ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ, আজ রাতে বার্নাব্যুতে বাদ পড়া বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ, রেকর্ডের হাতছানি রোনাল্ডোর, মাঠে নামছে আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করা টটেনহ্যাম ও ম্যানচেস্টার সিটি

শেষ ষোলো নিশ্চিতের মিশন লিভারপুলের

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৬ ডিসেম্বর ২০১৭

শেষ ষোলো নিশ্চিতের মিশন লিভারপুলের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চলমান মৌসুমে প্রায় সব ফেবারিটরাই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে। কিন্তু ঝুলে আছে শুধু দুই ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুলের ভাগ্য। মঙ্গলবার রাতে রেড ডেভিলসরা হয়তো পরের পর্ব নিশ্চিত করেছে। এ লক্ষ্যে আজ রাতে মাঠে নামছে দ্য রেডসরাও। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলের ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে রাশিয়ান ক্লাব স্পার্টাক মস্কোকে আতিথ্য দেবে লিভারপুল। নিজেদের মাঠ এ্যানফিল্ডে খেলবেন ফিরমিনো, কুটিনহোরা। গ্রুপের আরেক ম্যাচে স্লোভেনিয়ার ম্যারিবোরের মুখোমুখি হবে স্পেনের সেভিয়া। এই গ্রুপ থেকে লিভারপুল ও সেভিয়া এগিয়ে আছে। সমান সুযোগ আছে মস্কোরও। এখন পর্যন্ত শুধু এই গ্রুপ থেকেই একটি দলও প্রিকোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারেনি। এখন শেষ রাউন্ডের ম্যাচে নির্ধারণ হবে কোন্ দুই দল নকআউট পর্বের টিকেট কাটবে। লক্ষ্য পূরণে বেশ আশাবাদী লিভারপুল কোচ জার্গেন ক্লপ। আগের ম্যাচে তিন গোলে এগিয়ে যেয়েও সেভিয়ার সঙ্গে ড্র করা দ্য রেডস বস বলেন, আমরা আগের ম্যাচেই নকআউট নিশ্চিত করতে পারতাম। কিন্তু কিছু ভুলের কারণে সেটা হয়নি। আশা করছি এই ম্যাচে সেটা হবে। খেলোয়াড়রা সবাই মুখিয়ে আছে, ওরা আত্মবিশ্বাসী। এবার প্রিমিয়ার লীগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লীগে অপ্রতিরোধ্য ছন্দে এগিয়ে চলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। পেপ গার্ডিওলার দল ইউরোপ সেরার আসরে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে ইংলিশ ক্লাবগুলোর মধ্যে সেরা শুরুর রেকর্ড গড়েছে। এই সাফল্যে ইতোমধ্যে নকআউট পর্বও নিশ্চিত হয়েছে সিটিজেনদের। শেষ ম্যাচে শাখতার ডোনেস্ককে হারাতে পারলে ছয় জয়ের অসাধারণ রেকর্ড নিয়ে নকআউট পর্বে খেলবে প্রিমিয়ার লীগের পরাশক্তিরা। ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়েছে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ও টটেনহ্যাম হটস্পারের। দল দু’টি শেষ গ্রুপ ম্যাচ খেলতে আজ রাতে মাঠে নামছে। ঘরের মাঠ সন্টিয়াগো বার্নাব্যুতে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে আতিথ্য দবে রিয়াল। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সাইপ্রাসের এ্যাপোয়েল নিকোশিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে স্পার্সরা। বড় কোন অঘটন না ঘটলে এই গ্রুপ থেকে টটেনহ্যামের গ্রুপ সেরা হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। কেননা বর্তমানে দুইয়ে থাকা রিয়ালের চেয়ে তারা তিন পয়েন্ট এগিয়ে আছে। এই ম্যাচে অসাধারণ কীর্তিগাথার হাতছানি নিয়ে মাঠে নামছেন রিয়াল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে সি আর সেভেন যদি ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে গোল করতে পারেন তাহলে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপপর্বের ছয় ম্যাচেই গোল করা প্রথম খেলোয়াড়ে পরিণত হবেন। এই সুযোগ আছে নেইমারেরও। গত রাতে ব্রাজিলিয়ান তারকা পিএসজির হয়ে বেয়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে গোল করলে অসাধারণ এই রেকর্ডের মালিক হবেন। গ্রুপপর্বের প্রথম পাঁচ ম্যাচে ইতোমধ্যেই ৮ গোল করে ফেলেছেন রোনাল্ডো। অন্যদিকে নেইমারের গোল ৬টি। শেষ ম্যাচে দু’জনই সংখ্যাটাকে বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে দুই গোল করতে পারলে আরেকটি কীর্তি গড়তে পারবেন পর্তুগীজ সুপারস্টার। লিওনেল মেসিকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপপর্বে সর্বাধিক গোল করার কীর্তি গড়বেন তিনি। গ্রুপপর্বে আপাতত মেসির গোল ৬০টি। ৫৯ গোল নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে পর্তুগাল অধিনায়ক। এদিকে বেশ কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল, রোনাল্ডো ও রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোসের মধ্যে সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না। দু’জন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন বলেও আলোচনা রটে। তবে সেই গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন রামোস। রোনাল্ডোর সঙ্গে কখনই ঝামেলা তৈরি হয়নি বলে দাবি করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। সি আর সেভেন গত গ্রীষ্মকালীন দলবদলের পলিসির সমালোচনা করেছিলেন। যেটি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন রামোস। গুঞ্জন বের হয় বেশ কয়েকটি ইস্যু নিয়ে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় রামোস ও রোনাল্ডো নাকি একে অন্যের চোখের দিকে তাকাচ্ছেনও না। গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে রামোস বলেন, রোনাল্ডো ও আমার মধ্যে কখনই কোন কিছু ঘটেনি। আমাদের মধ্যে বরাবরের মতোই অসাধারণ বন্ধুত্ব অব্যাহত আছে।
×