ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁকড়া শিকারে জীবিকা চার শতাধিক জেলে পরিবারের

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮

কাঁকড়া শিকারে জীবিকা চার শতাধিক জেলে পরিবারের

বরগুনার তালতলী উপজেলার ট্যাংরাগিরি বনাঞ্চলে কাঁকড়া শিকার করে সংসার চলে চার শতাধিক জেলে পরিবারের। প্রতিদিন এ জেলেরা জীবিকার তাগিদে বনের গভীরে ঢুকে কাঁকড়া শিকার করে। এদের মূল পেশা কাঁকড়া শিকার। জানা গেছে, তালতলী উপজেলার ট্যাংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আয়তন ৯ হাজার ৯শ’ ৭৫.০৭ একর। এ বনের মধ্যে নয়টি খাল রয়েছে। খালগুলো হলো বান্দ্রা খাল, মেরজেআলীর খাল, সিলভারতলীর খাল, ফেচুয়ার খাল, গৌয়মতলার খাল, কেন্দুয়ার খাল, সুদিরের খাল, বগীর দোন খাল ও চরের খাল। বর্ষার মৌসুমে এ বনাঞ্চলে পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। এ খালগুলোর মধ্যে জোয়ার ভাটার পানি প্রবাহমান। এ খালের বিভিন্ন স্থানে কাকড়া গর্ত তৈরি করে বসবাস করে। কাঁকড়া শিকারীরা কাঁকড়া শিকারীরা বনের গহীনে ঢুকে খালের ওই কাঁকড়ার গর্তে লোহার রড দিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে কাঁকড়া শিকার করে। এ বনে চার শতাধিক কাঁকড়া শিকারী রয়েছে। তালতলী, কলাপাড়া ও বরগুনার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ শিকারীরা এসে কাঁকড়া শিকার করে। কাঁকড়া শিকার করে তারা প্রতিদিন ৫ থেকে ১ হাজার টাকা আয় করে। এ দিয়েই চলে তাদের সংসার। প্রকার ভেদে এ সকল কাঁকড়া ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে আড়তদারের কাছে বিক্রি করে। আড়তদাররা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রফতানি করে থাকেন। কাঁকড়া শিকারী নিজামুর রহমান ও মোঃ জলিল হাওলাদার জানান, কাঁকড়া শিকার করে দৈনিক ৫ থেকে ৬শ’ টাকা আয় করি। এ দিয়েই চলে সংসার। তারা আরও জানান, গহীন অরণ্যের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁকড়া শিকার করতে হচ্ছে। এ জঙ্গলে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ও বন্যপ্রাণী রয়েছে। ওইগুলোর সঙ্গে মোকাবেলা করে কাঁকড়া শিকার করতে হয়। শিকারী আবদুল রাজ্জাক ‘মোগো কোন জায়গা জমি নাই কারহা শিহার করইয়্যা খাই’। সোহেল জানান, কাঁকড়া শিকার করতে ফরেস্ট কর্তৃপক্ষকে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে কাঁকড়া শিকার করতে দেয় না। মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘মোগো আর কোন কাম নাই কাড়হা ধইর‌্যা সোংসার চালাই। প্রতিদিন কাড়হা ধরলে ৫ থেকে ৬শ’ টাহা পাই।’ ফকিরহাট মৎস্য সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ আবদুস সালাম হাওলাদার জানান, শিকারীরা কাঁকড়া শিকার করে তাদের জীবন জিবিকা নির্বাহ করে থাকে। তালতলী সকিনা বীট কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ প্রামাণিক বলেন, জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি দু’মাস প্রজনন মৌসুম এ সময়ে কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ। এ ছাড়া বাকি সময়ে কাকড়া ধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। - মোঃ হোসাইন আলী কাজী আমতলী-বরগুনা থেকে
×