ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১৫ ডিসেম্বর মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে পদ্মা সেতুর দ্বিতীয় স্প্যান

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২ ডিসেম্বর ২০১৭

১৫ ডিসেম্বর মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে পদ্মা সেতুর দ্বিতীয় স্প্যান

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মাওয়া থেকে ফিরে ॥ পদ্মা সেতুর দ্বিতীয় স্প্যান স্থাপন এখন সময়ের ব্যাপার। জাজিরা প্রান্তের ৩৯ নম্বর পিলারের চূড়ান্ত ঢালাই হয়েছে। এখন সুপারস্ট্রাকচার বা স্প্যান বসানোর উপযোগী হয়ে উঠেছে পিলারটি। তাই ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হবে ৭বি স্প্যান। স্প্যানটি এখন রঙের চূড়ান্ত ফিনিশিং চলছে। মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ১০ ডিসেম্বর এটি রওনা হবে গন্তব্যে। ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তের ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের কাছে নেয়া হবে। সেখানে পিলারের বেয়ারিংয়ে ওপর বসিয়ে দেয়া হবে স্প্যানটি। ১৫ ডিসেম্বর মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ২য় স্প্যানটি। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা আরও জানান, প্রায় ৩ হাজার টন ওজরের ‘৭বি’ নম্বর স্প্যানটি ৩৬শ’ টন ধারণ ক্ষমতার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে পদ্মা নদী পাড়ি দেবে। এ লক্ষ্যে মাওয়া প্রান্তের কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ‘৭বি’ নম্বরের স্প্যানটি প্রস্তুত করার কাজে ব্যস্ত প্রকৌশলী ও শ্রমিকরা। গত ২৩ নবেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সরেজমিন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এই কমিটি বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে দ্বিতীয় স্প্যানটি স্থাপনে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। প্রথম স্প্যানটি ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে স্থাপনে সময় কম লাগলেও ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটিতে দ্বিতীয় স্প্যানটি স্থাপনে সময় কিছুটা বেশি লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। পাশাপাশি দু’টি স্প্যান বসলে পদ্মা সেতুটি অবয়ব আরও স্পষ্ট হবে। পদ্মা সেতু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৩৯ নম্বর খুঁটির ন্যায় ৪০ নম্বর খুঁটিও চূড়ান্ত প্রায়। তবে স্প্যান স্থাপনের উপযোগী করতে কিছুটা সময় বেশি লাগছে। তাই ৩য় স্প্যানটি অর্থাৎ ‘৭সি’ স্প্যান আরও কিছুদিন লাগতে পারে বলে দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন। পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, ‘আরও দুটি স্প্যান প্রায় রেডি। এই দুটি হয়ত ডিসেম্বরে একটা এবং জানুয়ারিতে একটা লেগে যাবে।’ এছাড়া ৪১ নম্বর পিলারের পাইল শতভাগ উপযোগী করতে কাজ চলছে। সর্বশেষ খুঁটি ৪২ নম্বরের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। এসব কাজে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিখুঁতভাবে কাজগুলো করা হচ্ছে। এদিকে বর্ষা মৌসুমে নদীর স্রোতের কারণে পলি না জমলেও, এখন শুকনো মৌসুমে নাব্য সমস্যা প্রকট। সেতুর পিলারগুলো যেখানে বসানো হবে, সে স্থানগুলোতে নদীতে জমেছে পলি। সেতুর প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনে ভারি নৌযান চলাচলেও বাধা হয়ে উঠছে নদীর নাব্য সমস্যা। তাই বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে চালিয়ে যেতে হচ্ছে ড্রেজিংয়ের কাজ।
×