ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইনডেমনিটি জারি খুনী মোশতাকের, আইনে পরিণত করে জিয়া

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ইনডেমনিটি জারি খুনী মোশতাকের, আইনে পরিণত করে জিয়া

সংসদ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধুর খুনীদের যাতে বিচারের সম্মুখীন হতে না হয়, সেজন্য খুনী খন্দকার মোশতাক আহমেদ ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে অন্যতম জেনারেল জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে উক্ত অধ্যাদেশটি সংসদে অনুমোদনক্রমে আইনে পরিণত করা হয়। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি জানান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের অনুমোদন ও সমর্থন সংক্রান্ত সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৮ অনুচ্ছেদ সংযোজনের মাধ্যমে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের আমলে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংবিধান (পঞ্চম সংশোধন) আইন, ১৯৭৯ দ্বারা সংবিধানে উক্ত কালো আইন ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স সংযোজন করা হয়েছিল। আইনমন্ত্রী জানান, উক্ত কালো আইনের বিষয়ে সংসদে কোন আলোচনাই করা হয়নি। এ ছাড়া জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে। এরপর জেনারেল এরশাদ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বহাল রাখে এবং এইসব খুনীদের মধ্যে অন্যতম আত্মস্বীকৃত খুনীদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা করে। মন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সরকার গঠন করার পর ১৯৯৬ সালের ১২ নবেম্বর ইনডেমনিটি রিপিল বিল জাতীয় সংসদে পাস করা হয়। যা ১৯৯৬ সালের ১৪ নবেম্বর গেজেট প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে উক্ত কালো ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সটি রহিত করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার কার্যক্রম শুরু করা হয়। সরকারী দলের অপর সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজনের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণকে ন্যায় বিচার দেয়ার লক্ষ্যে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। অপরাধ করে কেউ যাতে পার পেয়ে না যায় এবং বিচার এড়াতে না পারে সেজন্য বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে অপরাধীদের প্রচলিত আইনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করে বিচার নিশ্চিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটি বর্তমান সরকারের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পূরণের একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন।
×