ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জিডিপি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের তাগিদ

প্রকাশিত: ০৮:১৩, ৫ জানুয়ারি ২০১৮

জিডিপি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের তাগিদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানো প্রয়োজন। বর্তমানে সঞ্চয় বাড়লেও তা বিনিয়োগে আসছে না। এছাড়া বর্তমানে জনসংখ্যার বোনাসকাল চললেও সেটি ঠিক মতো কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ফলে জনসংখ্যার বোনাস শেষ পর্যন্ত সুযোগ না হয়ে দুর্যোগও হতে পারে। তাই কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্যোগ প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সঠিক তথ্য-উপাত্ত পেতে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সক্ষমতা বাড়ানোরও তাগিদ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ‘প্রবৃদ্ধি পুনর্বিবেচনা এবং সংশোধন: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তরা এ তাগিদ দেন। তবে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, বিনিয়োগ না বাড়লেও প্রবৃদ্ধি বাড়তে পারে। বিশ্বের অনেক দেশে এ অবস্থা হয়েছে। যেমন মালেয়শিয়া। এক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলেই ২০২০ সালে যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার আগেই ২০১৯ সালেই জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ অর্জন সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, বেসরকরী খাত দেশের মূল শক্তি। এ খাতই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, আর সরকার শুধু সহায়তা দিয়ে যাবে। যত প্রকার সহযোগিতা প্রয়োজন সব দেয়া হবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এবং যুক্তরাজ্যের আলস্টার ইউনির্ভাসিটির প্রফেসর এস.আর ওসমানি। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মোঃ জিয়াউল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. ফরাস উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, ঢাবির প্রফেসর ড. সেলিম রায়হান, গবেষক রুশিদান ইসলাম, সেন্টার ফর পলিসিডায়লগের (সিপিডি) রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক আমীর হোসেন প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জিডিপির ভিত্তিবছর পরিবর্তন প্রয়োজন। কেননা এখন প্রযুক্তি, ই-কমার্স, মোবাইল ব্যাংকিংসহ অনেক নতুন বিষয় অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে। এসব জিডিপির হিসাবে আনতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে রোবটিকস ও প্রযুক্তির মতো বিষয় যোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে চীন অনেক দূর এগিয়ে গেছে। প্রবৃদ্ধির হিসাব অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে না মেলার কারণ হিসেবে বলেন, সরকারী বিনিয়োগ ৭ শতাংশের মতো হচ্ছে। আর বেসরকারী বিনিয়োগ কিছুটা কম হচ্ছে। তবে এটা বাড়াতে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসে এলএনজি আমদানি করা হবে। তখন শিল্পে আর জ্বালানি সঙ্কট থাকবে না। এদিকে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কিভাবে ৫ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। তবে পেঁয়াজের দাম নিয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে বলেন উল্লেখ করেন তিনি।
×