নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৩০ নবেম্বর ॥ সখীপুর ও কালিহাতীতে সৌরবিদ্যুতে জ্বলছে গ্রামীণ সড়কের বাতি। সৌরবিদ্যুতে আলোয় আলোকিত করেছে এলাকা। দুই উপজেলার এলাকাবাসী বলছে ‘আগে আমাগো এলাকার রাস্তা আছিল আন্ধার (অন্ধকার) অহন (এখন) ফকফকা (আলো)।
জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় সৌরবিদ্যুতের এ সড়ক বাতি বসিয়েছে। সখীপুর উপজেলার ঢাকা-গারোবাজার সড়কের ৩০ কি.মি, সখীপুর-গোপিনপুর সড়কে ১৫ কি.মি সড়ক। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি বাজার, গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বিভিন্ন রাস্তার মোড়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সামনে দুই শতাধিক পয়েন্টে স্টিলের বিশেষ ধরনের সোলার পোলে এ বাতি বসানো হয়েছে। কালিহাতী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল আমীন বলেন, স্থানীয় এমপির পরামর্শে টিআর কাবিটা প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১৫৩টি পয়েন্টে সৌরবিদ্যুতের স্ট্রিট লাইট সুন্দরভাবে লাগানো ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি বাজার, গুরুত্বপূর্ণ স্থান বিভিন্ন রাস্তার মোড়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সামনেসহ ১৫৩টি পয়েন্টে স্টিলের বিশেষ ধরনের সোলার প্যানেলে এ বাতি বসানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকারে এ উপজেলার গ্রামীণ সড়কেও সৌরবিদ্যুত আলো দিচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর কর্তৃক টিআর কাবিটা প্রকল্পের আওতায় সৌরবিদ্যুতের এ সড়ক বাতি জ্বলছে।এ বিষয়ে ট্রাকচালক রবিদাস বলেন, মির্জাপুর-গোড়াই-গারোবাজার সড়কের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সোলার প্যানেল বসানোর কারণে এখন ডাকাতির পরিমাণ কমে গেছে। ইন্দারজানি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ডিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ইন্দারজানি ইউনিয়ন দিয়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং একটু বেশি। আমাদের এলাকা রাস্তাঘাট ও বাজার দিয়ে সৌরবিদ্যুতের সোলার বাতি বসানো হয়েছে। বিশেষ করে আমাদের বাজারে বিদ্যুত চলে যাওয়ার পরও আলো জ্বলে থাকে। এতে করে বাজারে চুরি-ডাকাতির আশঙ্কা কম বলেও তিনি জানান। সখীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এরশাদুল আলম জানান, সমৃদ্ধ ও বিশাল এ উপজেলার যেখানে মানুষের চলাচল রয়েছে। সেই সকল স্থানে সৌর প্যানেলের মাধ্যমে আলো পৌঁছানো হচ্ছে।