ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরোজ মান্না

সুদান থেকে ফিরে

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

সুদান থেকে ফিরে

(গতকালের পর) বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর উচ্চ পর্যায়ের নেতারা ধনী ধনী দেশে বসে আছেন। সেখান থেকেই তারা জাতিগত সংঘাত পরিচালনা করছেন। তাদের গায়ে খড়কুঠোর ছোঁয়াও লাগছে না। মরছে সাধারণ মানুষ। ২০০৩ সালের দেশটিতে যে পরিমাণ রক্তপাত হয়েছে, তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এই হত্যাযজ্ঞের ওপর বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। ওই সব চলচ্চিত্র দেখলে গা শিউরে ওঠে। এরপরও যুদ্ধ থামছে না। তাই মনে করা হচ্ছে, এ যুদ্ধের কোন শেষ নেই। এ যুদ্ধ শেষ হতে পারে সম্পদগুলো অন্যের হাতে দিলে। কিন্তু বশির সরকার এখন পর্যন্ত সম্পদগুলো কারও হাতে ছেড়ে দিতে রাজি না। প্রেসিডেন্ট বশিরের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে রেখেছে। এ কারণে অন্য কোন দেশ সে সফর করতে পারেন না। একটু অন্য প্রসঙ্গে সুদান সম্পর্কে বলা যেতে পারে। সুদানের অন্যসব এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি বেশ শান্তিই বলে ইউএন’র কর্মকর্তারা জানালেন। বাংলাদেশীদের কাজের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে দেশটিতে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষি কাজে বিপুল সংখ্যক মানুষ এই দেশে কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন। এসব সুযোগ নিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেশটিতে বৈদেশিক অফিস খুলতে হবে। বৈদেশিক অফিস না থাকার কারণে সুদান সরকারের সঙ্গে আলোচনার কেউ নেই। বৈদেশিক অফিসের মাধ্যমে দেশটিতে বৈধ ভিসা পাওয়া সম্ভব। সুদানে শান্তি মিশনের বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে দশ সদস্যের প্রতিনিধি দল সুদান পররাষ্ট্র দফতর ও বাংলাদেশের অনারারী কনস্যুলেট অফিস পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলের দলনেতা মেজর জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী আলোচনায় বলেন, দেশে ফিরে আমরা বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে কথা বলব। সাব সাহারায় অবস্থিত সুদানের রাজধানী খার্তুম অন্য ৫ টি প্রদেশের চেয়ে একেবারেই আলাদা। খার্তুম আবার খার্তুম প্রদেশেরও রাজধানী। উন্নত এই শহরকে চারদিক থেকে নীল নদ ঘিরে রেখেছে। একদিকে সাদা নদ অন্যদিকে নীল নদ। এক নদের পানি সাদা। অন্য নদের পানি নীল। দুই নদের মিলন স্থানে তৈরি হয়েছে টি দ্বীপ। এই দ্বীপ সুদানের মতো না। এখানে সবুজ গাছপালা রয়েছে। নানা রকমের ফসল ফলে। নীল নদ ভ্রমণেও তাই দেখলাম। গোটা দ্বীপটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ঘুরতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। নদ ভ্রমণে একটা জিনিস খুব চোখে পড়ল। দুই তীরে হাজার হাজার পাম্প বসানো। নদের পানি থেকেই গোটা খার্তুমের পানির চাহিদা মেটানো হয়। সরকারী ব্যবস্থাপনায় পানি সরবরাহ চলে। কেউ চাইলেই নদের পানি ব্যবহার করতে পারবেন। এই নদই একমাত্র পানির উৎস। সুদান সরকার দেশটির কোথাও নলকূপ স্থাপনের অনুমতি দেয়নি। কারণ তেল সমৃদ্ধ এই দেশে যে কোন জায়গায় তেল পাওয়া যেতে পারে বলে সরকার নলকূপ স্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। ওমর আল বশির সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার কারও সাহস নেই। কারণ প্রতিদিন সুদান আর্মি (গছ আর্মি) ও পুলিশ এগুলো মনিটর করে। কেউ কোন অন্যায় করলে তার কঠিন বিচার হয়। জনগণও আইনের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল। তারা সরকারের আইন অমান্য করে না। আমরা যে নৌকায় নদ পরিদর্শন করলাম সেই নৌকায় সবাইকে লাইফ জ্যাকেট পড়তে হলো। কারণ এটা সরকারের আইন। নৌকার মাঝি বললেন, সবাইকে লাইফ জ্যাকেট পরতে হবে। এটা তার সরকারের আইন। আইন ভাঙ্গা যাবে না। মাঝি শুধু পুলিশের ভয়ের কথা চিন্তা করেনি। তিনি এবং তার দেশের আইনের কথা চিন্তা করেই আমাদের সবাইকে লাইফ জ্যাকেট পড়তে হলো। সব জায়গায় একই রকম অবস্থা। সড়কেও তাদের কঠিন আইন। কেউ সিগন্যাল ভাঙলে তার কঠিন শাস্তি। শহরের ভেতর আট লেন, চারলেনের বিশাল বিশাল সড়ক। প্রতিটি সড়কই সিগন্যালনির্ভর। কোন ট্রাফিকের দেখা পাওয়া যায় না। যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক চলে আসে। উন্নত দেশগুলোর মতোই খার্তুম শহর। দালান-কোঠা, পাঁচ তারকা হোটেলসহ সব কিছুই এই শহরে রয়েছে। খার্তুম সুদানের রাজধানী, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। ইথিওপিয়ার দক্ষিণে সুদানের অবস্থান। ইথিওপিয়া থেকে প্রবাহিত নদটিতে সাদা পানি। আফ্রিকা মহাদেশে অন্তত ৬ টি দেশকে ভালবেসে প্রবাহিত হচ্ছে এই নীল নদ। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম নদ। নীল নদের দুটি উপনদ রয়েছে। একটি শ্বেত নীল নদ ও নীলাভ নীল নদ। এর মধ্যে শ্বেত নীল নদ দীর্ঘতর। শ্বেত নীল নদ আফ্রিকার মধ্যভাগের হৃদ অঞ্চল হতে উৎপন্ন হয়েছে। এর সর্বদক্ষিণের উৎস হলো দক্ষিণ উগান্ডাতে। এই নদ তাঞ্জানিয়া, লেক ভিক্টোরিয়া, উগান্ডা ও দক্ষিণ সুদানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। নীলাভ নীল নদ ইথিওপিয়ার তানা হ্রদ থেকে উৎপন্ন হয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে সুদানে প্রবেশ করেছে। দুটি উপনদ সুদানের রাজধানী খার্তুমে মিলিত হয়েছে। নীলের উত্তরাংশ সুদানে শুরু হয়ে মিসরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দীর্ঘ এই নদ পুরো মরু এলাকার আশীর্বাদ। মিসরের সভ্যতা প্রাচীনকাল থেকেই নীলের ওপর নির্ভরশীল। খার্তুম শহরটি নীল নদের দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে। শহরটি অবস্থিত যেখানে দুই নদেও মিলনস্থানকে বলা হয় ‘আল মরগান’। নীলনদ দ্বারা বিভক্ত খার্তুম। খার্তুমের জনসংখ্যা পাঁচ মিলিয়ন। খার্তুমের উত্তর ‘আল খার্তুম বাহরি’ ও ‘উম্মে দুরমান’ সেতুদ্বয় পশ্চিম খার্তুমকে সংযুক্ত করেছে। সেতু দুটি আমরা গাড়িতে পারাপার করেছি। দৃষ্টিনন্দন দুটি সেতুই দেখতে মনে হবে ঝুলন্ত। সুদান পৃথিবীর সবচেয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ববহুল দেশগুলোর একটি। এর উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর। এই এলাকায় অধিকাংশ মানুষই মুসলিম। দক্ষিণাঞ্চলের অনগ্রসর এলাকার অধিবাসীর অধিকাংশ অমুসলিম। সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিভাজন ও মতবিরোধের ফলে সুদানে আধুনিককালের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ বিরাজ করছে। দেশটিতে ৬০ হাজার বছর আগেও মানব বসতি ছিল বলে প্রমাণ মিলেছে। সুদানের জাদু ঘরে চার হাজার বছর আগের মানুষের পায়ের একটি মমি রয়েছে। প্রায় আট হাজার বছর আগে এ অঞ্চলে স্থায়ীভাবে মানববসতি শুরু হয়। তারা পশুপালন করত, শস্য ফলাতো ও মাছ ধরত। এখনও এসব কাজ করেই মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছে। ১৮৯০ সালে ব্রিটিশরা সুদানে আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। বহু চেষ্টার পর ব্রিটিশরা ১৮৯৯ সালে ইঙ্গ-মিসরীয় সুদান প্রতিষ্ঠা করে। ফলে সুদান শাসনের ভার মিসরীয় গভর্নরদের হাতে ন্যস্ত হয়। ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শে এ গবর্নর নিয়োগ করা হতো। সুদান এ সময় মূলত ব্রিটিশ কলোনি হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯২৪ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশরা সুদানকে দুটি ভাগে ভাগ করে শাসন করত। দেশটির উত্তরাঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের এবং দক্ষিণাঞ্চলে খ্রিস্টানদের আধিপত্য টিকিয়ে রেখে। ১৯৫৬ সালে সুদান ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। সুদানের অর্থনীতির উচ্চ প্রবৃদ্ধি থাকার পরেও দেশটিতে অর্থনীতিতে সমস্যা লেগেই আছে। আইএমএফের পরামর্শে ১৯৯৭ সালে সুদান সামষ্টিক অর্থনীতিতে সংস্কার কর্মসূচী হাতে নেয়। ১৯৯৯ সালে দেশটি অপরিশোধিত তেল রফতানি শুরু করে। এরপর দেশটিতে নাটকীয়ভাবে তেল উৎপাদন বাড়তে থাকে। এই তেল রফতানিকে কেন্দ্র করে ২০০৩ সালে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। পেট্রোলিয়াম ছাড়াও প্রাকৃতিক গ্যাস, স্বর্ণ, সিলভার, ক্রোমি, এ্যাসবেস্টস, ম্যাঙ্গানিজ, জিপসাম, জিঙ্ক, লোহা, সীসা, ইউরেনিয়াম, কপার, কোবাল্ট, গ্রানাইট, নিকেল ও তামাসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ সুদান। এত সম্পদের কারণেই সুদানে এত সমস্যা। বিশ্বের ধনী দেশগুলো এই সম্পদের দিকে শুকুনের চোখে তাকিয়ে রয়েছে। এখানে বিনিয়োগ করছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। ভবিষ্যতে এই ডলার থেকে ১০ গুণ আয়ের আশায় বিনিয়োগসহ নানা শক্তি বাড়াচ্ছে তারা। তবে দেশটির অর্থনীতির অন্যতম খাত হচ্ছে কৃষি। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। দেশের মোট জাতীয় আয়ের ৩৯ শতাংশের যোগান আসে কৃষি থেকে। কিন্তু সেচের ক্ষেত্রে এখনও সুদানিরা বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। ধারাবাহিক অস্থিতিশীলতার কারণে কৃষিপণ্যের দাম এখনও খুব বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সুদানের অর্থনীতি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বিকাশমান। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সুদানের পররাষ্ট্র বিভাগ ইতিবাচক সারা দিয়েছে। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ না থাকায় এখন পর্যন্ত এখানে তেমন কোন কাজ হয়নি। তবে আমি আশাবাদী দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হলে আমরা লাভবান হব। এই দেশের বিভিন্ন পণ্য আসে আশপাশের দেশ থেকে। যার অনেক পণ্যই বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের অনেক দেশে রফতানি হয়। আমাদের দেশের প্লাষ্টিক ও ওষুধ সামগ্রী রফতানি করা যাবে। এমন বাজার এখানে রয়েছে। দেশটির সঙ্গে সরকারী যোগাযোগ রক্ষা করা হয় সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে। যদি এখানে পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস স্থান করা যায় তাহলে সুদানের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় হবে’। কথা হলো বাংলাদেশের অনারারী কনসুলার জেনারেল আমাল মাহজিব ওসমানের সঙ্গে। তিনি বললেন, দেশটিতে কিছু সংখ্যক সিভিল বাংলাদেশী রয়েছে। তাদের বেশ কিছু সমস্যা ইতোমধ্যে সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। আমরা যতদূর পারছি করে যাচ্ছি। তবে আমাদের পক্ষে খুব বেশি কিছু করার নেই। কারণ সুদান সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছাড়া খুব বেশি কাজ করা যায় না। জানতে চেয়েছিলাম এখানে, বাংলাদেশীদের কাজ কি হতে পারে? অনারারি কনস্যুলার আমাল বললেন, কৃষিই মেইন। এর বাইরে ব্যবসা বাণিজ্যের বড় ক্ষেত্র রয়েছে। এখানে যারা ব্যবসা করছেন, তাদের বেশির ভাগ লেবানন ও মিসরের। বাংলাদেশীরাও এখানে ব্যবসা করতে পারেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা মেজর জেনারেল নাঈম আশফাক বলেন, আমরা বিষয়টি আমাদের সরকারের কাছে তুলে ধরব। আপনি (অনারারি কনস্যুলার) আমাদের হয়ে কাজ চালিয়ে যান। দেশে ফিরে বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে কথা বলব। অনারারি কনস্যুলারকে তিনি বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান। জেনারেল নাঈম শান্তি মিশনে কর্মরত প্রতিটি সদস্যকে নির্দেশ দেন, তারা প্রত্যেকেই যেন একজন দূত হয়ে দেশের পক্ষে কাজ করেন। দেশটির মানুষজনের সামনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে তুলে ধরুন। এতে দেশের সুনাম ও সম্পর্ক স্থাপন আরও সহজ হবে। আমি জেনারেল নাঈমের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আপনার সঙ্গে যে সুদান সরকারের কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে তাতে বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের মনোভাব কেমন। উত্তরে জেনারেল নাঈম বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের ধারণা খারাপ না। সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে বেশ কয়েকটি ট্রেডে এখানে দেশের মানুষ কাজ করতে পারবেন। ব্যবসা-বাণিজ্যও করা সম্ভব। কারণ এখানে বাইরের দেশের মানুষই বেশিরভাগ ব্যবসা বাণিজ্য করছেন। বাংলাদেশের মানুষও ব্যবসা করতে পারবেন। দেশটিতে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা আছেন। এটি একটি ইাতবাচক দিক। আমি বিষয়গুলো নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করব। লেখক : সাংবাদিক
×