ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দলীয় আনুগত্য যোগ্যতার মানদ- হতে পারে না ॥ ড. কামাল

প্রকাশিত: ০৮:৩৪, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

দলীয় আনুগত্য যোগ্যতার মানদ- হতে পারে না ॥ ড. কামাল

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নিয়োগ দেয়া হচ্ছে দলীয় পৃষ্ঠপোষকতার ভিত্তিতে। কিন্তু তা হওয়ার কথা ছিল যোগ্যতার ভিত্তিতে। কিন্তু দলীয় আনুগত্য সে যোগ্যতার মানদ- হতে পারে না। পায়ের ধুলা নিয়ে নিয়োগের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। নীতিগতভাবে এটাকে নিষিদ্ধ করতে হবে। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : নতুন যুগের সন্ধানে’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও লেখক সম্মীলন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. রেহমান সোবহান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ফেলো ড. রওনক জাহান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এবং জার্মানভিত্তিক ফাউন্ডেশন ফ্রেডরিক-এবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস)’র ফ্রানজিসকা কর্ন। ড. কামাল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা প্রফেসর হওয়ার জন্য পাগল হয়ে থাকে, তারা পুরোপুরিই অযোগ্য শিক্ষক। যাদের প্রফেসর হওয়ার যোগ্যতা নেই তারা ‘মাননীয় উপাচার্য’ পর্যন্ত হয়ে গেছেন। আর অযোগ্যরা যারা উপাচার্য হয়েছেন এবং হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাদের সবার আগে বাদ দেয়া দরকার। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : নতুন যুগের সন্ধানে’ বইটি সময়োপযোগী। প্রশ্নগুলোও সময়োপযোগী। বইটিতে ২০২১ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রথম ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও বাহিরের মাননির্ধারক সংস্থাগুলোর কাজ করার আশা দেখা যায়। ২০২১ এর মধ্যে এর বাস্তবায়ন শুধু স্বপ্ন নয়, মহাস্বপ্ন। এটার জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতার কমিশন দরকার। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের ব্যাপারে ছাত্রদের মূল্যায়নের সুযোগ দিতে হবে। শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রথম শর্ত মূল্যায়নের সুযোগ। এর মাধ্যমে তথ্য পাওয়া যাবে। যার মাধ্যমে কমিশন ঘাটতিগুলো বুঝতে পারবে। তিনি আরও বলেন, একাত্তরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা জীবন দিয়েছিলেন, তার মাধ্যমে আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম। স্বাধীনতাটা হলো আমাদের জন্য বড় সুযোগ। এই সুযোগটা স্বাধীনতার আগে স্বপ্ন ছিল। স্বাধীনতার পরে অনেকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে।
×