ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে আজ আবাহনী-আরামবাগ

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে আজ আবাহনী-আরামবাগ

রুমেল খান ॥ চারদিনের বিরতির পর আজ শুক্রবার থেকে আবারও শুরু হচ্ছে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের খেলা। বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড মুখোমুখি হবে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের। ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ খ্যাত আবাহনী এর আগে এই আসরে দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে (১৯৭৭ এবং ১৯৮৯ সালে)। এছাড়া সর্বশেষ ২০১৬ আসরের রানার্সআপও বটে। তবে ‘দ্য রাইজিং স্ট্রেন্থ’ খ্যাত আরামবাগ এ পর্যন্ত এ আসরের ফাইনালেই উঠতে পারেনি। ফলে আজকের ম্যাচে যে আকাশী-নীলরাই ফেবারিট তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে গত আসরে আবাহনীকে কিন্তু তারা গ্রুপ ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে রুখে দিয়েছিল। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, টানা চারদিন স্বাধীনতা কাপের খেলা বন্ধ রাখার কারণ কী? বাফুফে জানিয়েছে এএফসি কাপে সাইফ স্পের্টিং ক্লাব লিমিটেড অংশ নেয় চট্টগ্রাম আবাহনীর সাত এবং মোহামেডানের এক ফুটবলারকে ধার নিয়ে। যদিও স্বাধীনতা কাপের চলমান আসরে সাইফ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারেনি, বাদ পড়ে গ্রুপপর্বেই। ধারে খেলা ওই ফুটবলারদের ছাড়া আবার স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নারাজ চট্টগ্রাম আবাহনী (তারা আবার এই আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, মোহামেডানও অবশ্য গ্রুপপর্বেই বাদ পড়েছে)। এ জন্যই চারদিনের বিরতি। ১৯৮২ সালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং ২০১২ সালে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র লিমিটেড এক মৌসুমে তিনটি শিরোপা জিতেছিল। ২০১৮ সালে এমনটি করে দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে ঢাকা আবাহনীও। তারা এবার মৌসুমটা শুরু করে ফেডারেশন কাপ জিতে (দশমবারের মতো) তারপর জেতে প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা (সপ্তদশবারের মতো)। এবার তারা স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের শিরোপা জিতে সফলভাবে শেষ করতে চায় মৌসুম। দলটির ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপুও জানিয়েছেন, স্বাধীনতা কাপ জিতে ২০১৬-১৭ মৌসুম শেষের লক্ষ্য তাদের। বিদেশীরা যেহেতু এবারের আসরে খেলবে না, সেহেতু দেশী খেলোয়াড়দের জন্য নিজেদের উপস্থাপনের সুযোগ পেয়েছে আবাহনী। তাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল নকআউট পর্বে যাওয়া। এরপর ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুনো। সেই লক্ষ্যেই আজ মাঠে নামবে তারা। এবারের আসরে ‘সি’ গ্রুপে টিম বিজেএমসিকে ২-০ এবং শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২ খেলায় সর্বোচ্চ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে শেষ আটে নাম লেখায় আবাহনী। পক্ষান্তরে ‘ডি’ গ্রুপে আরামবাগ হয় গ্রুপ রানার্সআপ, তাও অনেক সমীকরণ মিলিয়ে। কেননা ওই গ্রুপের তিনটি দলেরই সমান পয়েন্ট (২) ছিল। প্রতিটি দলই ড্র করে। ‘ডি’ গ্রুপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড এবং আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ১-১ গোলে ড্র করে। এর ফলে তিন দলেরই ২ খেলায় সমান ২ পয়েন্ট হয়ে যায়। কিন্তু গোল বেশি করায় চট্টগ্রাম আবাহনী (সপক্ষ গোল ২, বিপক্ষ গোল ২) গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন এবং আরামবাগ (১/১) গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে কাক্সিক্ষত শেষ আটে নাম লেখায়। এতে কপাল পোড়ে সাইফের। কেননা তাদের পয়েন্ট (২) ও গোল (১/১) আরামবাগের সমান হলেও কোয়ার্টারে যেতে পারেনি। কারণ কার্ডের খেলায় হেরে যায় তারা। বাইলজ অনুযায়ী গ্রুপে একাধিক দলের পয়েন্ট ও গোল সমান হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে দেখা হবে কোন দল লালকার্ড ও হলুদ কার্ড বেশি পেয়েছে। এই তিন দলের কারুরই কোন লালকার্ড নেই। তবে হলুদ কার্ড আছে। চট্টগ্রাম আবাহনী এবং সাইফের ২টি ও আরামবাগের ১টি। যেহেতু চট্টগ্রাম আবাহনী গোলগড়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করে ফেলেছে সেহেতু বেশি হলুদ কার্ড পেলেও সেটা তাদের বেলায় প্রযোজ্য হয়নি। আরামবাগ যেহেতু সাইফের চেয়ে কম হলুদ কার্ড পেয়েছে তাই সৌভাগ্যের ছোঁয়া পেয়ে তারা গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে চলে যায় কোয়ার্টারে। ফলে কার্ডের মারপ্যাঁচে পড়ে কপাল পোড়ে সাইফের। আজ কি আবাহনীকে হারিয়ে অঘটন ঘটানোর পাশাপাশি এই আসরে নিজেদের প্রথম জয়টাও কুড়িয়ে নিতে পারবে আরামবাগ?
×