সংবাদদাতা, বদরগঞ্জ, রংপুর, ২ ফেব্রুয়ারি ॥ ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বদরগঞ্জে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে চাষীদের ১৫-২০ ফুট মাটির নিচে বৈদ্যুতিক মোটার পাম্প বসিয়ে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে কৃষকদের। এছাড়াও কৃষি জমিতে একই বৈদ্যুতিক পোলে মাটি থেকে মাত্র ফুট দুয়েক ওপরে মর্টার পাম্পের ১০ থেকে ১৫টি মিটারের সংযোগ দেয়া হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে এ সংযোগে যে কোন মুহূর্তে প্রাণনাশসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে এলাকার সাধারণ মানুষ একাধিকবার অভিযোগ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভ্যান করছে। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের শালবাড়ীর হাট এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, ওই এলাকার কৃষকরা ক্ষেতের এক কোণে ১৫-২০ ফুট গর্ত করে মোটার পাম্প স্থাপন করেন। পোল থেকে খুঁটিবিহীন বৈদ্যুতিক তার মাটির ওপর দিয়ে নিয়ে সেচ পাম্পে সংযোগ নেন তারা। এ ব্যাপারে কৃষক মোছাদ্দেক হোসেনসহ অনেকের সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, চলতি মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গর্ত করে মাটির নিচে মোটার বসিয়ে ডেলিভারি পাইপের সাহায্যে জমিতে সেচ দিচ্ছি। এতে এ মৌসুমে আমাদের প্রতি সেচ পাম্পে ব্যয় হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, পোল সঙ্কটের কারণে উপজেলার বিদ্যুত অফিস থেকে একই পোলে আমাদের একাধিক সংযোগ দিয়েছে এবং আমরা নিজ খরচে বাঁশের খুঁটির সাহায্যে মোটার পাম্পে সংযোগ নিয়ে সেচ দিচ্ছি।