে পাঁচ মাসের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের ফলন আসে। আমতলীর কৃষকরা এখন বোরো চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী, আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া, চাওড়া, আমতলী সদর ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা বোরো চাষ করছে। কৃষকরা জমি চাষ, সেচ, বোরো ধানের চারা উত্তোলন ও বপন কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পূর্ব চিলা গ্রামের কৃষক জলিল হাওলাদার, মজিবর, রিপন, নাঈম ও রুবেল হাওলাদার জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর কৃষকরা বেশি বোরো চাষ করছে। আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা জানান, গত বছর ভাল ফলন হওয়ায় এ বছর চার একর জমিতে বোরো চাষ করেছি। চিলা গ্রামের জাফর হাওলাদার জানান, তিন একর জমিতে ১২ হাজার টাকায় বোরো চারা উত্তোলন ও রোপণের জন্য চুক্তিতে দিয়েছি।ঘোপখালী গ্রামের আফজাল শরীফ জানান, গত বছর এক একর জমিতে বোরো চাষ করেছিলাম ফলন ভাল হওয়ায় এ বছর ৫ একর জমিতে বোরো চাষ করেছি। আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম বদরুল আলম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। গত বছর বোরো অর্জিত হয়েছিল ১৩০ হেক্টর। এ বছর গত বছরের লক্ষ্যমাত্রা কয়েকগুণ ছাড়িয়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হবে বলে আশা করছি।
×