ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৪৬ বছরেও সুযোগ সুবিধা পায়নি তালিকাভুক্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭

৪৬ বছরেও সুযোগ সুবিধা পায়নি তালিকাভুক্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ২৪ ডিসেম্বর ॥ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানী হানাদারের হাতে নিহতের তালিকাভুক্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা’র (শহীদ মোস্তফা) পরিবার স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা পায়নি। তালিকাভুক্ত ওই শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য প্রমাণসহ বার-বার আবেদন করলেও রহস্যজনক কারণে সরকারী কোন সুযোগসুবিধা তাদের ভাগ্যে জোটেনি। জানা গেছে, উপজেলার ধানীসাফার চিত্রা গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মাস্টার ওরফে একরাম আলী হাওলাদারের পুত্র গোলাম মোস্তফা ১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। যুদ্ধ চলাকালে মঠবাড়িয়ায় প্রথম যে সাত জন পাকবাহিনী ও রাজাকারদের হাতে নিহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা অন্যতম। নিহত ওই সাত জনের ৬ মুক্তিযুদ্ধের পরিবার ভাতাসহ রাষ্ট্রীয় সুযোগসুবিধা ভোগ করলেও শহীদ গোলাম মোস্তফা’র পরিবার রহস্যজনক কারণে আজও সরকারী সকল সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। অথচ দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মঠবাড়িয়া কেএম লতীফ ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণীর ছাত্র গোলাম মোস্তফা’র নামানুসারে বিদ্যালয়ের মাঠটি শহীদ মোস্তফার নাম অনুসারেই খেলার মাঠ নামকরণ করা হয়। ওই মাঠে মহান বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ সকল সরকারী ও বেসরকারী কর্মসূচী পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু সরকারী সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাসহ সচেতন মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শহীদ গোলাম মোস্তফার ছোট ভাই সাবেক সেনা সদস্য গোলাম কবির (বাদল) জানান, তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নং মুবিম/প্রঃ৩/মুক্তিযোদ্ধা/গেজেট/২০০৩/৪৭৯ বাংলাদেশ গেজেটের (অতিরিক্ত) কপি তালিকাভুক্ত করে ২০০৫ সালের ১৪ মে প্রকাশ করে। ওই গেজেটে জাতীয় কমিটির সুপারিশক্রমে শহীদ গোলাম মোস্তফা’র সিরিয়াল নং ৮৫৯। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় সরকারী কোন সাহায্যের তালিকায় অন্তভুক্ত হয়নি। মঠবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বাচ্চু মিয়া আকন গোলাম মোস্তফা ছাত্রাবস্থায় শহীদ হওয়ায় এবং তার মা-বাবা ও বিধবা বোন না থাকায় সরকারী পরিপত্র অনুযায়ী ভাতা ও সুযোগসুবিধার অন্তভুক্ত কর যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম. সরফরাজ জানান, শহীদ পরিবারটি যে সরকারী সুযোগসুবিধা বা ভাতা পাচ্ছেনা বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে পরিপত্রের আলোকেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×