ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তরুণ প্রজন্মের প্রতি মাতা শেখ হাসিনার বিজয় দিবসের আহ্বান -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭

তরুণ প্রজন্মের প্রতি মাতা শেখ হাসিনার বিজয় দিবসের আহ্বান -স্বদেশ রায়

বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের কাঁধে চল্লিশ, পঞ্চাশ বা ষাটের দশকের প্রজন্মের মতো একটি প্রয়োজনীয় দায় পড়েছে। ওই তিন দশকের তরুণরা যেমন আধুনিক দেশ গড়ার দায় কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মকে তেমনি ওই দায় নিতে হবে। এই দায় কারও এড়ানোর উপায় নেই। নতুন প্রজন্ম যদি এ দায় পালন না করে তাহলে আমরা খুব দ্রুতই আধুনিক বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলব। শুধু যে আধুনিক বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলব তা নয়, বাংলাদেশ কিছুদিনের জন্য হলেও অনেক বেশি পশ্চাৎপদ হয়ে যাবে। সেখান থেকে বাংলাদেশ ফিরে আসবে ঠিকই, তবে সঙ্গে করে নিয়ে আসবে অনেক বড় একটি ক্ষত। এই ক্ষত যাতে না হয় সে জন্য বর্তমানের তরুণ প্রজন্মকে যে কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, আধুনিক চিন্তার, সেক্যুলার চিন্তার অধিকারী হতে হবে। আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্বটি এখনই তাদের কাঁধে গিয়ে পড়েছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের ভাষণ খুব একটা মনোযোগ দিয়ে অধিকাংশ মানুষই পড়েন না বা শোনেন না। এর কারণ রাজনীতিরও নয়, রাজনীতিকেরও নয়। এখন অনেক অরাজনীতিক, অনেক গ্যাং লিডার রাজনৈতিক নেতার পোশাক পরেছেন। তাদের কারণে রাজনীতিকরা যে সমাজের ও রাষ্ট্রের শুধু নেতা নন, এক ধরনের শিক্ষক ও ভবিষ্যত দ্রষ্টা সেই অবস্থানটি ক্রমেই হারিয়ে ফেলেছেন। তাছাড়া আমাদের মিডিয়ার একটি অংশ বিশেষ উদ্দেশ্যে রাজনীতিকদের চরিত্র হনন করেন। যেমন, এখন অনেক পত্রপত্রিকা ও সোশ্যাল ফোরামের অনেকেই সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হককে চিনতে পেরে তাঁর মৃত্যুর পরে সত্য কথা বলছে। তাঁরা এখন দেখতে পাচ্ছেন পাঁচ বার এমপি ও একবার মন্ত্রী থাকার পরেও তাঁর টিনের ঘরের কোন পরিবর্তন হয়নি। বরং তাঁর এলাকায় তাঁর নিজের রাজনৈতিক দলটির ভেতর যে ঘুষখোর-দুর্নীতিবাজ লোক ঢুকে গেছে এ কথাও তিনি তাঁর জীবদ্দশায় বলেছিলেন। এমনকি এই অসাম্প্রদায়িক মানুষটিকে সাম্প্রদায়িক বানানোর চেষ্টা হয়েছিল সোশ্যাল ফোরামের মাধ্যমে। বিশেষ সম্প্রদায়ের এক নেতা সে কথা শুনে প্রেস কনফারেন্সও করেছিলেন। ওই সময়ে এই ক্ষুদ্র সাংবাদিককে অনেকে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে ফোন করে বলেছিলেন, কেন আমি তাঁর বিরুদ্ধে লিখছি না। আমি তাদের কথা সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কারণ, ওই সময় সত্য কথা লেখা কঠিন ছিল- কখনও কখনও সত্য লেখার জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষা করতে হয়। যাহোক, মৃত্যুর পরে যে তাঁকে দেশের মানুষ চিনতে পেরেছে এতে তাঁর কোন উপকার না হলেও রাজনীতিকদের সম্মান বাড়বে। যাহোক, আমাদের সব রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর কথা মনোযোগ দিয়ে না শুনলেও শেখ হাসিনার বক্তব্য শোনা উচিত। তিনি শুধু দীর্ঘ সংগ্রামের ও রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতায় অভিজ্ঞ নন, বিশ্বের অন্যতম সৎ নেত্রী। একজন মানুষ যখন সৎ হন তাঁর থেকে সাহসী মানুষ আর কেউ থাকে না। তাই শেখ হাসিনা আমাদের এ মুহূর্তে জীবিত বাঙালীর ভেতর সব থেকে সাহসী। এই সাহসী ও সৎ মানুষটি এবার ষোলোই ডিসেম্বরে তাঁর দেয়া বক্তব্যে অত্যন্ত মূল্যবান একটি কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তরুণ প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে হবে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক আদর্শ ধারণ করতে বলেছেন। শেখ হাসিনার বয়স একাত্তর। তিনি শুধু এখন একজন প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি এখন জাতির গার্জিয়ানও। সব তরুণেরও গার্জিয়ান। সেই অবস্থানে তাঁর কাজই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে। তাই একাত্তর বছর বয়সে বিজয় দিবসে যখন শেখ হাসিনা তরুণ প্রজন্মকে এ কথা বলেন, তখন তরুণ প্রজন্মকে বিষয়টি মনের গভীরে নেয়া উচিত। শেখ হাসিনা আমাদের একজন মাহথির বা লী কুয়ান শুধু নন, তিনি একজন জওয়াহেরলাল নেহরুও। মাহথির ও লী কুয়ান তাঁদের জাতি গড়েছেন আবার অর্থনীতিও বিনির্মাণ করেছেন। জওয়াহেরলাল নেহরু এই দু’জন থেকে বড় এ কারণে যে, তিনি জাতি ও অর্থনীতিই শুধু গড়েননি, জাতির একটি মতামতও গড়েছিলেন। একটি আর্গুমেন্টেটিভ সোসাইটি গড়েছিলেন। বাস্তবে কোন সোসাইটিতে যদি মতামত সৃষ্টির পথ না থাকে তাহলে ওই সোসাইটি একটি সময়ে মারা যায়। মারা যায় অর্থাৎ কোন না কোনভাবে এক ধরনের মৌলবাদী সোসাইটি হয়ে ওঠে। যেমন সিঙ্গাপুর চাইনিজ ডোমিনেটিং সোসাইটি হয়ে উঠছে ক্রমেই। মালয়েশিয়া আধুনিক থেকে ধর্ম ডোমিনেটেড সোসাইটি হয়ে উঠছে। এমনকি ভারতও যে ধর্ম ডোমিনেটেড সোসাইটির দিকে যাচ্ছে তারও কারণ জওয়াহেরলাল নেহরু মারা যাওয়ার পরে রাজনীতির পাশাপাশি সমাজকে যে লালন করা দরকার সে কাজটি তাঁর উত্তরসূরিরা সঠিকভাবে করেননি। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার একুশ বছর পরে রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে পান শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়া আমাদের রাষ্ট্র বা সমাজে কোন বিচ্ছিন্ন একটি নিহত হওয়ার ঘটনা ছিল না। বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের দুই কন্যা ছাড়া আর সব সদস্যকে হত্যা, শেখ ফজলুল হক মণি হত্যা এবং জাতীয় নেতাদের হত্যার ভেতর দিয়ে তারা পরিপূর্ণভাবে একটি প্রতিবিপ্লব কায়েম করে। আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিপ্লব, সংগ্রাম করে জয়ী হয়েছিলাম। আমাদের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তানপন্থী। তারা শুধু পাকিস্তানে ছিল না, বাংলাদেশেও ছিল। তাই যে বিপ্লব ও সংগ্রামের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন হয় তার বিরুদ্ধে বিপ্লব অর্থাৎ ওই প্রতিবিপ্লব ছিল মূলত পাকিস্তানপন্থীদের বিজয়। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পরে একুশ বছর এই পাকিস্তানপন্থীরা ক্ষমতায়। এই একুশ বছরে তারা সংবিধান পরিবর্তন করে সাংবিধানিকভাবে দেশকে আরেকটি পাকিস্তানীমনা দেশ তৈরি করে। পাশাপাশি তারা ৩০ থেকে ৬০ এর দশক পর্যন্ত যে কাজ করতে পারেনি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ২১ বছর ধরে তারা অত্যন্ত নিবিড়ভাবে সে কাজ করে। অর্থাৎ সমাজের, বিশেষ করে তরুণ সম্প্রদায়ের মনন পরিবর্তনের কাজে নামে তারা। একুশ বছরে তারা অনেকখানি সফল হয়। দেশের বেশ একটি অংশ তরুণকে (যারা ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির করেছে ও করে। তারেক রহমানের ভাষায় একই মায়ের সন্তান) তারা পাকিস্তানী চিন্তা-চেতনায় গড়ে তোলে। আর পাকিস্তানী চিন্তা মানে এই নয় যে তাকে পাকিস্তান রাষ্ট্রে বিশ্বাস করতে হবে। একটি মানুষের মন থেকে আধুনিক চিন্তা-চেতনা কেড়ে নিলেই সে পাকিস্তানপন্থী হয়ে যায়। পাকিস্তানপন্থা মূলত পশ্চাৎপদতার সমার্থক শব্দ। ২১ বছর পরে শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি বুঝতে পারেন, যে পাকিস্তানপন্থীরা গত একুশ বছরে তাদের শেকড় মাটির অনেক গভীরে নিয়ে গেছে, একে একদিনে উপড়ে ফেলা যাবে না। রাজনীতিবিদরা বুদ্ধিজীবীদের থেকে অনেক বেশি ধৈর্যশীল হন। বুদ্ধিজীবীদের শুধু মতামত প্রকাশ করতে হয়। সে মতামত এক শ’ বছর পরে বাস্তবায়ন হলেও তিনি সফল বুদ্ধিজীবী। কারণ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক শ’ বছর খুব বেশি সময় নয়। অন্যদিকে রাজনীতিবিদদের প্রতি মুহূর্তে নিজ হাতে সমাজ পরিবর্তন করতে হয়। সমাজের শরীর অনেক বড়, তার ঘনত্ব পাথরের মতো। এর পরিবর্তনের গতি সব সময়ই ধীর। তাই সমাজ থেকে কোন আগাছা উপড়াতে গেলেও রাজনীতিবিদদের অনেক ধীরগতিতে চলতে হয়। আবার কখনও কখনও তাঁরা প্রচন্ড বেগে আঘাতও করেন সমাজের ওই পাথরের গায়। এসব কিছুই তাঁদের বাস্তবতার ওপর ভর করে করতে হয়। শেখ হাসিনা প্রথম পাঁচ বছরে সমাজের মনন পরিবর্তন অর্থাৎ বাংলাদেশের ধারা থেকে যারা চলে গেছে তাদের ও নতুন প্রজন্মকে মূল ধারায় আনার চেষ্টা করেন। এটা বুঝতে পেরেই ২১ বছরে রাষ্ট্র ও সমাজে শেকড় গেড়ে বসা পাকিস্তানপন্থীরা কঠিনভাবে ২০০১-এ আঘাত করে। শেখ হাসিনা ছাড়া সাধারণ কোন নেতা হলে ওই আঘাতেই ভেঙ্গে পড়তেন। শেখ হাসিনা উঠে দাঁড়ান এবং ২১ আগস্টে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে, ২০০৭-০৮ নিঃসঙ্গ কারাগারে কাটিয়েও আবার ফিরে আসেন বাংলাদেশের ক্ষমতায়। এবার তিনি অনেক বেশি মানুষের সমর্থন পান। অর্থাৎ ১৯৯৬তে যে নতুন প্রজন্মকে তিনি চক্ষুষ্মান করেছিলেন তারা শেখ হাসিনাকে ২০০৮ এ ক্ষমতায় নিয়ে আসে। এরা আবার শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করার জন্য গণজাগরণ মঞ্চে গিয়ে দাঁড়ায়। ২০০৮ থেকে এই তরুণ প্রজন্ম ও তাদের নেতা শেখ হাসিনার সাফল্য হলো, যে সব ব্যক্তি সমাজকে পাকিস্তানপন্থার ধারায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মকে ভুল পথে চালিত করছিল, তাদের অনেকের শাস্তি হয়েছে। তাদের অনেককে একাত্তরের নরহত্যা ও ধর্ষণের দায়ে বিচার করে শাস্তি দিতে পেরেছেন বাংলাদেশের প্রগতিশীল মানুষ। তাদের শাস্তি দেয়ার এই কাজের ভেতর দিয়ে চিহ্নিত হয়ে গেছে সমাজে পাকিস্তানপন্থী কারা। কারা সেদিন ওই সব অপরাধীদের পক্ষে নেমেছিলেন। খালেদা যে তাদের মূল নেতা তাও চিহ্নিত হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা চিহ্নিত করেছেন ঠিকই, তবে ওই যে প্রথমেই বলেছি, রাজনীতিবিদদের কখনও কখনও ধীরগতিতে চলতে হয় সব সময়ই তারা জগদ্দল পাথরের ওপর আঘাত করতে পারেন না। তাদের সময় নিতে হয়। এমনকি তাদের কিছু কিছু কাজ ভাগ করে দিতে হয় সমাজের অন্যের ওপর। সমাজের তরুণ সম্প্রদায়ের ওপর শেখ হাসিনা তাই এবারের বিজয় দিবসে ভবিষ্যতের বিজয়ের জন্য এক সুমহান দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তরুণ সম্প্রদায়কেই অসাম্প্রদায়িক চিন্তায় এগিয়ে যেতে হবে, তাদেরই অসাম্প্রায়িক বাংলাদেশ গড়তে হবে। বাস্তবে ২০১৯-এর নির্বাচনে ঠিক হবে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ অর্থাৎ ১৯৭১ এর চেতনার বাংলাদেশ থাকবে, না ১৯৭৫-এর পনেরো আগস্টের পরে প্রতিবিপ্লবীরা যে চেতনা কায়েম করেছিল ওই চেতনার বাংলাদেশ হবে? আর কোনটা থাকবে তা নির্ধারণ করার দায় এখন পড়েছে তরুণ সম্প্রদায়ের ওপর। খালেদা যাতে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল না করতে পারে সে জন্য শেখ হাসিনাকে অনেক রাজনৈতিক কৌশলের ভেতর দিয়ে এগোতে হচ্ছে। এর আরও একটি বড় কারণ, রাষ্ট্রকে স্থিতিশীল রেখে তিনি যদি উন্নয়নের ধারা এগিয়ে না নেন, তাহলে বর্তমান পৃথিবীর উন্নয়নের মহাসড়ক থেকে বাংলাদেশ ছিটকে পড়বে। উন্নয়নের এই মহাসড়ক থেকে ছিটকে পড়ার অর্থই হলো বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যক্লিষ্ট একটি দেশে পরিণত হওয়া। শেখ হাসিনা তার বদলে বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান অর্থনীতিতে পরিণত করেছেন। দেশ যদি পাকিস্তানপন্থী হয়ে যায় এ অর্থনীতিও শেষ হয়ে যাবে। পাকিস্তান অর্থ কি? পাকিস্তানের সমার্থক শব্দ হলো জঙ্গী, সহিংসতা, আইএস, বোকোহারাম এসব। পাকিস্তান মানে প্রতিদিন যেখানে বোমা হামলা, যেখানে শহরে বিদ্যুত নেই, পানি নেই, মানুষের কাজ নেই। জঙ্গী রফতানিই যাদের মূল দায়িত্ব। বাংলাদেশ যাতে পাকিস্তানের অনুরূপ না হয় তার জন্য সব থেকে বড় প্রয়োজন দেশের তরুণ সম্প্রদায়কে আধুনিক চিন্তা ধারায় নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। আধুনিক চিন্তার পক্ষে দাঁড়ানো। নিজেকে একজন আধুনিক মানুষ হিসেবে তৈরি করা। মানবসভ্যতার ইতিহাস জ্ঞান, নিজ দেশের প্রকৃত ইতিহাস জ্ঞানই মানুষকে আধুনিক করে। তরুণ সম্প্রদায়কে এখন এই জ্ঞান মানুষের ভেতর ছড়াতে হবে। ঠেকাতে হবে পাকিস্তানপন্থীদের অপকৌশল। তাদের হাতে অনেক টাকা, তাদের কাছে অনেক প্রলোভন। একমাত্র তরুণ মনই পারে অর্থ ও প্রলোভনের বিপরীতে আদর্শ নিয়ে দাঁড়াতে। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, তরুণ প্রজন্মের গার্জিয়ান হিসেবে, মাতা হিসেবে শেখ হাসিনা এবারের বিজয় দিবসে তরুণ প্রজন্মের প্রতি সে আহ্বান জানিয়েছেন। বাস্তবে দেশ মাতাকে রক্ষা করার জন্য তরুণ প্রজন্মের মাতা শেখ হাসিনা বিজয় দিবসে তাঁর সন্তানদের প্রতি মাত্র দুই লাইনে তাদের এ মুহূর্তের করণীয় কী সেটাই বলেছেন। এখন দায় তরুণ প্রজন্মের কাঁধে। তাদেরই বিনির্মাণ ও রক্ষা করতে হবে তাদের আধুনিক বাংলাদেশ। [email protected]
×