ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় চালকসহ দুই খুন

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সাতক্ষীরায় চালকসহ দুই খুন

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ আশাশুনিতে চালককে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত (চার্জার) ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মহেশ্বরকাটি গ্রামের বেতনা নদীর চর থেকে ওই ভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ভ্যান চালকের নাম ইসরাফিল হোসেন বুড়ো (১৮)। তিনি উপজেলার কুল্যা গ্রামের মোসলেম সরদারের ছেলে। জানা যায়, শুক্রবার সকালে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ইসরাফিল। এরপর আর ফেরেনি। সকালে লোকমুখে খবর পায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করে তার ভ্যানটি ছিনতাই করা হয়েছে। অন্যদিকে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী মামুন পরিবহন থেকে ফিরোজ মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিণ ল্যাংগাপাড়া এলাকার মৃত ময়না মিয়া তালুকদারের ছেলে। তার শ্বশুরবাড়ি সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকায়। ফতুল্লায় ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় মোনালিসা (১২) নামে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত মোনালিসা স্থানীয় হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে। নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার সকালে মোনালিসার বাবা-মা নরসিংদী জেলার মাধবদী এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। বাড়িতে মোনালিসা ও তার একমাত্র ছোট ভাই শাহেদ ছাড়া আর কেউ ছিল না। এ সুযোগে সাঈদ নামের স্থানীয় এক বখাটে যুবক পানি খাওয়ার কথা বলে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। সে মোনালিসার ছোট ভাইকে কৌশলে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে দেয়। এরপর ওই যুবক মোনালিসাকে ধর্ষণ করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ছোট ভাই সাঈদের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে ঝুলন্ত অবস্থা মোনালিসাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কালকিনিতে ছাত্রের লাশ উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা কালকিনি, মাদারীপুর থেকে জানান, প্রলাট ম-ল নামের এক কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সে মাদারীপুর সরকারী নাজিমুদ্দিন কলেজের এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তবে এলাকাবাসীর দাবি তাকে তার পিতা হরিহর ম-ল হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পিতা হরিহর ম-ল পলাতক রয়েছে। শনিবার সকালে নিহত ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। জানা গেছে, উপজেলার আলীনগর এলাকার চরলক্ষিপুর গ্রামের হরিহর ম-লের সঙ্গে তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে প্রলাট ম-লের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে শনিবার সকালে প্রলাটের লাশ বাড়ির পাশের একটি আমগাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এলাকাবাসী। টঙ্গীতে দোকান ম্যানেজার নিজস্ব সংবাদদাতা টঙ্গী থেকে জানান, শনিবার সকালে টঙ্গীর নতুন বাজারে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় লবনের পাইকারী দোকান ম্যানেজারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তার নাম শরিফুল (৫০) গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার নেঙ্গেরপোতা গ্রামে। সহকর্মীরা জানান, সকালে নাস্তা খেয়ে দোকানে আসার পর পর ম্যানেজার চেম্বারে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশটি দেখা যায়।
×