ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সঠিক সময়ে রক্তনালীর রোগ নির্ণয় না হওয়ায় বহু রোগী মারা যাচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ৪ জানুয়ারি ২০১৮

সঠিক সময়ে রক্তনালীর রোগ নির্ণয় না হওয়ায় বহু রোগী মারা যাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সঠিক সময়ে রক্তনালীর রোগ নির্ণয় না হওয়ায় যথাযথ চিকিৎসার অভাবে বহু রোগী মারা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সচেনতনা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের পক্ষে রক্তনালীর রোগসমূহ সম্পর্কে ভালভাবে জানা সম্ভব হয়ে উঠে না। সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে বিষয়টি দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাসকুলার সার্জারি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল্লাহ আল হারুন । প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ এর ভাসকুলার এ্যান্ড এ্যান্ডোভাসকুলার বিভাগের প্রধান ডাঃ নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের পালমোনারি এ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ রুমি আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক ডাঃ রকিবুল হাসান। উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান বলেন, রক্তনালীর রোগ বিষয়ে যথাযথ সচেতনতার অভাব রয়েছে। রক্তনালীর রোগ নির্ণয়ের সুবিধা সর্বত্র নেই। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয়ের অভাবে অকালে অনেক রোগীর মৃত্যু ঘটছে। রক্তনালীর রোগসমূহের সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি চালুর বিষয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, এ্যাবডোমিনাল এ্যাওরটিক এ্যানেউরিজম হলো তলপেটের প্রধান রক্তনালী। যা রক্তচাপের কারণে বেলুনের মতো ফুলে ফেটে রোগী মারা যায়। তবে অস্ত্রোপচার ছাড়া এ রোগের সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। বাংলাদেশে এখনও এ পদ্ধতি চালু হয়নি। এ পদ্ধতি চালু হলে অনেক রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হবে। অন্যদিকে রক্তনালীর ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে পা ফুলে যায় এবং জমাট বাঁধা রক্ত ফুসফুসে গিয়ে জমাট হয়ে ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়। এতে রোগী মারা যায়।
×