ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি

বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৭ জানুয়ারি ২০১৮

বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের কারাদণ্ড

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় ভারতের বিহার রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে বিশেষ সিবিআই আদালত। সেই সঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। একই মামলায় লালু প্রসাদ ছাড়াও আরও দশজনের শাস্তি হয়েছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের। পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠতে পারে আশঙ্কায় লালু প্রসাদকে আদালতে হাজির করা হয়নি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় তার সাজা ঘোষণা করেন বিচারপতি শিবপাল সিংহ। একুশ বছর আগে ১৯৯৬ সালের ২৭ জানুয়ারি চাইবাসায় অবস্থিত পশু পালন অধিদফতরের অফিসে অভিযান চালালে সাড়ে নয় শ’ কোটি রুপীর পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি উদ্ঘাটন হয়। এতে তখনকার মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবেরও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। বিহারে পশুখাদ্য কেনা ও সরবরাহ করতে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানকে সরকারী তহবিল দেয়ার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে যাদবের বিরুদ্ধে। সরকারের নি¤œ পদস্থ কর্মচারীরা ভুয়া তহবিল হস্তান্তর দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি শুরু করেন। কিন্তু আরও গভীরে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদরাও সরকারী বিপুল অর্থ লুটপাটের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। ভারতের তখনকার নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক টিএন চতুর্বেদী খেয়াল করলেন যে বিহারের রাজস্ব বিভাগ মাসিক হিসাব জমা দিতে বেশ বিলম্ব করছে। ১৯৮৫ সালের দিকে সম্ভাব্য অর্থপাচারের বিষয়ে তিনি সরকারকে সতর্ক করে দেন। লালু প্রসাদ যাদব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে বিহারের পশু পালন বিভাগ ওষুধ কেনার নামে প্রতারণাপূর্ণভাবে এক হাজার কোটি রুপী উত্তোলন করে নেয়। কিন্তু অভিযান চালানো হয় আরও কয়েক বছর পরে ১৯৯৬ সালে। ফুল চাঁদ, মহেশ প্রসাদ, বেইক জুলিয়াস, সুনীল কুমার, সুশীল কুমার, সুধীর কুমার ও রাজা রামকে লালু প্রসাদের সমান সাজা দেয়া হয়েছে। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় লালুপুত্র তেজ প্রতাপ যাদব বলেন, আমরা ভীত সন্ত্রস্ত নই। আমরা আত্মবিশ্বাসী বাবা জামিন পাবেন। বিচার বিভাগের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।
×