ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কালীগঙ্গা নদী ড্রেজিং বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ॥ পাইপে আগুন

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

কালীগঙ্গা নদী ড্রেজিং বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ॥ পাইপে আগুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ১৯ জানুয়ারি ॥ কালীগঙ্গা নদীতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। শুক্রবার সকালে মানিকনগর এলাকায় নদীর তীরে শত শত নারী পুরুষ ঝাড়ু মিছিল করে ড্রেজিং বন্ধের দাবি জানান। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ লোকজন ড্রেজিংয়ের পাইপে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা জানান, নদী থেকে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করায় দুই তীর ভেঙ্গে যাচ্ছে। নদীতে বিলীন হচ্ছে তীরবর্তী ফসলি জমি ও বাড়িঘর। বাপ-দাদার ভিটেমাটি হারিয়ে অনেকেই অসহায় হয়ে পড়েছেন। কয়েক জায়গায় ধরনা দিলেও ড্রেজিং বন্ধ না হওয়ায় তারা আন্দেলনে নেমেছেন। হযরতপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কনা বেগম জানান, নদী থেকে ক্রমাগত মাটি উত্তোলন করায় তাদের ৩৩ শতাংশ জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হযরতপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মজিবুর রহমান জানান, কয়েক বছর ধরেই স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন করায় তীরের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাঝে কিছুদিন বন্ধ ছিল। এখন আবার ড্রেজিং শুরু হয়েছে। জানা গেছে, পূর্বে যারা ড্রেজিং বসিয়ে মাটি বালু উত্তোলন করেছেন তারা সরকারের অনুমতি না নিয়েই অবৈধভাবে এটা করেছেন। আর এখন সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক নদীতে নাব্য সৃষ্টির লক্ষে ড্রেজিং করা হচ্ছে। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা এটা মানতে নারাজ। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আ.স.ম. মাসরেকুল আরেফিন জানান, কেরানীগঞ্জের তুলশীখালী সেতু থেকে মানিকগঞ্জের ঝামসা ব্রিজ পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন স্থানে নৌ-যান চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত নাব্যতা না থাকায় সরকার ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে ওইসব স্থানে নাব্য সৃষ্টি করছে। এজন্য সার্ভে করা হয়েছে এবং অত্যাধুনিক মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীর তীর ভাঙ্গবে না। কিন্তু স্থানীয় লোকজন অতীতের অভিজ্ঞতার কারণে ভুল বুঝে আন্দোলন করছেন।
×