ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সন্তানকে দেখতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে পোশাক কারখানার কর্মী জুয়েল ইসলাম (২৮)। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামে। জুয়ল ওই গ্রামের কৃষক অলিয়ার রহমানের ছেলে। দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জানান, জুয়েলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জলঢাকা উপজেলার বামনাবামনি গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে মমতা বেগমের বিয়ে হয় তিন বছর আগে। জুয়েল ঢাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানার কর্মী। তাদের ৫ মাস বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ছুটি না পেয়ে বাড়ি আসতে না পারায় তার স্ত্রী কন্যা সন্তান নিয়ে অভিমানে বাবার বাড়ি চলে যায় দুই মাস আগে। এ অবস্থায় গত দুই দিন আগে জুয়েল ঢাকা হতে নিজবাড়ি ফিরে। স্ত্রীকে সন্তান নিয়ে তার বাড়িতে আসার জন্য জানালেও স্ত্রী আসেনি। ফলে বুধবার বিকেলে জুয়েল শ্বশুরবাড়ি যায় স্ত্রী ও সন্তানকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য। জুয়েলের বাবা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, রাত ১০টার দিকে ছেলে একাই বাড়ি ফিরে এসে তাকে জানায় তার স্ত্রী রাগ করেছে সে আসবে না। এমনকি তার মেয়ে সন্তানকে দেখতে চেয়েও দেখতে পায়নি। এ নিয়ে সে কান্নাকাটি করছিল। তাকে সান্ত¦না দিয়ে রাতে আমরা এক বিছানায় ঘুমাই। সকালে উঠে আমি জমিতে বোরো আবাদে চলে যাই। এমন সময় খবর পাই জুয়েল ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস দিয়েছে। ছুটে এসে দেখি তার নিথর দেহ ঝুলছে। আমার বউমা যদি এমন কা- না করত তাহলে আমার ছেলে মৃত্যুর পথ বেছে নিত না। অপরদিকে স্বামীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে সন্তান নিয়ে ছুটে আসা স্ত্রী মমতা বেগম বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান ফিরতেই বলে উঠছিল ‘এমন ভুল মুই ক্যানে স্বামীর উপর রাগ করনু। এমন ভুল আর কাহো করেন না।
×